শিরোনাম: |
আশাশুনিতে স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ সংস্কার
পাউবোর কোনো কর্মকর্তা এলাকা পরিদর্শনে যাননি
|
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : অবশেষে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলায় কপোতাক্ষ নদের ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধ সাময়িকভাবে সংস্কার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে ৩০ মার্চ রাত ১২টার পরে কপোতাক্ষ নদের চাকলা এলাকায় প্রায় দুইশ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে একটি গ্রাম ও দুইশ বিঘা মত্স্য ঘের প্লাবিত হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাননি। বাঁধ সংস্কারেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
স্থানীয় প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের নেতৃত্বে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁশের খুঁটি ও মাটির বস্তা দিয়ে কোনোমতে ভাঙনকবলিত বাঁধ সংস্কার করেছেন। তবে, স্থায়ীভাবে সংস্কার করা না হলে আবারও যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল আজিজ জানান, বাঁধ ভেঙে তাদের গ্রামের অন্তত পাঁচশ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি দুর্বল হয়ে পড়েছে। রহমত নামের আরেকজন জানান, গত দুইবছরে এই একই জায়গা থেকে অন্তত ছয়বার বাঁধ ভেঙেছে। এলাকাবাসী বার বার বললেও ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা আজও নেয়া হয়নি। কিছুদিন পর পর বাঁধ ভেঙে এলাকায় লোনা পানি প্রবেশ করায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতাপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, তার এলাকার অধিকাংশ বেড়িবাঁধ দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বার বার বলা সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় না। বাঁধ না ভাঙলে কর্মকর্তারা এলাকায় আসে না। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানোয় এসডিও ফারুক ফোন করে তাকে ধমক দিয়েছেন। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বিএম আবদুল মোমিন ও আশাশুনি এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসও সরোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। |