শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
অপার সম্ভাবনায় চা শিল্প
Published : Wednesday, 5 April, 2017 at 6:00 AM, Count : 1529

রায়হান আহমেদ তপাদার : চা শিল্পের ইতিহাস ঐতিহ্য অনেক পুরনো। কিন্তু পুরনো আর আজকের নতুনের মধ্যে অনেক ফারাক। হাঁটি হাঁটি পা পা করে চা শিল্প আজ স্বাধীন দেশের একটি উন্নয়নশীল শিল্পের খাতায় নাম লিখাতে সক্ষম হয়েছে। অর্থকরী ও ঐতিহ্যবাহী চা শিল্পখাত এখন সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে উপনীত হয়েছে। চায়ের অভ্যন্তরীণ ও রফতানি বাজার চাহিদাকে ঘিরেই এই উজ্জ্বল সম্ভাবনা রচিত হচ্ছে। সুদূর অতীতকালে এদেশের মসলিন কাপড় কিংবা নিকট অতীতে পাট-চামড়া শিল্পের মতোই সুপ্রাচীন শিল্প ও বাণিজ্য খাত চা। সগৌরবে এগিয়ে চলেছে সম্ভাবনার হাতছানি দিয়ে। চা শিল্প এখন আর অবহেলিত নয়। প্রচলিত এই রফতানি পণ্যটি তার সুবিশাল বাজার সহসাই ফিরে পেতে পারে। দীর্ঘদিন যাবত্ চা শিল্প খাতকে উপেক্ষা, অবহেলার কারণে কালের বিবর্তনে হারাতে যাচ্ছিল তার সুখ্যাতি। এবার উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য সময়োপযোগী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যাতে বনেদি চা শিল্প অচিরেই ঘুরে দাঁড়াতে পারে। বলে রাখা ভাল প্রথম চা বাগান করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।
আঠারো শো আঠাশ সালে। অবিভক্ত ভারতে চট্টগ্রামের কোদালায় তখনই জমি নেয়া হয়। বর্তমানে যেখানে চট্টগ্রাম ক্লাব ১৮৪০ সালে সেখানেই পরীক্ষামূলকভাবে রোপণ করা হয় প্রথম চা গাছ। তবে প্রথম বাণিজ্যিক আবাদ শুরু হয় সিলেটে, আঠারো শো চুয়ান্ন সালে। সে বছর সিলেট শহরের উপকণ্ঠে মালনিছড়া চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বাগানে চা উত্?পাদনের মধ্য দিয়ে চা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। তখন থেকে ধীরে ধীরে চা এ দেশে একটি কৃষিভিত্তিক শ্রমঘণ শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রফতানি আয় বৃদ্ধি, আমদানি বিকল্প দ্রব্য উত্?পাদন এবং গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাসকরণের মাধ্যমে চা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। চা উত্পাদন শুধু সিলেটেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। ১৮৬০ সালে হবিগঞ্জের লালচাঁন্দ চা বাগান ও মৌলভীবাজারের মির্তিঙ্গা চা বাগানে চায়ের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়। ২০০০ সালে উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড়েও ছোট আঙ্গিকে চায়ের চাষ শুরু হয়। ২০০৫ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামেও শুরু হয় চায়ের চাষ। বাংলাদেশে চা শিল্পের বিকাশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অবিস্মরণীয়। ১৯৫৭-৫৮ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। সে সময়ে চা শিল্পে মাঠ ও কারখানা উন্নয়ন এবং শ্রম কল্যাণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। চা শিল্পের বর্তমান অবস্থা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল।
বাংলাদেশে চা-শিল্পের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। এ শিল্পকে সঠিকভাবে তদারকি করতে পারলে দেশের জাতীয় অর্থনীতি আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে সামনের দিকে। বর্তমানে আমাদের দেশে যে পরিমাণ চা উত্পাদন হয় তা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। এতে করে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল হচ্ছে। অপরদিকে এ শিল্পের কারণে দেশের বেকার সমস্যাও কিছুটা লাগব হচ্ছে। চা উত্পাদনে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে দেশের চা-শিল্প। এবারের মৌসুম শেষে চা উত্পাদনে সর্বকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টির ধারণা ক্রমেই বাস্তব রূপ লাভ করছে। চলতি অর্থবছরের শেষ পর্যন্ত চা উত্পাদনের এ ধারা ঠিক থাকলে তা হবে গত ১৬২ বছরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চা উত্পাদনের রেকর্ড। গত বছর দেশে চায়ের বাম্পার উত্পাদন হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক। বর্তমানে চা রফতানিতে বাংলাদেশ অষ্টম। জিডিপিতে এর অবদান শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ। আমাদের দেশে বর্তমানে চায়ের প্রায় সোয়া ২ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে। ২০১৬ সালে সারা দেশে ৮ কোটি ৫০ লাখ কেজি চা উত্পাদন হয়েছে, যা গত ২০১৫ সালের চেয়ে ১ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার কেজি বেশি। এটি আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চায়ের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৭ কোটি কেজি। ২০১৪ সালে উত্পাদন কিছুটা কমে ৬ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার কেজি, ২০১৩ সালে ৬ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার কেজি চা উত্পাদন হয়। ২০১২ সালে ৬ কোটি ১৯ লাখ ৩০ হাজার, ২০১০ সালে ৬ কোটি ৪ লাখ কেজি, ২০০৯ সালে ৫ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার, ২০০৮ সালে ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৬০ হাজার, ২০০৭ সালে ৫ কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার কেজি চা উত্পাদন হয়। ২০০৬ সালে ৫ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার কেজি, ২০০৫ সালে ৬ কোটি ১ লাখ ৪০ হাজার কেজি উত্পাদন হয়। ২০১৬ সালে ১ কোটি ৪৩ লাখ কেজি চা-পাতা আমদানি করা হয়। ২০১৫ সালে ১ কোটি ৫০ লাখ কেজি, ২০১৪ সালে প্রায় ৬১ লাখ কেজি চা আমদানি করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হয়েছে ১৯ কোটি ৫২ লাখ টাকার চা।
চা নিয়ে লিখতে গেলে বলতেই হয়; ব্রিটিশদের হাত ধরে ১৮২৪ সালে সিলেট অঞ্চলে প্রথম চা চাষ শুরু হয়। তবে ১৮৬০ সালে হবিগঞ্জের লালচাঁন্দ চা বাগান ও মৌলভীবাজারের মির্তিঙ্গা চা বাগানে প্রথম চায়ের বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেন উদ্যোক্তারা। ২০০০ সালে উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড়েও ছোট আঙ্গিকে চায়ের চাষ শুরু হয়। বাংলাদেশে চা শিল্পের বিকাশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অবিস্মরণীয়। ১৯৫৭-৫৮ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। সে সময়ে চা শিল্পে মাঠ ও কারখানা উন্নয়ন এবং শ্রম কল্যাণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বিগত তিন দশক ধরে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কিন্তু উত্পাদন বাড়েনি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার রফতানি বাড়াতে পাট এবং চা শিল্পকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে উত্পাদন বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে। ইতোমধ্যে পাটের জিন আবিষ্কার করেছে বাংলাদেশ। চায়েরও নতুন ক্লোন আবিষ্কার হয়েছে। জাতীয় অর্থনীতিতে চা শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম এবং সুদূরপ্রসারী। জিডিপিতে চা খাতের অবদান ০ দশমিক ৮১ শতাংশ। বাংলাদেশের ১৬২টি বাগানের ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে ২০১৫ সালে ৬৭ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন কেজি চা উত্পন্ন হয়েছে। চা বোডের্র তথ্যমতে, ১৯৯০ সালে চায়ের উত্পাদন ছিল ১ কোটি ৮৩ লাখ ৬০ হাজার কেজি এবং অভ্যন্তরীণ ভোগ ছিল ১ কোটি ৪২ লাখ ১০ হাজার কেজি। আর ২০১৫ সালে চা উত্পাদন ছিল ৬ কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার কেজি এবং অভ্যন্তরীণ ভোগ ছিল ৬ কোটি ৫০ লাখ কেজি। এছাড়া সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানের মাধ্যমে ১৮৫৪ সালে দেশে চা চাষ শুরু হয়। চা বোর্ডের হিসাবে বিশ্বে চা উত্পাদনের পরিমাণ ৪৬২ কোটি ৫০ লাখ কেজি। এর মধ্যে চীন একাই উত্পাদন করে ১৭৯ কোটি কেজি। এরপর ভারত ১১২ কোটি ৬০ লাখ, কেনিয়া ৩৭ কোটি এবং শ্রীলঙ্কা ৩২ কোটি ৮০ লাখ কেজি চা উত্পাদন করে। তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, জাপান ও আর্জেন্টিনার পর বাংলাদেশের অবস্থান দশম। যদিও চলতি বছর উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫-৭৮ মিলিয়ন কেজি চা। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ৮৫ মিলিয়ন কেজি চা উত্পাদন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে এখন প্রতি বছর আনুমানিক ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন কেজি চা বিদেশে রফতানি হয়। এরপরও চলতি বছর ৬ দশমিক ৯ মিয়িলন কেজি চা আমদানি করা হয়েছে। কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান, ভারত, পোল্যান্ড, রাশিয়া, ইরান, যুক্তরাজ্য, আফগানিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, কুয়েত, ওমান, সুদান, সুইজারল্যান্ডসহ অনেক দেশে রফতানি হয় বাংলাদেশের চা।
এক সময় চা রফতানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। চায়ের হারানো গৌরব ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে বর্তমান সরকার। ভবিষ্যতে চা শিল্পের বিকাশ এবং রফতানি বাড়াতে একটি পথ-নকশা তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শিগগিরই পথ-নকশাটি প্রকাশ করা হবে। চা রফতানিতে বাংলাদেশ এখন অষ্টম। আরও এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, দেশে প্রথমবারের মতো চা উত্সব আয়োজন করা হয়েছে। চা-শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে বর্তমান সরকার। আশা করা হচ্ছে, চা-শিল্প তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। বর্তমানে দেশে চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি। তার মধ্যে সিলেট জেলায় ২০টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৯৩টি, হবিগঞ্জে ২২টি, চট্টগ্রামে ২৩টি, পঞ্চগড়ে ৭টি, রাঙামাটিতে ১টি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১টি বাগান রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২০টি বাগান আছে ব্রিটিশদের। দেশীয় মালিকানাধীন বাগানের সংখ্যা ১৩১টি, আর সরকার পরিচালিত বাগানের সংখ্যা ১৬টি। এতে চা চাষের জন্য জমি রয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার হেক্টর। বর্তমানে দেশে ৫২ হাজার ৩১৭ হেক্টর জমিতে চা চাষ করা হচ্ছে। দেশে চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার সংখ্যা এখন ১১৪টি। চা বাগানগুলোতে বর্তমানে স্থায়ীভাবে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার। এর মধ্যে শতে ৭৫ শতাংশ নারী শ্রমিক। অস্থায়ীভাবে নিয়োজিত আছে আরও ৩০ হাজার শ্রমিক। তবে চা শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সাড়ে ৩ লাখ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৭ লাখ মানুষ জড়িত। আমাদের দেশে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রতিদিনই বাড়ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে বিবেচনায় নিলে ২০২৫ সাল নাগাদ চায়ের মোট চাহিদা দাঁড়াবে ১২৯ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন কেজি এবং বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ওই সময়ে চায়ের উত্পাদন হবে মাত্র ৮৫ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন কেজি।
এদিকে চা শিল্প উন্নয়নে ‘উন্নয়নের পথ নকশা’ শীর্ষক একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৬৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এ পরিকল্পনায় চায়ের অতীত ইতিহাস ধরে রাখতে ও গড় ব্যবহার বাড়াতে সারাদেশের ১৬২টি চা বাগান থেকে ১১ কোটি কেজি চা উত্পাদনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। যেহেতু চা একটি অর্থকরী ফসল সেহেতু এর চাষাবাদ সম্পর্কে আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে। দেশের চা-চাষের পরিমাণ বাড়াতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও এর চাষাবাদ বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। দেশে চা-চাষের পরিমাণ বাড়লে একদিকে যেমন আমাদের দেশের জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল হবে, অপরদিকে বেকার লোকের সংখ্যাও দিন দিন কমে আসবে। তবে চা চাষের ক্ষেত্রে এর গুণগতমান বজায় রেখেই উত্পাদন বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব দেশ চা রফতানিতে আমাদের দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে তাদের চাষাবাদ পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। প্রয়োজনে চাষিদের সরকারিভাবে স্বল্প সুদে ব্যাংক থেকে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। চায়ের চাষ বৃদ্ধির জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। যাতে করে দেশের মানুষ চা চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠে। আবার বিশ্বজুড়ে ক্রেতারা চায়ের রঙ, ঘ্রাণ ও স্বাদ— এই তিনটি বিষয়ে গুণগত মান উন্নত করার ওপরই জোরালো তাগিদ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে চা শিল্প ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলেও যুগোপযোগী আধুনিকায়ন ও প্রত্যাশিত মানে উন্নীত হয়নি। তবে সুযোগ-সম্ভাবনা রয়ে গেছে অপার। পরিশেষে বলব বিশ্বজুড়ে ক্রেতারা চায়ের রঙ, ঘ্রাণ ও স্বাদ এই তিনটি বিষয়ে গুণগত মান উন্নত করার ওপরই জোরালো তাগিদ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে চা শিল্প ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে যেসব বিষয়ে একটু ঘাটতি রয়েছে তার যুগোপযোগী আধুনিকায়ন ও প্রত্যাশিত মানে উন্নীত করতে পারলে আমাদের চা শিল্প উন্নতির শিখরে স্থান করে নিবে বলে আমার বিশ্বাস।

লেখক : যুক্তরাজ্য প্রবাসী



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft