শিরোনাম: |
দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় জাতিসংঘের ৪৪০ কোটি ডলার প্রয়োজন
|
বর্তমান ডেস্ক : দক্ষিণ সুদান, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া এবং ইয়েমেনে দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার প্রায় ৪৪০ কোটি ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক এই সংগঠনটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। নিউ ইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দফতরে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে গুতেরেস জানান, চারটি দেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ অনাহারে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মানবিক বিপর্যয় রোধ করতে মার্চের শেষ নাগাদ আমাদের প্রায় ৪৪০ কোটি ডলার প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত জাতিসংঘ মাত্র ৯ কোটি ডলারের তহবিল সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে।’ সোমবার দক্ষিণ সুদানের উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের ঘোষণা দেয়া হয়। আর ঘোষণা না দেয়া হলেও বহুদিন ধরেই অনাহারের রয়েছেন নাইজেরিয়া, সোমালিয়া এবং ইয়েমেনের বহু মানুষ। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, নাইজেরিয়ার কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চল গত বছর থেকেই দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত রয়েছে। আর সোমালিয়ায় যা চলছে ২০০০ সাল থেকে। ২০১১ সালের দুর্ভিক্ষে সোমালিয়ায় অন্তত ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ নিহত হন। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির হিসেবে, যাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশিই ৫ বছরের কম বয়সী শিশু। ইউনিসেফ জানিয়েছে, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী মাসের মধ্যে এই চারটি দেশে অন্তত ১৪ লাখ শিশুর মৃত্যু হবে খাবারের অভাবে। সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষের কারণ খরা। বাকি দেশগুলোতে সংঘাত আর মানব সৃষ্ট কারণে ঘটছে এমন বিপর্যয়। নাইজেরিয়ার উত্তর অঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারামের সঙ্গে চলা সংঘাতে খাদ্য সঙ্কটে অন্তত ৫০ লাখ অধিবাসী আর ৫ লাখ শিশু ভুগছে চরম অপুষ্টিতে রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির প্রধান সিয়ারান ডোনেলি জানিয়েছেন, অনেক আগে থেকেই তারা বিশেষ করে দক্ষিণ সুদানের বিপর্যয়ের কথা বলে আসছিলেন, কিন্তু আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় এতে কোনো সাড়া দেয়নি। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘লাখ লাখ মানুষ অনাহার, অপুষ্টিতে মৃত্যুঝুঁকিতে দিনযাপন করছেন। যা যে কোনও সময় রোগের বিস্তার ঘটিয়ে মহামারির আকার ধারণ করতে পারে। তারা খাদ্যের অভাবে নিজেদের পশু এবং আগামী বছরের জন্য জমানো শস্য খাওয়া শুরু করলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে।’ জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইতোমধ্যে |