শিরোনাম: |
ওরা এগারো জন
|
ক্রীড়া প্রতিবেদক : বাংলাদেশ নিজেদের ক্রিকেটের ইতিহাসে শততম টেস্ট ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এই ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে ৪ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। আর এই শততম টেস্টে যে ১১ জন নিজেদের সাক্ষী করার সুযোগ পেয়েছেন তাদের সম্পর্কে কিছু তথ্য পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।
মুশফিকুর রহিম টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ২০০৫ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন তিনি। শততম টেস্টের আগ পর্যন্ত ৫৩টি টেস্টে রান করেছেন ৩,১৯১। সাদা পোশাকে ৫ সেঞ্চুরির পাশাপাশি মুশফিকের রয়েছে ১৬টি হাফ সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ রান ২০০। ২০১৩ সালে লঙ্কানদের বিপক্ষে গল টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের মধ্যে মুশফিক সর্বপ্রথম ডাবল সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন। তামিম ইকবাল বাংলাদেশ ক্রিকেটে তামিম ইকবালের অবদানও নেহাত কম নয়। ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডুনেডিনে অভিষেকের পর থেকে ৪৮ টেস্টে খেলে ৩,৫৪৬ রান এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে। যেখানে রয়েছে সেঞ্চুরি ৮টি এবং হাফ সেঞ্চুরি ২১টি। ২০১০ সালে লর্ডস ও ম্যানচেস্টারে ১০৩ ও ১০৮ রানের ইনিংস খেলে হইচই ফেলে দেন। ২০১৫ সালে ২০৬ রান করে মুশফিকের আগের করা ২০০ রানের রেকর্ডটি ভেঙে দেন তামিম। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি এ রেকর্ড করেন। সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের অন্যতম একজন ক্রিকেটার হলেন সাকিব আল হাসান। এ অব্দি ৪৮ টেস্টে খেলা সাকিব চার সেঞ্চুরি ও ২১ হাফসেঞ্চুরিতে ৩,৩৪৮ রান করেছেন। বল হাতে আরও বিধ্বংসী সাকিব। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগ পর্যন্ত নিয়েছেন ১৭০টি। টেস্টে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৫ বার। সেরা বোলিং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৬ রানে ৭ উইকেট। টেস্টে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক তিনি। ওয়েলিংটনে কিউইদের বিপক্ষে ২১৭ রানের ইনিংস খেলেন। এটিই বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। ইমরুল কায়েস দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০০৮ সালে অভিষেক হয় ইমরুল কায়েসের। অভিষেকের পর কিছুটা সময় বাজে কাটলেও সম্প্রতি ফর্মে আছেন এ ওপেনার। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট মিস করলেও দ্বিতীয় টেস্টের আগে স্কোয়াডে জায়গা পান। ২৭ টেস্টে ১৪৩২ রান এসেছে ইমরুলের ব্যাট থেকে। তিনটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি রয়েছে চারটি হাফ সেঞ্চুরি। সৌম্য সরকার পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৫ সালে খুলনা টেস্টে অভিষেক হয় সৌম্যর। নিজের অভিষেক ম্যাচে ব্যাট হাতে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন। মাঝে কিছুটা সময় ছন্দে না থাকলেও গল টেস্টে পর পর দুই ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ৬ ম্যাচে তিন হাফসেঞ্চুরিতে করেছেন ৪১০ রান। সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেছেন ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সাব্বির রহমান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেক হয়েছিল সাব্বির রহমান রুম্মনের। কঠিন উইকেটে দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে টেস্টে টিকে যায় সাব্বির। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্কোয়াডে থাকলেও গল টেস্টে একাদশে ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত শততম টেস্টে খেলার সুযোগ পেলেন বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যান। ৫ ম্যাচ খেলে ৩০.৮৭ গড়ে তিন হাফসেঞ্চুরিতে সাব্বিরের সংগ্রহ ২৪৭ রান। মেহেদি হাসান মিরাজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকেই চমকে দিয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দুই ম্যাচের অভিষেক টেস্টে ১৯ উইকেট নিয়ে যা ছিল রেকর্ড। অভিষেকের পর থেকে টানা সবগুলো ম্যাচই খেলেছেন। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টেও উজ্জ্বল ছিলেন মেহেদি। ৬ টেস্টে তার উইকেট সংখ্যা ৩১। অন্যদিকে শুরুতে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও গত দুই টেস্টে রান পেয়েছেন। ৬ ম্যাচে তার রান সংখ্যা ১৬৩। মোসাদ্দেক হোসেন শততম টেস্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ টেস্টেই অভিষেক হয়েছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের। ৮৬তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্যাপ পেয়েছেন এক মৌসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি করা মোসাদ্দেক। তাইজুল ইসলাম ২০১৪ সালে কিংসটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল তাইজুল ইসলামের। এরপর এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ১২টি টেস্ট খেলেছেন তাইজুল। নাটোরের এই ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ সাফল্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ৩৯ রানে আট উইকেট। সব মিলিয়ে ১২ টেস্টে তার উইকেট সংখ্যা ৪৬টি। এখন পর্যন্ত তিনবার পেয়েছেন পাঁচটি করে উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমান অভিষেকের পর থেকেই বিস্ময়ের জন্ম দিয়ে গেছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। কাউন্টি ক্রিকেটে গিয়ে ইনজুরিতে পড়ে কিছুটা ছন্দ হারালেও ধীরে ধীরে আগের সেই রূপে ফিরছেন মুস্তাফিজ। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হলেও গত দুই বছরে মাত্র তিনটি টেস্ট খেলেছেন। এই তিন টেস্টে তার উইকেট সংখ্যা সাতটি। সেরা সাফল্য অভিষেক টেস্টের ৩৭ রানে চার উইকেট। শুভাশীষ রায় এই বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টে একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন শুভাশিষ। এরপর সর্বশেষ গলে লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচেও ছিলেন। দুই ম্যাচ মিলে তার পারফরম্যান্স আশা ব্যঞ্জক না হলেও টিম ম্যানেজমেন্ট তার ওপর আস্থা রেখেছেন। |