শিরোনাম: |
বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না: প্রধানমন্ত্রী
|
বর্তমান প্রতিবেদক : বিএনপি-জামায়াত গণহত্যা দিবস পালন না করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত প্রমাণ করে দিয়েছে তারা এখনও আলবদর, আলশামসদের সঙ্গেই আছে। বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। যারা মুক্তিযুদ্ধে শোষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তাদের পাশে তারা নেই। বিএনপি-জামায়াত খুনিদের মদদদাতা বলে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, যারা গণহত্যা দিবস পালন করে না, যারা খুনিদের ক্ষমতায় বসায় তারা এদেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করে না, এটা মনে রাখতে হবে। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ এবং বাঙালির বঞ্চনার ইতিহাস যেন না জানতে পারে পঁচাত্তরের পর সেভাবেই ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। পঁচাত্তরের পর ২১ বছর তারা মিথ্যা বয়ান গেয়ে গেছে। কে স্বাধীনতার ঘোষণা দিল তা নিয়ে আলোচনার দরকার নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলোচনার দরকার নেই এ কারণে যে, মানুষের কাছে সত্য স্পষ্ট। হাইকোর্ট রায় দিয়েছে স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যে বিতর্ক, সেটা উচ্চ আদালতই সমাধান করে দিয়েছে। রায় যারা মানে না, তাদের উদ্দেশ্যটা কি। স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, পাগলে কিনা বলে, ছাগলে কিনা খায়- তাদের এই বলে উল্লেখ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। নতুন প্রজন্ম সেই বিকৃত ইতিহাস পড়ে বড় হয়। ১৯৯৬ সালে এসে প্রকৃতটা জানতে শুরু করে। মাঝখানে আবারও খারাপ সময় গেছে। আমরা যখন ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসলাম তখন থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকৃত কথা জানা যাচ্ছে। প্রযুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে প্রযুক্তির যুগে সঠিক বিষয়টি জানা যায়। বাংলাদেশের ইতিহাস আন্তর্জাতিক টেলিভিশনের আর্কাইভে গিয়ে তথ্য সংগ্রহেরও সুযোগ আছে। শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষুধার্ত মানুষকে দেখিয়ে নিজেদের ভাগ্য তৈরি করেছে। বিলাস ব্যাসনে টাকার কথা চিন্তা করেছে। দরিদ্র, খেটে খাওয়া ভূমিহীন মানুষের কথা চিন্তা করার ক্ষমতা তাদের ছিল না। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ আসলে উন্নতি হয় কারণ, আমরা নিজেদের ভাগ্য গড়তে আসি না, জনগণের ভাগ্য গড়তে আসি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি শাসক নয় সেবক হতে এসেছি। সেবক হিসেবেই কাজ করে যাচ্ছি, কারণ, পিতার কাছে সেটাই শিখেছি। তার যে স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের মানুষ ক্ষুধার হাত থেকে মুক্তি পাবে, শিক্ষা পাবে সেসব কথা সবসময় বলতেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ঘরের শত্রু বিভীষণরাই সমস্যা। এদেশের মাটি এতই উর্বর যে, ক্ষেতভরা ফসলও হয়, আগাছা পরগাছাও জন্মে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে তাদের মনবেদনা হচ্ছে। যখন আমরা দেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি, যখন দেশটা এগিয়ে যায় তখনই যেন অন্তর্জ্বালা শুরু হয় তাদের। তিনি বলেন, সারাবিশ্ব বাংলাদেশকে বলে উন্নয়নের রোল মডেল। যখন সরকার গঠন করি সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা কিন্তু আমরা প্রবৃদ্ধি ৬ ভাগে ধরে রেখেছিলাম, কাউকে একটু বুঝতে দেইনি। সেটা এখন ৭ এর ওপরে পৌঁছেছে। বিএনপি-জামায়াতের চরিত্র স্পষ্ট উল্লেখ করে হাসিনা বলেন, এদের চরিত্র সম্পর্কে সবসময় জাতিকে মনে রাখতে হবে। এরাই জাতির পিতার খুনিদের পুরস্কৃত করে, যুদ্ধাপরাধীদের পুরস্কৃত করে। ক্ষমতায় যখন ছিল তখন কোনো উন্নয়ন না করে তারা বাংলার খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলে বিদেশ থেকে টাকা এনে, অনুদান এনে খেয়েছে। দেশে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বাড়ির মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, কাকে ভাড়া দিচ্ছেন, কাদের ভাড়া দিচ্ছেন তা ভালো করে জেনে-বুঝে দেবেন। না হলে ক্ষতি কিন্তু আপনাদেরই হবে। |