শিরোনাম: |
গণহত্যা দিবস মানেই অভিশাপমুক্ত বিপ্লবী বাংলাদেশ: বুলবুল
|
শেখ রাজিয়া সূলতানা : বাংলাদেশের বিখ্যাত সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক। ১৯৭০ দশকের শেষ লগ্ন থেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্প বা ঢালিউডসহ সঙ্গীত শিল্পে সক্রিয় রয়েছেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়ছেন। তিনি ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭৮ সালে মেঘ বিজলি বাদল ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। এরপর তিনি স্বাধীনভাবে গানের অ্যালবাম তৈরি করেছেন এবং অসংখ্য চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।
একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে বাংলাদেশের নিরিহ ঘুমন্ত মানুষের ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল পাক হানাদার বাহিনী। দীর্ঘদিন ধরেই এই দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করার দাবি করে আসছিলেন দেশের মুক্তিযোদ্ধাসহ আপামর মানুষ। অবশেষে গত (১১ মার্চ) ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে জাতীয় সংসদে ঐতিহাসিক প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই দিবস দাবির আন্দোলনের সঙ্গে প্রথম থেকেই জড়িত ছিলেন সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। এই প্রস্তাব পাস হবার পর তিনি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রোফাইল ছবিতে ‘২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করুন’ লিখে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘সবকটা জানালা খুলে দাও না, আমি গাইবো গাইবো বিজয়ের গান। আগামী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, এই দাবি আদায় হয়েছে। এই বিজয় ৩০ লাখ শহীদের এবং ১৬ কোটি বাংলাদেশির। সংগ্রামী শুভেচ্ছা। এ প্রসঙ্গে দেশবরেণ্য গীতিকার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহীদ স্মরণে ?‘২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস’ মানেই অভিশাপ মুক্ত বিপ্লবী বাংলাদেশ। অনেকদিন দিন ধরেই এই দাবি জানিয়ে আসছিলাম। দেশের আরও অসংখ্য মানুষ ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবেই দেখতে চান। পৃথিবীর আর কোনো জাতিকে এক রাতে এত প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়নি। ইতিহাসে এ এক জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ। আমি খুবই আনন্দিত মহান জাতীয় সংসদে এই প্রস্তাবটি পাস হওয়ায়। আমার বিশ্বাস, এই আনন্দ সমগ্র বাংলাদেশের। তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে ২৫ মার্চের তাত্পর্য তুলে ধরতে এই দিবসটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। আমাদের সবার উচিত আগামীর নেতৃত্বে যারা আসবে তাদের সঠিক ইতিহাস জানিয়ে গড়ে তোলা। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ভালো থাকুক। উল্লেখ্য, সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সৈয়দ আবদুল হাদি, অ্যান্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী, খালিদ হাসান মিলু, আগুন, কনকচাঁপাসহ বাংলাদেশি প্রায় সব জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীদের নিয়ে কাজ করেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। তিনি নিয়মিত গান করেন ১৯৭৬ সাল থেকে। |