শিরোনাম: |
মনবেড়ি
|
মাসুদ পারভেজ : চাঁদের হিম আলো মন্দিরের স্যাঁতস্যাতে দেয়ালে নেতিয়ে পড়লে মরাছায়া মুখ ভার করে আছড়ে পড়ে মানুষের দেহের জমিনে। চারজন কতকাল পর আবার মিলিত হয়ে জীবনের একটা হিসাব কষার আয়োজনে মেতেছে। ফেলে আসা কাল কিংবা স্মৃতি যেভাবে গল্প হয়ে টিকে থাকে কিংবা বেওয়ারিশ হয়ে হারিয়ে যায় তারা দুটোকেই আমলে নেয়। তখন চাঁদের হিম আলোতে তারা ধ্যানী হলে মন্দিরটা একটু নড়েচড়ে ওঠে। কিংবা বলা যায়, মন্দিরও নিজের হিসাব কষতে চায় তার জীবনের।
মন্দির ও চারজন তখন এক রেখায় ধ্যানী হলে জায়গাটার একটা নিম ইতিহাস কিংবা কাহিনীর নাগাল পাওয়া যায়। প্রত্যেক বছর এই মন্দিরে সোনার যে মূর্তিটা একদিন কয়েক ঘণ্টার জন্যে আসে তা নিয়ে মন্দিরের মনে একটা চাপা কষ্ট আছে। শয়ে শয়ে ভক্ত ওই একটা দিনে হাজির হলে সে ম্যালা দিন আগেকার স্মৃতি বিচড়ায়। মন্দির থেকে কয়েক হাত দূরে যে-ঘরগুলো এখন খসে পড়ছে তার সঙ্গে মন্দিরের বেড়ে ওঠার গল্প আছে। ওই যে-সোনার মূর্তিটা একদিন কয়েক ঘণ্টার জন্যে আসে সেটা-তো এই মন্দিরের এক সময়ের বাসিন্দা ছিল। আর মন্দিরের পাশে যে দীঘিটা এখন জবর-দখল হয়ে ভরাট হচ্ছে সেটা আনন্দ সাগর নাম নিয়ে কত দিন রাজবাড়ী থেকে আসা রানী আর তার সখীদের জলকেলির জায়গা ছিল, সেসব এখন দূর অতীত। রানী রাজবাড়ী থেকে নৌকায় করে সখীদের নিয়ে জলকেলি করতে আসতো এই আনন্দ সাগরে। আর যে-ঘরগুলো এখন নোনাধরা ইটের চিহ্ন হয়ে আছে কোনোরকম ক্ষয়ে ক্ষয়ে সেখানে এসে জলকেলি শেষে রানী কাপড় পাল্টাতো। তারপর মন্দিরে পূজা দিতো হয়তো-বা কোনো কোনো দিন। তখন সোনার মূর্তিটা এই মন্দিরে ছিল। মন্দিরের কদর ছিল। এখন শুধু গোষ্ঠর দিনে মন্দিরে আসে সোনার মূর্তিটা। তাও রাতযাপন করে না। মন্দির এইখানে কিছুটা নিস্তব্ধ হলে চারজন একসাথে রানীর জলকেলি পর্বে ফিরে যায়। এই চারজন একসাথে রানীর প্রেমে পড়েছিল কিংবা রানীর রূপের মোহে আটকা পড়েছিল। রাজবাড়ীতে হাজির হয়ে রানীর দেখা পাওয়ার কপাল নিয়ে যদিও তারা জন্মে নাই তারপরেও তারা রানীকে দেখেছিল। আর এই দেখাই তাদের জীবনে কাল হয়ে যায়। রাজবাড়ীর শুকসাগর থেকে নৌকায় রানী আসতো আনন্দ সাগরে। রাজার রানী, তার রূপের বাহারে রাজ্যের কোণে কানাচে কত ঢেউ তোলা কাহিনী ভাসে। গরিবের ঘরে জন্মিলে কন্যা বাপ-মায়ে কয়, এক্কেরে রানীর মতন! রানী কিন্তু তারা কখনও চোখে দেখে নাই। কারো দেখার সাহসও হয় নাই। ওই চারজন সেই সাহস দেখায়। রানী সখীদের নিয়ে জলকেলি করে। কি নরম সে শরীর, কি মোহ সে রূপের! নিমীলিত হয়ে আসা চোখ বারেবারে রাজা হওয়ার স্বপন দেখায়। তোরা রাজা হো, তোরা রাজা হো। রাজা হওয়া কি মুখের কথা নাকি স্বপন দেখিলে রাজা হওয়া যায়! তাও ধন নয়, সম্পত্তি নয়, রাজ্য নয়, ক্ষমতা নয়, এক রানী পাবার আশায় রাজা হতে মন চায়। রূপের মায়া বড়ো মায়া গো! হেলেন আর ট্রয়ের কাহিনী কে না জানে। রূপের মোহে আটকা প্যারিস হেলেনকে ট্রয়ে আনে। তারপর সে এক বিভীষিকা। কাঠের ঘোড়া। হেক্টর। মৃত্যু। না এই চারজন রানীকে আনে নাই। চারজন লুকোছাপার মাঝে এক অসীম মায়ার জগত ডিঙিয়ে প্রেমের প্লেটোনিক রূপটাকেই চেয়েছিল। এই মোহে তারা কখন আটকা পড়ে নিজেরাও টের পায় নাই। আর তখন তাদের মনে আশা এসে নাড়া দিয়ে যায়। আশা এসে বলে, একদিন রানীও তাদের ডাকবে। তারপর ‘আশার ছলনে ভুলি’ তারা নিজেরাই নিজেদের মরণ ডেকে আনে। সেই দিন রানী যখন সখীদের নিয়ে রাজবাড়ী থেকে বের হয় তখন আসমান সাফ ছিল। তারপর রানী যখন জলে নামে তখনও আসমান সাফ ছিল। তারপর আসমান মুখভার করে কালো হয়ে আসে। তখন কালো আসমান দেখে রানী হয়তো-বা ভয় পায় আর তারা চারজন রানীর ভয় পাওয়া চেহারা কখনও দেখে নাই। তখন তারা রানীকে অভয় দেয়ার জন্যে আড়াল থেকে বের হয়ে রানীর কাছাকাছি এলে রানী চিত্কার দেয়। রানী চিত্কার দিলে আসমানের কালো মেঘ তাল দেয়। তারপর তারা চারজন বন্দি হয়। তারা রানীকে ধরতে যায় নাই কিংবা তারা রানীর রূপের মোহে পড়েছে এসব কিছুই বলতে পারে নাই। মন্দিরের যে জায়গাটায় তারা এখন বসে আছে সেখানেই তাদের কতল করা হয়। তাদের রক্তে মন্দিরের মাটি অভিশপ্ত হয়, আনন্দ সাগরের পানিতে হাহাকারের বলক ওঠে। এই চারজনকে হত্যার সময় রাজ্যের সকল প্রজাকে ডাকা হয়েছিল যাতে তারা শাস্তি দেখে ভয় পায়। প্রজারা এসেছিল, তারা ভয়ও পেয়েছিল আবার তারা ভুলেও যায়। কিন্তু ভুলে না মন্দিরের মাটি আর আনন্দ সাগরের পানি। আনন্দ সাগরের পানিতে আর আনন্দ থাকে না। শুকাতে থাকে। মন্দিরের পূজারিও কমতে থাকে। এভাবে একদিন আনন্দ সাগরের সব পানি শুকিয়ে যায় আর মন্দিরও হয়ে পড়ে পূজারিশূন্য। রাজ্যের সবচেয়ে বড় দীঘি আনন্দ সাগর জলশূন্য হয়ে পড়ায় রাজ্যের অন্য দীঘিগুলোও বড় দীঘির দুঃখের ভাগিদার হয়। তখন তাদেরও জল শুকায়। রাজ্যের জল শুকালে রাজা বিপাকে পড়ে। রাজ্যের সকল পুরোহিত-গণক কেউ এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে না। তখন রাজা রাজ্যে নতুন দীঘি খনন শুরু করে। আর এই দীঘি আনন্দ সাগর দীঘির চেয়েও বড়। দীঘির খনন শেষ হয়ে যায় কিন্তু দীঘিতে জল ওঠে না। রাজা আরও বিপাকে পড়ে। তখন একটা ঘটনা ঘটতে থাকে। রাজ্যের সকল প্রজারা এক এক করে স্বপন দেখতে থাকে যে, রাজা মরে গেছে আর শ্মশানে তার চিতা থেকে ধোঁয়ার বদলে জলের ধারা নেমে আসছে। এই স্বপ্ন চাউর হয়ে গেলে রাজা নিজেও একদিন এই স্বপন দেখে। তারপর রাজ্যের পুরোহিত ডেকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা চাইলে পুরোহিত রাজার দুর্দিনের ইঙ্গিত দেয়। রাজার চিতা থেকে ধোঁয়ার বদলে পানির ধারা নেমে আসার স্বপ্ন রাজ্যে চাউর হয়ে গেলে রাজার মনে ভয় জাগে। তখন রাজার আদেশে বড় যে দীঘিটা খনন করা হয়েছে তাতে একটা মন্দির তৈরি করে রাজ্যের সবচেয়ে বড় পুরোহিতকে দিয়ে প্রার্থনা করানো হয়। কিন্তু তাতেও দীঘিতে পানি ওঠে না। আর স্বপ্নটা এমনভাবে চাউর হয়ে যায় যে, রাজ্যের সকল প্রজারা বিশ্বাস করে ফেলে রাজার মৃত্যু না হলে রাজ্যে পানির সঙ্কট মিটবে না। তখন প্রজারা রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। রাজা বিদ্রোহীদের হত্যা করলে রাজাকে হত্যার জন্যে রাজ্যের প্রজারা হন্যে হয়। ২ মওলানা ভাসানী হলের পাশ দিয়ে লাল ইটের যে-রাস্তাটা গেরুয়ার দিকে গেছে সেটা ধরে হিসেবি কয়েক পা ফেললে ছোটখাটো টিলা নিয়ে গড়া একটা সবুজ বিস্তীর্ণ ভূমির নাগাল পাওয়া যায়। সেই বিস্তীর্ণ ভূমিতে পাওয়া যায় একটা বটগাছ। বটগাছের নিচে বসে ঝাঁঝাল রোদে ঘাম শুকানো আর বিড়ি ফুকানো দুটোই চালান যায়। আর চাঁদের রাতে যুবকেরা চন্দ্রাহত হয়ে এই সবুজ ঘাসে আশ্রয় নেয়। তবে কারো বেশি দিন চন্দ্রাহত দশা থাকে না। তারা আবার নিজ নিজ ডেরায় ফিরে যায়। কিন্তু চারজন ফিরতে পারে না। তারা রাত পার করে ওই সবুজ ঘাসের ওপর আর দিন হলে থাকে বটগাছের নিচে। ৩ ভোরের আবছা আলো তখনও ভালো মতো নিজেরে জানান দিতে পারে নাই এমন যখন দশা তখন সারারাত লেখালেখির পর ওই আলোতে সেলিম আল দীন ঘর থেকে বের হয়ে যায়। গেরুয়ার ওই রাস্তাটা ধরে সেলিম আল দীন হাঁটে। হাঁটতে হাঁটতে যখন আলো ক্রমে আসতে চায় কিন্তু যুত মতো পারে না এমন দশায় চারপাশের জগতের রঙ পাল্টায় তখন সেলিম আল দীন বটগাছটার পাশে দাঁড়ায়। এইখানে দাঁড়িয়ে তিনি যখন লেখাটার বাকি অংশটার কথা ভাবছিলেন তখন চারজন চন্দ্রাহত সেই বিস্তীর্ণ সবুজ প্রান্তর থেকে রেব হয়ে এসে তার পায়ে পড়ে। সেলিম আল দীন হতচকিত হলে তারা চারজন চন্দ্রাহত বলে, আমাদের নিয়া একটা নাটক লেখেন। ওই আলোতে তাদের দেখে সেলিম আল দীন ছিনতাইকারী ভাবে। সেলিম আল দীন: সন্ত্রাস আর শিল্প একসঙ্গে চলে না। চন্দ্রাহত চারজন: বাবা, আমরা সন্ত্রাসী না। সেলিম আল দীন: তাহলে তোরা কারা? চন্দ্রাহত চারজন: বাবা, আমরা পিরিতের মরা। এই কথা শোনার পর সেলিম আল দীন চন্দ্রাহত চারজনকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে। তারপর বলে, তোরা কোথায় থাকিস? তখন তারা আঙুল দিয়ে বিস্তীর্ণ সবুজ ভূমিটার দিকে ইশারা করে। জগতের রঙ পাল্টানো সেই আলোতে সেলিম আল দীন বটগাছটার নিচে তাদের নিয়ে বসে। যখন তারা কথা শুরু করে জগত তখনও জাগে নাই। চন্দ্রাহত চারজন তাদের পিরিতের মরা হওয়ার কাহিনী শুরু করে: অনেক দূর থেকে তারা এই বিশ্ব পাঠশালায় পড়তে আসে। পাঠশালার পাঠে তাদের মন না ভরলে জগতের পাঠ নিতে থাকে। আর তখন তাদের পরিচয় হয় এক বাউলের সঙ্গে। ওই বাউলের কাছে তারা শিষ্যত্ব গ্রহণ করে। এভাবে যখন চলছিল তাদের পাঠ তখন একদিন তার ব্যত্যয় ঘটে। বাউলের বাড়ির পাশ দিয়ে যে জলাঙ্গীটা গেছে তার জলে স্নান শেষে ভেজা কাপড়ে বুক ঢেকে আর ভেজা চুল খোলা পিঠে ছড়িয়ে যখন বাউলের সাধন সঙ্গিনী গৃহে ফিরছিল তখন তারা চারজন তার প্রেমে পড়ে। ওই দিনের পর তারা প্রতিদিন ওই সময় বাউলের সাধন সঙ্গিনীর স্নানের অপেক্ষা করতে থাকে। এভাবে দিন গড়াতে থাকলে তারা আর নিজেদের আটকাতে পারেনি। দিনের সঙ্গে নিজেরাও গড়ায়। তখন জগতের পাঠে আর তাদের মন থাকে না। বাউল ব্যাপারটা টের পেলে তার কাছে খোলাসা করতে বলে। কিন্তু তারা কিছুই বলতে পারে না। তখন বাউল তার সাধন সঙ্গিনীর কাছে জানতে চায় তার কোনো কিছু বলার আছে কি-না। সঙ্গিনী সাধনার স্তর পেরিয়েছে। তো চারজনের প্রেম স্বীকার করে না, আবার অস্বীকারও করে না। সাধন সঙ্গিনী ব্যাপারটা এমনভাবে করে যাতে ওই চারজন প্রেমের এক নতুন তীরের সন্ধান পায়। আর এটাও তাদের সাধনার একটা স্তরের মধ্যেই ছিল। কিন্তু তারা সে স্তরে পৌঁছার আগেই প্রেমে পড়ে। তাদের প্রেমে মোহ ছিল। এই মোহ রূপের। আর এই রূপের মোহ ধীরে ধীরে কাম জাগায়। যখন তারা মোহকে জয় করতে পারে নাই তখন বাউল তাদের মোহ জয় করার পাঠ দিতে থাকে। কিন্তু তারা সেই পাঠ নিতে রাজী হয় না। তারা বুঝতে পারে এই পাঠ নিলে সাধন সঙ্গিনীর প্রতি যে আকর্ষণ তাদের মনে তা আর থাকবে না। যদিও তারা এটা জানত না যে, সাধনার কোনো একস্তরে তাদের সাধন সঙ্গিনীর কাছেও শিষ্যত্ব নিতে হতো। হয়তো-বা সাধন সঙ্গিনী তাদের তখন শেখাতো রূপের মোহ বাদ দিয়ে নির্মোহ হওয়ার সাধনা। সে পর্যন্ত তারা যায় নাই। কিংবা সে দিনের নাগাল তারা কোনোদিন আর পায় নাই। সাধন সঙ্গিনীর প্রতি তাদের প্রেম যখন কামে রূপ নিতে থাকে তখন তারা নিজেদের আত্মা হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর এই হত্যার কথাটা বলার জন্য যখন তারা সাধন সঙ্গিনীর নাগালে যায় তখন সে ভরা জলাঙ্গীতে স্নান করতে থাকে। তারা চারজন জলাঙ্গীতে নামলে তাদের চেহারায় ভর করে থাকা কাম সাধন সঙ্গিনীর চোখে লাগে। সাধন সঙ্গিনী ভয় পায় আর সেই ভয় জলাঙ্গীতে সঞ্চারিত হলে জলাঙ্গী তাকে আশ্রয় দেয়। হয়তো-বা সাধন সঙ্গিনী রাধার মতো বলেছিল, মেদিনী পসার বিদিআ লুকাও। আর জলাঙ্গীর জল তখন ফুঁসে ওঠে। আর তখন জনমের মতন তাকে আশ্রয় দেয়। তখন তারা চারজন বলে, তারপর থেকে আমরা টিলার ওপারে জলাঙ্গীর ধারে অপেক্ষা করি সাধন সঙ্গিনীর। আমরা অভিশপ্ত হয়ে গেছি। আর আমাদের মৃত্যু হবে না। কিন্তু আমরা মুক্তি চাই। মৃত্যু চাই। আপনি পারেন আমাদের মুক্তি দিতে। তখন সেলিম আল দীন বলে, কীভাবে? চন্দ্রাহত চারজন: আপনি আমাদের নিয়ে নাটক লেখেন। সেলিম আল দীন: তারপর? চন্দ্রাহত চারজন: তারপর সেই নাটকে আমাদের মৃত্যুদণ্ড দেন। সেলিম আল দীন: আমি তো শাসক নই যে মৃত্যুদণ্ড দিব। আর আমি জীব হত্যা করি না। ‘প্রাচ্য’ পবিত্র ভূমি। এখানে রক্তপাতে অভিশাপ নামে। আলো তখন ক্রমে আসা শুরু হয়ে গেছে। চরাচর জেগেছে। আর তখন চন্দ্রাহত চারজন সেই আলোর সঙ্গে মিশে যায়। আর তখন সেলিম আল দীন সারারাত যে লেখাটা লিখেছিলেন সেটা নিয়ে ভাবনায় পড়েন। তখন হত্যাকারী রাজাকে হত্যার জন্য প্রজাদের যে-খোয়াবের ভেতর তিনি ডুবিয়েছিলেন তা থেকে সরে আসা মনোস্থির করেন। কিন্তু তিনি আবার ভাবনায় পড়েন মন্দিরের মাটিতে বসে জীবনের হিসাব কষতে থাকা চারজনকে নিয়ে। - রাইজিংবিডি ডট কম অবলম্বনে |