শিরোনাম: |
মুন গ্রুপের কল্যাণপুরের ২১ তলা ভবনের সম্পত্তি আবদুল গনি ও জয়নাল আবেদিনের জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
|
হালিম মোহাম্মদ : অবশেষে প্রমাণিত হয়েছে সানমুন গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং দৈনিক বর্তমান সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব মিজানুর রহমানের মিরপুর পাইকপাড়ার জমির দাবিদার জনৈক আবদুল গনির দায়ের করা মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা, জালিয়াতিপূর্ণ এবং প্রতারণামূলক।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের সাবেক সাব রেজিস্ট্রার ও মিরপুর থানা পুলিশের তদন্তে তাদের কাগজপত্র জাল ও মামলাটি প্রতারণামূলক প্রমাণিত হওয়ায় গতকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আবদুল গনি ও তার বাবা জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। (স্মারক নং-১৩৭/১৩৮, তারিখ-২৮-০২-১৭, মামলা নং-২১৬/১৭, ধারা-৩২৩, ৪৪৮, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৫০৬)। এই প্রতারক ও জালিয়াত চক্রের হোতা জয়নাল এবং আবদুল গনি ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে অন্যের জমির জাল দলিল ও অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি করে অসত্ উদ্দেশে মামলা দিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়াই তাদের কাজ। তাদের বিরুদ্ধেও পুলিশের অনুসন্ধান চলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে ডিএমপি কমিশনারের মাধ্যমে মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারকে মিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) সরেজমিন তদন্ত করে গত ০৬/০২/২০১৭ তারিখে রিপোর্ট দিয়েছেন যে, মিরপুরের পাইকপাড়ার মৌজার ৩৮৭ সিএস খতিয়ানের ৫৫৫ দাগের ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ জমির প্রকৃত মালিক ও ভোগদখলকারী আলহাজ্ব মিজানুর রহমান। তিনি তার ভোগদখলীয় জমিতে রাজিয়া টাওয়ার নামে একটি ২০ তলা ভবন ও সানমুন স্টার প্লাজা নামে আর একটি ২১ তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। দীর্ঘ ২৬ বছর পর আবদুল গনি ও জয়নাল আবেদিন এই জমির যে মালিকানা দাবি করেছেন তা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ঠকবাজ, প্রতারক ও জালিয়াত চক্র জয়নাল ও আবদুল গনির জমির রেজিস্ট্রি দলিল সম্পর্কে তত্কালীন হরিরামপুর-এর সাব রেজিস্ট্রার মো. সাইফুল ইসলাম (বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদরের সাব রেজিস্ট্রার) গত ০২/০২/২০১৭ তারিখে উপ-পুলিশ কমিশনার, মিরপুর বিভাগকে লিখিতভাবে জানান যে, ‘তিনি ২৩/০২/২০০৬ থেকে ৩০/০৯/২০০৯ তারিখ পর্যন্ত মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার কর্মকালীন সময়ে আবদুল গনির ১১/৩/১৯৬৭ তারিখের ৬৫৯নং দলিল জাল ও ভুয়া। আবদুল গনি তার স্বাক্ষরটি জাল করে ভুয়া ডকুমেন্ট তৈরি করেছেন।’ অথচ এই জমি বন্ধক রেখে অগ্রণী ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার মিথ্যা মামলায় জমির প্রকৃত মালিক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন। এই একই মিথ্যা মামলায় অগ্রণী ব্যাংকের তত্কালীন ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আকতার উল আলম এবং সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) ইঞ্জিনিয়ার শফিউল্লাহসহ ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তারাও কারাভোগ করেছেন। তাদের অনেকেই এই মিথ্যা অভিযোগে চাকরিচ্যুতও হয়েছেন। অবশেষে প্রতারক ও জালিয়াত আবদুল গনি এবং জয়নালের দলিলপত্র জাল প্রমাণিত হওয়ার মধ্য দিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের বন্ধকী ঋণটি যে সঠিক ছিল তা আদালতের মাধ্যমে সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণ হলো। তদন্তে আবদুল গনি ও জয়নাল আবেদিনের জালিয়াতি প্রমাণ হওয়ায় এখন অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ও ডিএমডিসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহালের এখন আর আইনগত বাধা নেই। |