শিরোনাম: |
একটি চারাগাছ ও পৃথিবীর গল্প
|
শামস সাইদ : সাত দিন পর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। তেঁতুলতলা বসা সেই ল্যাংটা পাগল আজ ফজরের পরে এ কথা বললেন। তখন মসজিদ থেকে একদল মানুষ নামাজ শেষ করে বেরিয়েছেন। পাগল চিত্কার করে বলছেন, ‘মাত্র সাত দিন বাকি আছে। সাতদিন পর পৃথিবীতে কিছুই থাকবে না। পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। শুধু এই তেঁতুল গাছটা থাকবে। তার নিচে বসে থাকব আমি।’ এই উদ্ভট কথা শুনে সবাই অবাক। পাগল এসব কি বলছেন। পাগলের কথা কোন কালেও কেউ বিশ্বাস করে না। আজও কেউ বিশ্বাস করে নাই। তবে মনের মাঝে একটা দোটানা ভাব দেখা দিয়েছে। এই পাগল অন্য সব পাগলের মতো নয়। তিন দিন আগে পাগল বলেছিল, তালতলা বস্তিতে আজ রাতে আগুন লাগবে। পাগল ভাঙা থালা পিটিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছিল। পাগলের কথা কেউ শোনেনি। পিছু নিয়েছিল একদল শিশু-কিশোর। তাদের মধ্যে কয়েকজন ল্যাংটা ছিল। ওরা ল্যাংটা পাগলের শিষ্য নয়। কাপড় কেন পরতে হয় তা জানে না।
পাগল অতো কিছু ভাবছে না। সে থালা পিটাচ্ছে। বলছে, সাবধান। আজ রাতে তালতলা বস্তিতে আগুন লাগবে। পাগলের একথা কেউ বিশ্বাস করেনি। দিনের শেষে কাজ বাজ করে সবাই বস্তিতে ফিরেছে। কেউ বাজার থেকে অর্ধেক পঁচা তরকারি সস্তায় কিনেছে। তা কেটে ভালোটুকু খুঁজে বের করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। কেউ পঁচা মাছের আশ ছাড়াতে পারেনি। তা সহই পাতিলে চরিয়ে দিয়েছে। কেউ চুলা ফুয়াতে ফুয়াতে চোখে ফুলিয়ে ফেলেছে। কেউ লাইন ধরে গোসল করছে। কেউ স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করছে। ‘সারাদিনে দু’কেজি চালের টাকা জোটাতে পার নাই’। কেউ বিড়ি টানছে। কেউ গাঁজার পাতা হাতের তালুতে ডলছে। আর একজন গোসল সেরে এসে টিভিতে বাংলা প্রেমের সিনেমা দেখছে। দক্ষিণ পাশে নূরুল আলম ক্যাসেটের সব পাওয়ার দিয়ে আশরাফ উদাস আর মমতাজের গান শুনছে। ছমিরনের ছোট ছেলে আক্কাছ সারাদিন পাশের ডোবায় নেমে মাছ ধরেছে। সারা গায় কাদা মেখে ভূত সেজেছে। একটা টাকি মাছের পোনা পেয়েছে। গরম পানি করে ছমিরন সেই কাদা ছাড়াচ্ছেন। আর চেচাচ্ছেন। ‘আর কোন দিন মাছ ধরতে যাবি?’ মোমেনার ছয়মাসের বাচ্চার ঘুম ভেঙেছে। দুধ খাবে। সে জন্য কেঁদেকেঁদে মাকে ডাকছে। মোমেনা হাতের কাজ রেখে ছেলের মুখে দুধ দেয়। কারো মনে এই ভয়টুকু নেই যে পাগল বলেছে আজ বস্তিতে আগুন লাগবে। কিন্তু রাত একটা ২৩ মিনিটে ঠিক বস্তিতে আগুন লাগল। তখন বস্তির মানুষগুলো ঘুমিয়েছিল। আগুন দেখে প্রথমে আম্বিয়া চিত্কার করে উঠল। এরপর সবাই নিজের মতো করে জীবন বাঁচাতে ছুটে চলেছে। তখনও কারো মনে পড়ে নাই পাগলের কথা। পাগল বলেছিল বস্তিতে আজ আগুন লাগবে। যখন দিনের আলো ফুটল, দেখল পুরো বস্তি শশ্মান। ঘরবাড়ির সঙ্গে তিনজন মানুষও পুড়েছে। সেই ছাইয়ের মধ্যে আম্বিয়া খুঁজছেন একখানা ফটো। বাঁশের খুঁটি পুড়েছে। হাঁড়ি-পাতিল সব পুড়েছে। টিনের চালা পুড়ে বাকা হয়ে গেছে। সব পুড়লেও ওই ফটোখানা পুড়তে পারে না। কেননা ওই ফটোখানা ছিল তার স্বামীর। যে তিন বছর আগে রিকশা চালাতে গিয়ে ট্রাকের চাপায় মারা গেছেন। আম্বিয়া ছাইয়ের ভেতর সেই ফটোখানা খুঁজছে পাগলের মতো। ছমিরন তার ভাঙা ঘরের ভেতর একখান বাঁশের খুঁটি খুঁজছেন। ঘরের ছয়খানা বাঁশের খুঁটির একখান পাচ্ছেন না। সেই খুঁটিখানা ফুটো করে কিছু টাকা জমিয়েছিলেন। সেই বাঁশখানাই পুড়েছে। আর একখান বাঁশের খুঁটি ধরে কাঁদছে ছমিরন। মোটরসাইকেলে ফটফট শব্দ করে এনজিওর অফিসার এসেছেন। তালগাছের পাশে দাঁড় করিয়ে আম্বিয়ার সামনে এলেন। বললেন, ‘আপনাদের সাহয্য করা হবে’। আম্বিয়া বললেন, ‘চাউল, ডাইল, টাহা-পয়সা, কাফুর-চুফুর লাগবে না। ওই ফটোখানা দেতে পারবেন। হ্যার আর কোন ফটো নাই। কাম-কাইজ কইর্যা আইয়া ওই ফটোখানা দ্যাখতাম’। তখন ময়েজ উদ্দিন বললেন, ‘পাগলের কথা। পাগল ঠিক বলেছিলেন। ল্যাংটা হলে কি হবে? এ পাগল আল্লার ওলি।’ তখন সবার মনে পড়ল পাগলের কথা। ঠিক পাগল এ কথা বলেছিল। এর দুদিন আগে পাগল মোমিন বড়মিয়াকে বলেছিল, ‘আপনি মারা যাবেন। আপনার হায়াত আছে ২৪ ঘণ্টা। আপনার বৌ আপনাকে খুন করবে’। পাগলের কথা শুনে মোমিন বড়মিয়া একটা বাঁশ নিয়ে ধাওয়া করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘তোর পাগলামি আজ ছাড়িয়ে দেব।’ পাগলও দৌড়িয়েছিল। সন্ধ্যার আগে আবার তেঁতুলগাছের নিচে এসে বসল। সকালে মোমিন বড়মিয়া নামাজে আসেন নেই। সবার চিন্তা হলো। বড়মিয়া এলেন না কেন? বাড়িতে গিয়ে দেখলেন তার লাশ পড়ে আছে। বউ নাই। প্রথম বউ মারা যাওয়ার পর ১৮ বছরের এই মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন দুই বিঘা জমি দিয়ে। তার বয়স তখন পয়ষট্টি। মেয়ের বাবা রাজি হয়েছিলেন জমির জন্য। মেয়েকে বললেন, ‘বড়মিয়ায় বুড়া হইয়া গেছে। কয়দিন আর বাঁচবে। জমি দুই বিঘা পাইছ। মরলে আরো পাবি। তারপর দেইখ্যা-হুইন্যা একটা বিয়া করবি।’ পারুলও সেই হিসেব করে রাজি হয়েছিল। কিন্তু বুড়ো এখন মরে না। তিন বছর হয়ে গেছে। মরণের কোন লক্ষণও নেই। দিন দিন শক্ত-পোক্ত হইছে। সপ্তাহখানেক আগে রতন এসেছিল। পারুলকে বলে গেছে আর অপেক্ষা করতে পারব না। এবার আমি বিয়ে করব। কম হয়নি। তিন বছর দেখেছি। কবে তোর স্বামী মরবে। আর কবে তুই আমার বউ হবি। মোমিন বড়মিয়া খুন হওয়ার পরে পাগলের কথা সবাই বিশ্বাস করেছিল। দু’দিন পরে তা ভুলে গেছে। যখন পাগল বলল, ‘বস্তিতে আগুন লাগবে।’ তখন আর সে কথা কেউ বিশ্বাস করল না। ঠিক বস্তিতে আগুন লাগল। এর তিনদিন পর আজ পাগল বলছে, ‘সাত দিন পর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।’ আজ পাগলের কথা কেউ বিশ্বাস করছে না। একজন বলল, ‘পাগল এর আগে যা বলেছে তা কিন্তু সত্যি হয়েছে। মোমিন বড়মিয়াকে তার বউ মেরেছে। বস্তিতে আগুন লেগেছে। তবু কেউ বিশ্বাস করছে না। সাতদিন পরে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।’ একজন বলল, ‘মোমিন বড়মিয়াকে পাগল নিজেও মারতে পারে। পাগলের কাছে কতগুলো গাছের চারা আছে। তা লাগানোর জায়গা চেয়েছিল মোমিন বড়মিয়ার কাছে। সে দেয়নি। বস্তিতে আগুন লাগিয়ে ওই জায়গাটা খালি করতে পারে। ওখানে গাছ লাগাবে। আমরাও সবাই বিশ্বাস করব। এখন বলছেন, সাতদিন পরে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। সবাই বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাবে। পাগল সব লুট করে কাপড় পরে হেঁটে যাবে।’ কারো মনে একটু একটু বিশ্বাস রয়েছে। হতেও পারে। পৃথিবীর বয়স তো কম হয়নি। পাগলা ভাঙা টিনের থালাটা পেটাতে পেটাতে দক্ষিণ দিকে গেল। বলল, ‘সবাই সাবধান। সাত দিন পর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।’ লালমিয়া ডাটা শাকের বিচি ফালাচ্ছিলেন। তিনি ফিরে তকালেন। বললেন, ‘শালা পাগলে বলে কি? এই বিচি না ফোটানোর আগে পৃথিবী ধ্বংস হয় কি করে? তারপরও পাগল বলছে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। শুধু তেঁতুলগাছটা থাকবে। আর আমি থাকব।’ এ কথার পর আর কেউ বিশ্বাস করছেন না পাগলের কথা। পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলে তেঁতুলগাছটা কি করে থাকবে? সবাই যার যার মতো করে ছুটছেন। এসব ভেবে কেউ নিজেকে গুটিয়ে রাখেনি। চলছে বড় বড় অট্টালিকা তৈরির কাজ। এই ইট পাথর সিমেন্ট আসছে। লোহার রডগুলো পিটিয়ে সোজা করছে। বাঁশগুলো সাইজ করে কাটছে। কেউ তকতায় লোহার পেরেক ঢুকাচ্ছে। টুকটাক শব্দ হচ্ছে। কেউ পাইলিং দিচ্ছে। কেউ পিলার গাড়ার জন্য মাটি তুলছে। মটারের ফটফট শব্দ হচ্ছে। আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছে একের পর এক তলা। কেউ পাশের ছোট্ট জলাশয়টা ভরাট করে ফেলছে। কেউ পুরনো সেই গাছগুলো কেটে জমিটাকে খালি করছে। নতুন ওয়াল তুলেছে। কবি একটা নতুন কবিতা লেখার জন্য কল্পনার নদীতে সাঁতার কাটছেন। কৃষক পাট গাছের বীজ বুনছেন। ছলেমান বাজারে যাচ্ছে। বউয়ের জন্য লাল শাড়ি কিনবে। ছেলেরা ছুটছে মাঠের দিকে। ব্যাট-বল নিয়ে। মেয়েরা বসেছে পাঁচগুটি খেলতে। প্রেমিক জুটি বাঁশবাগানে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। হঠাত্ প্রেমিকার ওড়না উড়ে যায়। প্রেমিক তাকিয়ে থাকে স্থূল মাংসপিণ্ডের দিকে। প্রেমিকা বলল, ‘আমাকে এখন বিয়ে করতে হবে।’ গতকাল তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। নতুন বাসা খুঁজছে। সংসার পাতবে। বাচ্চা জন্ম দেবে। অফিসে বসে একজন ঘুমাচ্ছেন। আর একজন ফাইল আটকিয়ে বসে আছেন। উপরি কয়টা টাকা ইনকামের আশায়। বউয়ের জন্য কসমেটিক্স কিনতে হবে। মুরগিটা ডিমে তা দিচ্ছে। বাচ্চা ফোটাবে। পাখিটা লতাপাতা টানছে বাসা বাধবে। তার সঙ্গী বলছে ডিম পাড়ার সময় হয়েছে। কোকিল মধুর সুরে তার সঙ্গীকে ডেকে জানান দিচ্ছে তার সঙ্গমের সময় হয়েছে। রাজ প্রাসাদে বসে রাজা আগামী দিনের পরিকল্পনায় ব্যস্ত। সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর মতো দাঁড়িয়ে আছেন সৈনিক। মহব্বত আলীর বউ একটু আগে ছেলে জন্ম দিয়েছে। আজান দিয়ে তা সবাইকে জানিয়েছেন। পাগলা বসে আছেন আপন মনে। গভীর রাতে তার কাছে একজন চুপিচুপি এসে বললেন, ‘সত্যিই কি পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে?’ পাগল চোখ খুলল। বলল, ‘আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না?’ লোকটা চুপ করে আছে। বিশ্বাস হয় আবার হয় না। পাগল বলল, ‘সাত দিন হতে আর তিনদিন বাকি। অপেক্ষা কর। নিজের চোখে দেখবে। নিজের চোখকে তো বিশ্বাস কর?’ লোকটা বাড়ি ফিরে এল, একটা ডিম পাড়া মুরগি নিয়ে। বউকে বলল, ‘রান্না কর। পুরোটা একবেলায় খেয়ে ফেলব।’ বউ অবাক হল। বলল, ‘পুরোটা একবারে খাব কেন?’ ‘তিনদিন পর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।’ বৌ বলল, ‘তুমি পাগল হয়ে গেছ। আমি বিশ্বাস করি না।’ ‘কেন বিশ্বাস কর না?’ ‘আমার পেটে বাচ্চা আছে। ও জন্ম না হওয়া পর্যন্ত পৃথিবী ধ্বংস হবে না।’ ‘ও আসার আগেই ধ্বংস হয়ে যাবে। কেননা ও আসতে বড় দেরি করে ফেলেছে।’ ‘তোমাকে কে বলল?’ ‘তেঁতুলতলার ল্যাংটা পাগল।’ ‘তুমি পাগলের কথা বিশ্বাস করছ?’ ‘বিশ্বাস করিনি। অবিশ্বাসও না। দুইয়ের মাঝে আছি।’ বউ আর কিছু বলল না। কিন্তু লোকটার চিন্তা হচ্ছে। সত্যিই কি পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। এসব নিয়ে তো অন্য কেউ চিন্তা করছে না। সবাই তো ছুটে চলছে এক জনপদ রেখে অন্য জনপদে। ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনে হেঁটে চলছে পৃথিবীর বুক পেরিয়ে। ষষ্ঠদিন বিকেলে সবাই পাগলের কথা বিশ্বাস করল। পুরো পৃথিবী অন্ধকার হয়ে আসছে। সবার মনে পড়ল পাগলের কথা। পাগল তাহলে ঠিক বলেছে। দলে দলে মানুষ ছুটে আসছে তেঁতুলতলা। দেখল পাগল নেই। ফিরে গেল গৃহে। রাতে ঝুম বৃষ্টি। কেঁপে উঠেছে পুরো পৃথিবী। বিকট একটা শব্দ হলো। সবাই জ্ঞান হারিয়ে ফেলল। আকাশটা টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ল। তারাগুলো ছিটকে পড়ল পাহাড়ের ওপর। পাহাড়গুলো জমিনের সঙ্গে মিশে গেল। সমুদ্রের পানি উতলে উঠেছে। আছড়ে পড়ল উপকূলে। লণ্ডভণ্ড করে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে সবকিছু। পরদিন সকালে আকাশে সূর্য উঠেছে। সব মানুষের জ্ঞান ফিরেছে। তারা দেখছে অচেনা এক পৃথিবী। এখানে এর আগে মানুষ ছিল এমন কোন নিদর্শন নেই। শুধু একটা তেঁতুলগাছ আছে। সবাই ছুটছে তেঁতুলগাছের দিকে। তেঁতুলগাছের নিচে বসে আছেন ল্যাংটা পাগল। পাগলের সামনে এসে সবাই দাঁড়াল। এতক্ষণ কেউ দেখে নাই তারা ল্যাংটা। পাগলকে ল্যাংটা দেখে হাসছিল। নিজেদের দিকে তাকিয়ে এবার লজ্জায় মুখ লুকাল। পাগল বলল, ‘আমাকে চিনতে পেরেছ? আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে?’ সবাই চুপ করে আছে। এখনও কেউ পাগলের কথা বিশ্বাস করছেন না। পাগল বলল, ‘তোমরা এখনও আমার কথা বিশ্বাস করছ না। তাকিয়ে দেখ একদিন আগেও কি তোমরা এই পৃথিবীতে ছিলা?’ সবাই পৃথিবীর দিকে তাকায়। পৃথিবীটা আসলেই অচেনা। তারা কি এই পৃথিবীতে ছিল? না। এখানে এর আগে মানুষ ছিল না। শুধু একটা তেঁতুলগাছ ছিল। আর এই পাগল ছিল। একজন বলল, ‘পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেল। আপনি আর তেঁতুলগাছ কিভাবে রক্ষা পেলেন?’ পাগল কিছু বলল না। সবার হাতে একটা করে গাছের চারা তুলে দিল। |