শিরোনাম: |
বাংলাদেশের শততম টেস্টে সাকিবের শতরান
|
ক্রীড়া প্রতিবেদক : অনেক সমালোচনা সত্ত্বেও শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে রেকর্ড বইয়ে ঢুকে গেলেন বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বিশ্ব ক্রিকেটে এর আগে আরও ৭ ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেছিলেন নিজ নিজ দেশের শততম টেস্টে। তাদের পর অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব এই কীর্তি গড়লেন বাংলাদেশের শততম টেস্ট খেলতে নেমে। আর নিজ টেস্ট ক্যারিয়ারে সাকিবের এটি পঞ্চম শতরান।
পাকিস্তানের মাজিদ খান, অস্ট্রেলিয়ার ওয়ারেন বার্ডসলি ও চার্লস কেলওয়ে, নিউজিল্যান্ডের বেভান কংডন ও ব্রায়ান হেস্টিংস, দক্ষিণ আফ্রিকার বিলি ওয়েড এবং জিম্বাবুয়ের গ্রায়েম ক্রেমারের পর সাকিব করলেন দলের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ও নিজেকে নিয়ে গেলেন অন্য উচ্চতায়। দ্বিতীয় দিন যাচ্ছেতাই শট খেলে বারবার আউট হওয়ার চেষ্টা করছিলেন সাকিব। শ্রীলঙ্কার দুর্ভাগ্য, চেষ্টা করেও সাকিবকে সাজঘরে ফেরত পাঠাতে পারেনি। সেই সাকিবই তৃতীয় দিন বদলে গেলেন! যদিও শুরুতে আগের দিনের ভাবটা কাটতে কিছুটা সময় নিয়েছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে বদলে গেলেন বিশ্বের সেরা এই অলরাউন্ডার। মুশফিক আউট হওয়ার আগে তাকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ একটি জুটি গড়েন সাকিব। মুশফিক বিদায় নেয়ার পর তরুণ মোসাদ্দেককে সঙ্গে নিয়ে শতরানের আরও একটি জুটিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ চারশ’ পার হয়। সেই সঙ্গে সাকিবও তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় দিন শেষে ব্যাটিং কোচ সামারাবিরা বলেছিলেন নতুন দিন, নতুন করে শুরু করবে ব্যাটসম্যানরা। ব্যাটিং কোচের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাকিব দেখালেন। বাংলাদেশর শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি করে নিজের জাত চেনালেন তিনি। গত কিছু দিন সাকিবকে নিয়ে যে সমালোচনা হচ্ছিল সেটা ফর্ম নিয়ে নয়। টেস্ট ক্রিকেট সাকিব যে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছেন, সেইসব নিয়েই প্রশ্নটা। কিন্তু সাকিব কখনোই তা মানতে চাননি। শুক্রবারও সেঞ্চুরির পথে খুব বেশি স্ট্রোক খেলছিলেন এই অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত ভাগ্যের সহায়তায় সেঞ্চুরি পেলেও সমালোচকদের মুখটা বোধ হয় বন্ধ করতে পারলেন না! কেন না আউট হলেন বাজে শট খেলেই। সান্দাকানের বলে এগিয়ে খেলতে গিয়ে চান্ডিমালের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরেন সাকিব। বৃহস্পতিবার ১১ রানে জীবন পেয়ে সেটাকে খুব ভালো করেই কাজে লাগান সাকিব। বাংলাদেশের সেরা এই অলরাউন্ডার বেশ কয়েকটা ‘সুযোগ’ দিলেও সেগুলো কাজে লাগাতে পারেননি লঙ্কান ফিল্ডাররা। আর তাতেই বেঁচে যান সাকিব, বেঁচে যায় বাংলাদেশ। পেরেরার লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে বলটি সুইপ করে চারের সাহায্যে লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাকিব। এর আগে দলটির বিপক্ষে তার সর্বোচ্চ রান ছিল ৯৬। ২০০৮ সালে ঢাকা টেস্টে সাকিব অল্পের জন্য সেঞ্চুরিবঞ্চিত হন। দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনশেষে বাংলাদেশে লিড নিয়েছে ৭৫ রানের। লঙ্কানদের প্রথম ইনিংসে করা ৩৩৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ দলের প্রথম ইনিংস ৪৬৭ রানে থেমে যায়। ১২৯ রানে পিছিয়ে থাকা লঙ্কানরা তৃতীয় দিনশেষে দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ করেছে বিনা উইকেটে ৫৪ রান। প্রথম টেস্টে ২৫৯ রানে জিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দল ১-০ তে এগিয়ে আছে। সিরিজ ড্র করতে হলে জয়ের কোনো বিকল্প নেই টাইগারদের সামনে এই টেস্টে। |