শিরোনাম: |
নাসিরের সেঞ্চুরিতে সেমিতে বাংলাদেশ
|
ক্রীড়া প্রতিবেদক : ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে বাংলাদেশের স্কোর ২৫৭ রান। খালি চোখে দলের শক্তিমত্তা প্রকাশ পেতে পারে। কিন্তু তেমনটা নয়। নেপালের বিপক্ষে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ইমার্জিং টিমস কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল মুমিনুল হকের দল। নাসির হোসেনের সেঞ্চুরিই লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেয় স্বাগতিকদের, যার জবাব দিতে ব্যর্থ নেপাল।
হংকংকে ৮ উইকেটে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ৮৩ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশের যুব দল। কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি গ্রাউন্ডে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় সফরকারী দল। শুরুটা হয় তাদের উদযাপনে। অবিনাশ করন তার প্রথম তিন ওভারে তুলে নেন ৩ উইকেট। মাত্র ১৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও আজমির আহমেদ এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুন সাজঘরে। দলীয় ৩৩ রানে নাজমুল হোসেন শান্ত চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠ ছাড়েন। দলের এ বিপর্যয়ে হাল ধরেন জাতীয় দলের দুই তারকা নাসির ও মুমিনুল। পঞ্চম উইকেটে ৭৮ রানের জুটি গড়েন তারা। মুমিনুল ৬১ রানে আউট হলে আরেকবার নড়বড়ে হয় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। সেটা থামে নবম উইকেট জুটিতে, যেখানে নাসিরকে উপযুক্ত সঙ্গ দেন আবুল হাসান। ১৭৫ রানে ৮ উইকেট হারানো দলকে আড়াই’শর উপর সংগ্রহ এনে দেন তারা দুজন ৭৬ রানের জুটি গড়ে। আবুল হাসান ২৮ রানে আউট হন, তবে নাসির অপরাজিত ছিলেন। ১১৫ বলে সাজানো তার ১২ চার ও ২ ছয়ে ১০৯ রানের ইনিংস। ২৫৮ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুতে বিপদের মুখোমুখি হয় নেপালের ব্যাটসম্যানরাও। মাত্র ১৬ রানে তারা হারায় ৩ উইকেট। তবে দিলিপ নাথ ও দীপেন্দ্র সিং আয়ার ৯৮ রানের জুটি গড়ে ওই ধাক্কা সামাল দেন। নাথ ৪১ রানে আউট হলে আবার শুরু হয় তাদের ব্যাটিং ধস। রাহাতুল ফেরদৌসের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪২.৩ ওভারে মাত্র ১৭৪ রানে গুটিয়ে যায় নেপাল। আয়ার ইনিংসের সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন। রাহাত সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন। তার চেয়ে একটি কম পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আবুল হাসান নেন ২ উইকেট। এ জয়ে ‘বি’ গ্রুপে দুই ম্যাচ জিতে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ। একই দিন পাকিস্তান ২৪৮ রানে হারিয়েছে হংকংয়ে। তারাও বাংলাদেশের সমান পয়েন্ট পেয়েছে, কিন্তু নেট রান রেটে পিছিয়ে থেকে দুইয়ে। আগামী ৩০ মার্চ এককভাবে শীর্ষস্থান দখলের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। |