শিরোনাম: |
শিশুর অন্ত্রের পরজীবীর ঝুঁকি কমাবেন যেভাবে
|
যদি আপনার শিশুসন্তানটি পেটের ব্যথায় ভোগে এবং কোনোভাবেই যদি তাদের ব্যথা কমাতে না পারেন বা তার খাওয়ার অনিচ্ছা দেখা দেয় তাহলে এটি হতে পারে অন্ত্রের কৃমির কারণে।
শিশুদের ক্ষেত্রে অন্ত্রের কৃমির সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। তবে বড়দেরও হতে পারে এই সমস্যাটি। কৃমিমুক্ত হওয়ার জন্য দ্রুত চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। যদিও শিশুর অন্ত্রের পরজীবীর ঝুঁকি কমানোর কিছু উপায় আছে। সেই সহজ উপায়গুলোর বিষয়েই জানব- দাঁত ব্রাশ করার সময় ট্যাপের পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। শিশুরা দাঁত ব্রাশ করার সময় পানি গিলে ফেলতে পারে। ট্যাপের পানি ফিল্টার করা না থাকলে এর মাধ্যমে কৃমি শরীরে প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে। তাই শিশুর দাঁত ব্রাশ করার সময় ফিল্টারের পানি বা সেদ্ধ পানি ব্যবহার করা উচিত। গোসলের সময় লক্ষ্য রাখুন আপনার সন্তান কোনোভাবেই যেন গোসলের পানি পান না করে। কেননা, এর মাধ্যমে অন্ত্রের পরজীবীর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। খাওয়ার পূর্বে হাত ধোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করুন। যেহেতু শিশুর মেঝেতে বা মাটিতে খেলা করে তাই তাদের হাত ময়লা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। খেলাধুলার পর শিশু যদি হাত না ধুয়ে খাবার খায় তাহলে এই নোংরা হাতই শিশুর পরজীবী প্রবেশের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। নিয়মিত নখ কেটে দিন। কারণ বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং ইস্ট আঙ্গুলের ফাঁকে এবং নখের নিচে লুকিয়ে থাকে। নখের সবচেয়ে সাধারণ ব্যাকটেরিয়া হচ্ছে ঝঃধঢ়যুষড়পড়পপঁং অঁত্বঁং। এটি ত্বকের সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাই শিশুর হাতের নখে ময়লা থাকলে এর মাধ্যমে শিশুর মুখে ও অন্ত্রে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে। রাস্তার উন্মুক্ত চিনিজাতীয় খাবারে মাছি বসে, তাই এর মাধ্যমে শিশু সংক্রমণের শিকার হতে পারে। তাই শিশুদের খোলা খাবার না খাওয়ানোই ভালো। সবজি ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। কারণ তাজা সবজি খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত হলেও ভালোভাবে না ধুয়ে খেলে তা থেকে সংক্রমণ সৃষ্টি হতে পারে। - স্বাস্থ্যকথন ডেস্ক |