শিরোনাম: |
দীর্ঘায়ু হতে মহাকাশ কলোনিতে বসবাস!
|
বর্তমান ডেস্ক : ২০ বছর পরেই মহাকাশ কলোনিতে বসবাস করবেন কয়েক হাজার মানুষ। পৃথিবীর বাসিন্দাদের থেকে তাদের আয়ু এবং উচ্চতাও বেশি হবে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দুই দশকের মধ্যেই পৃথিবীর বাসিন্দারা মহাকাশে পাকাপাকি থিতু হতে পারবেন বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ আন্তঃগ্রহ প্রতিষ্ঠান বিআইএস-এর বিশেষ মহাকাশ প্রকল্পের প্রধান জেরি স্টোন।
১৯৭০ সালে মহাকাশে মানুষের স্থায়ী বসবাস সংক্রান্ত আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার সূত্র ধরে গত কয়েক বছর যাবত্ অনুসন্ধান চালাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানের একদল বিজ্ঞানী। স্টোন জানিয়েছেন, চাঁদ ও বিভিন্ন গ্রহাণু থেকে সংগ্রহ করা পদার্থ কাজে লাগিয়ে মহাকাশে মানুষের বসবাসের উপযোগী আবাসন গড়ে তোলা যাবে। বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক কাজ হবে সোলার প্যানেলের সাহায্যে পৃথিবীতে বিকল্প শক্তি সৃষ্টি করে পাঠানো। বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে যাতায়াতকারী সূর্যের রশ্মি থেকে তৈরি শক্তির তুলনায় মহাকাশে সৃষ্ট শক্তি অনেক বেশি কার্যকরী হবে। এই শক্তি কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে মহাকাশে নানান শিল্প গড়ে উঠবে বলেও মনে করেন স্টোন। তিনি বলেছেন, মহাকাশে পৃথিবীর কক্ষপথে অবস্থিত বিশাল আকৃতির ফাঁকা সিলিন্ডারের ভেতরে মানুষের বসবাসের কলোনি গড়ে তোলা হবে। কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করা সিলিন্ডারের ভেতরে বাসিন্দাদের জন্য প্রয়োজনীয় কৃত্রিম মধ্যাকর্ষণ তৈরি করা হবে। এর আগে মহাকাশ কলোনির জন্য জরুরি সিলিন্ডারের বিভিন্ন নকশা তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞানীরা সেই সমস্ত নকশাকে যথাক্রমে আইল্যান্ড ওয়ান, টু ও থ্রি নামে চিহ্নিত করেছেন। বিআইএস-এর তৈরি সাম্প্রতিক নকশার সাঙ্কেতিক নাম দেয়া হয়েছে আইল্যান্ড জিরো। মধ্যাকর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে তারা মহাকাশ কলোনির অভ্যন্তরীণ ভূমির উচ্চতা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন। বিজ্ঞানী জেরি স্টোনের দাবি, পৃথিবীর চেয়ে মহাকাশের বাসিন্দাদের গড় আয়ু বাড়বে। পাশাপাশি তাদের উচ্চতাও সাধারণ মানুষের তুলনায় বেশি হবে। তার মতে, এর অন্যতম কারণ মহাকাশের দূষণহীনতা। |