শিরোনাম: |
পান-সুপারিতে জীবিকা
|
গোয়াইনঘাট (সিলেট) সংবাদদাতা : চারপাশে খাসিয়াদের উঁচু উঁচু ঘর। তার পাশে দাঁড়িয়ে সারিবদ্ধ সরু সরু সুপারি গাছ। গাছে গাছে ঝুলছে পেঁচানো পানের পাতা। এই পান পাতার মধ্যে খাসিয়ারা খুঁজে পায় জীবিকা। তাদের বৈচিত্র্যময় জীবন যেন অন্য সব জাতি থেকে একটু আলাদা।
সিলেটের জাফলংয়ে খাসিয়া সম্প্রদায়ের প্রায় ৩ শতাধিক পরিবারের বসবাস। তাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উত্স হচ্ছে পান-সুপারি চাষ। আর এই পান-সুপারি চাষ করেই অনাড়ম্বর জীবনযাপন করছেন এখানকার খাসিয়া সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীরা। তবে কিছু জায়গা অবৈধ পাথর খেকোদের দখলে থাকার কারণে পান-সুপারির বাগান ক্রমান্বয়ে বিলুপ্তির পথে। নারী শ্রমিক অর্নালী, প্রভাতী, সুস্মিতা, ববিতা, টুইঙ্কেল, রেশমীসহ বেশ ক’জন পান বাঁধাইয়ের কাজ করেন। তারা জানান, আগে অনেক পানের জুম ছিল। এখন পানের জুম নেই বললেই চলে। এক সময় পান চাষ করে প্রতিদিন তাদের ৭-৮শ’ টাকা আয় হতো। আর এখন সারাদিন পান বেঁধে প্রায় ১৫০-২০০ টাকা আয় হয়। পুঞ্জির হেডম্যানখ্যাত ওয়েলকাম লম্বা জানান, আস্তে আস্তে জুম কেটে বিনাশ করার কারণে এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় পান চাষিরা চরম বিড়ম্বনায় রয়েছেন। তিনি আরও জানান, বাপ-দাদার আমল থেকে তারা পান চাষ করে আসছেন। এখানকার পান শ্রমিকদের আগে পান চাষ করে ভালোই দিন চলত। কতিপয় অসাধু পাথর খেকোদের কারণে পুঁজি ধ্বংস হচ্ছে। নির্বিচারে গাছপালা কাটা হচ্ছে। আস্তে আস্তে পান চাষ বিলুপ্তির পথে ধাবিত হচ্ছে। তারা সরকারি বা বেসরকারি কোনো সহযোগিতা পেলে হয়তো আবারও সেই সুখের ঠিকানা ফিরে পেতেন। |