শিরোনাম: |
গোয়াইনঘাটে পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি বেড়িবাঁধ নির্মাণ
|
সিলেট ব্যুরো : দীর্ঘ পাঁচ বছরেও সম্পন্ন হয়নি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্রায় ৫০ একর জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে।
উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনয়নের আসামপাড়া, আসামপাড়া হাওর, নবম খণ্ড, সানকী ভাঙ্গা ও নয়াগাঙ্গের পাড় হাওড় এলাকার ফসল আগাম বন্যার হাত থেকে রক্ষার জন্য ২০১২ সালে জাপানিজ ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এজেন্সি (জাইকা) প্রায় ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ প্রকল্প স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। এর মধ্য থেকে স্থানীয় এলাকার কৃষকদের সমন্বয়ে গঠিত নলজুরি খাল পানি ব্যাবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের মাধ্যমে ৫ হাজার ৮শ’ মিটার বেড়িবাঁধের কাজ সম্পন্ন করা হয়। একই সঙ্গে বেড়িবাঁধ প্রকল্পের আওতাধীন এলাকার জমিতে চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণ ও অপসারণের স্বার্থে ৪টি স্লুইসগেট নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। অপরদিকে ৪টি স্লুইসগেট নির্মাণের কাজ পায় সিলেটের এমএমআরজেবি কনসট্রাকশন নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বেড়িবাঁধ প্রকল্পের সমুদয় কাজ সম্পন্ন করে স্থানীয় নলজুরি খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু গেল বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত তিন দফায় কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করার পরও স্লুইসগেটের অ্যাপ্রোচের মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি। গেল বছরের মাঝামাঝি সময়ে কাজটি অসম্পন্ন রেখেই প্রকল্পটি হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অদৃশ্য কারণে স্থানীয় সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগসাজশ করে কাজ অসম্পন্ন রেখেই প্রকল্পটি হস্তান্তর করে। ফলে বৃহস্পতিবার ভোরে পিয়াইন ও সারী নদী দিয়ে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি স্লুইসগেটের পাশ দিয়ে প্রবেশ করে ওই এলাকার প্রায় ৫০ হেক্টর জমির বোরো ধান ও রবি শষ্য বিনষ্ট হয়েছে। গত বছরেও পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে বিনষ্ট হয়েছে ১শ’ হেক্টর জমির ইরি ও বোরো ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ফিরোজ মিয়া জানান, স্লুইসগেটের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে হাওরে পানি পাহাড়ি ঢলের প্রবেশ করে আমাদের বোরো ধান ও রবি শস্য তলিয়ে গেছে। তারা সময় মতো স্লুইস গেটের অ্যাপ্রোচের মাটি ভরাট করলে আমাদের এমন সর্বনাশ হতো না। এ প্রসঙ্গে কথা বলার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী চিন্ময় বাবুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। গোয়াইনঘাটের স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পলাশ আহমেদ জানান, কাজের তদারকির বিষয়ে কোনো ত্রুটি নেই। এক্ষেত্রে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একটু গাফিলতি রয়েছে। তারা চাইলে অনেক আগেই কাজ সম্পন্ন করতে পারতেন। তবে কাজটি চলমান রয়েছে। |