শিরোনাম: |
বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ ড্র
|
ক্রীড়া প্রতিবেদক : প্রথমে হংকং, এর পর নেপাল- কম শক্তিশালী দুই দলকে উড়িয়ে দিয়ে ইমার্জিং কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল মুমিনুল হকের বাংলাদেশ। তাদের আসল পরীক্ষা ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। যেখানে শক্তিতে দুই দলই ছিল সমানে সমান। ম্যাচ শেষে তারা কেউ কাউকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। ম্যাচটি হয়েছে টাই।
কক্সবাজারে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। বাংলাদেশের পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন তাদের শুরুটা করে তোলেন অসহনীয়। নিজের প্রথম ৩ ওভারে দুই ওপেনার ইমরান বাট ও ইমাম-উল-হককে এলবিডব্লিউ করেন এ ২০ বছর বয়সী পেসার। ২০ রানে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তান আরেকবার জোড়া আঘাতের মুখোমুখি হয়। ৩৪ ও ৩৫ রানে আরও দুই ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা। এই ধাক্কা অতিথি দলটি কাটিয়ে ওঠে হাম্মাদ আজম (৩০) ও হ্যারিস সোহেলের (৬৩) জুটিতে। পঞ্চম উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন তারা। হ্যারিসের হাফসেঞ্চুরির ইনিংসটি ছিল পাকিস্তানের মান বাঁচানো। পরের ব্যাটসম্যানরা ছোটখাটো অবদান রাখলেও হোসেন তালাতের অপরাজিত ৫৭ রান স্কোরবোর্ডে এনে দেয় সম্মানজনক স্কোর। ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৩ রান করে পাকিস্তান। পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশ শুরুটা ভালো করতে পারেনি। স্কোরবোর্ডে ২৪ রান থাকতেই দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও আজমির আহমেদ আউট হন। পরে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিথুনের সঙ্গে দুটি পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন মুমিনুল। অধিনায়ক ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৫ রানে আউট হন। নাজমুলের সঙ্গে তার ৬৩ ও মিথুনের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি বাংলাদেশকে জয়ের পথে রেখেছিল। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে এলোমেলো হয়ে যায় খানিকটা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। শেষ দুই ওভারে ১৪ রানের দরকার ছিল। কিন্তু শেষের আগের ওভারে তারা ৭ রান করে এক উইকেট হারায়। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৭ রান, যেখানে প্রতি বলে একটি করে রানের বেশি নিতে পারেননি দুই ব্যাটসম্যান সাইফউদ্দিন ও নাঈম হাসান। ফলে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় পাকিস্তানের মতোই ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৩। |