শিরোনাম: |
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৭তম জাতীয় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী
জাতির প্রয়োজনে আনসার বাহিনী সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে
|
বর্তমান প্রতিবেদক : জনগণের নিরাপত্তা বিধানে সততা, শৃঙ্খলা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনসার-ভিডিপি’র সদস্যদের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ উচ্ছেদে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও মর্যাদাপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও তাদের সম্পৃক্ত হবার নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের ভেতরে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং এই সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধ করে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখায় বিশেষ ভূমিকা আপনারা রাখবেন, সেটাই আমরা চাই। যেন আমাদের ছেলেমেয়েরা মাদকাসক্তি এবং জঙ্গিবাদে না জড়ায় এ ব্যাপারে আপনাদের একটা ভূমিকা রাখতে হবে। সকালে সফিপুর আনসার একাডেমিতে ‘বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৭তম জাতীয় সমাবেশ-২০১৭’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। সফিপুর আনসার একাডেমির ইয়াদ আলী প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৭তম জাতীয় সমাবেশের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। বাহিনীর পরিচালক ফকরুল ইসলাম প্যারেড পরিচালনা করেন। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস কেবল বাংলাদেশেই নয় সমগ্র বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আনসার-ভিডিপি’র সদস্যরা যারা গ্রামে-গঞ্জে বসবাস করেন তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মতো অপকর্মের সঙ্গে যারা জড়িত অথবা মাদকাসক্ত, মাদক পাচারের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারেন। ছেলেমেয়েরা মাদকাসক্তি এবং জঙ্গিবাদে যেন না জড়ায় এ ব্যাপারে আপনাদের একটা ভূমিকা রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের শিখিয়েছেন কী করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হয়। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এ ব্যাপারে আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণের পাশে দাঁড়াবেন এটাই প্রত্যাশা। আপনারা আনসার ও ভিডিপিরা সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। প্রধানমন্ত্রী আনসার একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং আনসার ও ভিডিপি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান খান তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনী প্রধান এবং উচ্চ পর্যায়ের সামরিক ও বেসামরিক র্কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী জাতির ক্রান্তিকালে আনসার বাহিনীর সদস্যদের বলিষ্ঠ ভূমিকা স্মরণ করে বলেন, আমাদের দেশে যখন কোনো সমস্যা দেখা দেয় আনসার বাহিনীর সদস্যরা তখনই সেই সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে, বিশেষ করে ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি-জামায়াত জোট অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছিল। তারা রেললাইনে আগুন দেয়, রেললাইন উপড়ে ফেলে, রেলের ফিস প্লেট উপড়ে ফেলে দেয়, বাসে আগুন, ট্রাকে আগুন, গাছ কেটে ফেলে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। এসব কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করা এবং জনগণের জান-মাল রক্ষায় আমাদের আনসার ভিডিপি বিরাট দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশেষ করে অপারেশন রেল রক্ষা, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই সঙ্গে মহাসড়কের নাশকতারোধ থেকে শুরু করে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস দমনে আপনারা মহান ভূমিকা রেখেছেন, জাতিকে রক্ষা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সর্বাত্মক সহযোহিতায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে আমরা টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। সে জন্য আমি আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, অভিনন্দন জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি নির্বাচনেই আপনারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন এবং আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় আপনাদের ভূমিকা অপরিসীম। বিশেষ করে শিল্প কল-কারখানা, সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় অর্ধ লক্ষাধিক আনসার সদস্য সর্বদা উপস্থিত থেকে দেশের অর্থনীতির চাকাকে নিরাপদ ও গতিশীল রেখেছেন। বিমানবন্দর নিরাপত্তায় গঠিত এভিয়েশন সিকিউরিটি’তে এই আনসার বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সঙ্গে এই বাহিনী বিভিন্ন নিরাপত্তায় বিশেষ করে আমাদের কূটনৈতিক পাড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আজকাল সবাই আনসার বাহিনীকে নিচ্ছে নিরাপত্তার জন্য। প্রধানমন্ত্রী ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে মহান ভাষা শহীদ এবং ভাষা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পঁচাত্তরের ৩ নভেম্বর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিহত জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ, সম্ভ্রমহারা ২ লাখ মা-বোনসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আনসার বাহিনীর ৬৭০ জন বীর সদস্যের কথাও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী মাটি ও মানুষের বাহিনী। জরুরি প্রয়োজনে সরকারের বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে এ বাহিনী বারবার রেখেছে তার উত্কৃষ্ট প্রমাণ। সর্ববৃহত্ ও সুশৃঙ্খল এ বাহিনী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের প্রয়োজনে সর্বদা রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে এ বাহিনীর স্বতঃস্ফূর্ত ও ব্যাপক অংশগ্রহণ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। তাদের কাছে রক্ষিত ৪০ হাজার থ্রি নট থ্রি রাইফেলই ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল শক্তি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ দিনে আমি স্মরণ করছি এই বাহিনীর ১২ জন বীর আনসার সদস্যকে যারা ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে শপথ গ্রহণকালে আনুষ্ঠানিক ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেছিলেন। আনসার ও ভিডিপি’র উন্নয়নে তার সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৮ সালে আমাদের সরকারই আপনাদের সর্বোচ্চ সম্মান জাতীয় পতাকা প্রদান করে। আপনাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার ধারাবাহিকতায় ব্যাটালিয়ন আনসারদের চাকরি ৯ থেকে ৬ বছরের পূর্ণতা সাপেক্ষে স্থায়ীকরণের বিষয়টি সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, এছাড়া আপনাদের সুযোগ-সুবিধা ও কল্যাণ প্রতিবছরই বিভিন্নভাবে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। গত বছর ১৫টি মডেল আনসার ব্যাটালিয়ন সদর দফতর নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে ৫টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতি বছর আপনাদের দৃষ্টান্তমূলক কর্তব্যপরায়ণতা ও সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ যে পদক প্রদান করা হচ্ছে তা আমাদের সরকারই প্রবর্তন করেছে। আনসার ও ভিডিপি বাহিনীর সম্প্রসারণে সরকারের উদ্যোগের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি অস্থায়ী ব্যাটালিয়ন আনসার, অঙ্গীভূত আনসার, হিল আনসার এবং ভিডিপি দলনেতা-দলনেত্রীদের ভাতাদি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে ভিডিপি দলনেতা-দলনেত্রীদের পদসংখ্যা ৮ হাজার ৫শ’ জন থেকে ১৫ হাজার ২৪৮ জনে উন্নীত করা হয়েছে। শহর এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে ওয়ার্ড দলনেতা ও দলনেত্রীর পদ বাড়ানো হয়েছে। পার্বত্য এলাকায় এ বাহিনীর ১৫টি ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে অপারেশনাল ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। বিশেষ করে উপমহাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ দুটি মহিলা ব্যাটালিয়নের সদস্যরা দেশের সীমান্তে নাশকতা রোধ এবং অবৈধ চোরাচালান দমনে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও র্যাবে দায়িত্ব পালন করছে যা সত্যিই প্রশংসনীয়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সন্ত্রাস দমনে রয়েছে এ বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সারাদেশে ২৪টি ব্যাটালিয়নের মোতায়েনকৃত সদস্য পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং ডিজিএফআই’র সঙ্গে জাতীয় সংসদ ভবন, নির্বাচন কমিশন ও সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া এসব ব্যাটালিয়ন বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায়ও সহযোগিতা করছে। কর্মমুখী ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবসম্পদকে কর্মদক্ষ করে গড়ে তোলা এ বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বাহিনীর সদস্যরা বর্তমানে যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানসম্মত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আমি এটা জেনে অত্যন্ত আনন্দিত যে, সাম্প্রতিক সময়ে এ বাহিনীর কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসহ দেশে-বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন। আয় বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বনির্ভরতা অর্জনের ক্ষেত্রে এ বাহিনী সারাদেশে এক বিশাল পরিবর্তন সূচনা করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্যই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে আনসার ও ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক। ব্যাংকটি সদস্যদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নসহ নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন ও ঋণ গ্রহণের অপূর্ব সম্মিলনের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে এ ব্যাংক কাজ করছে। দেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের খণ্ডচিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে এখন বাংলাদেশ উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। আমরা নিম্ন মধ্যবিত্তের দেশে উন্নীত হয়েছি। প্রবৃদ্ধি এখন ৭ দশমিক ১ ভাগে উন্নীত হয়েছে। রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমরা ফাস্ট ট্রাক প্রকল্প প্রহণ করেছি। গভীর সমুদ্রবন্দর, পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্র, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত্ প্রকল্প, মেট্রোরেল, আন্তঃদেশীয় রেল প্রকল্প এবং এলএনজি টার্মিনাল এবং নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ও কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম টানেল নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। আমি বিশ্বাস করি, এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আমাদের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০২১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলব, ইনশাআল্লাহ’, আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী পরে ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, খুলনা এবং রাঙামাটিতে আনসার ব্যাটালিয়ন সদর দফতর কমপ্লেক্স ভবনের নামফলক উন্মোচন করেন। পরে তিনি আনসার সদস্যদের নিয়ে একটি কেক কাটেন এবং তাদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। আনসার-ভিডিপি সদস্যদের তৈরি বিভিন্ন হস্তশিল্পের স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন। |