শিরোনাম: |
১৫০ গানের অ্যালবাম করতে যাচ্ছেন শিল্পী জানে আলম
|
শেখ রাজিয়া সূলতানা : একটি গন্ধমের লাগিয়া, বৈশাখে তোমার সাথে হইলো আমার পরিচয়, দীঘির জলে ঢিল মারিলে জলতরঙ্গ হইয়া যায়, কালি ছাড়া কলমের মূল্য যে নাইসহ অসংখ্য গান জনপ্রিয়তা পেয়েছে তার কণ্ঠে। দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গান করছেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একইভাবে তারুণ্যের গতিতে গান করে চলেছেন। স্টেজ, টিভি লাইভ, অ্যালবাম- প্রত্যেকটি জায়গাতেই নিজের সরব উপস্থিতির মাধ্যমে শ্রোতাদের মন ভরিয়ে তুলছেন। যার কথা বলা হচ্ছে তিনি স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী জানে আলম। সঙ্গীতে এত দীর্ঘ সময় পার করে এসেও তার গানের ব্যস্ততা এতটুকু কমেনি, বরং বেড়েছে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে শো করছেন তিনি। দেশের সঙ্গীতকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরছেন নিজের কণ্ঠের মাধ্যমে। দীর্ঘ তিন মাস আমেরিকা, কানাডা, মালয়েশিয়া, জাপান সফরে ছিলেন তিনি। ক’দিন আগেই দেশে ফিরেছেন। আমেরিকার ফোবানা সম্মেলনে শো করেছেন। এই তিন মাসে তিনি ১১টি শোতে অংশ নিয়েছেন।
এর মধ্যে ৬টি ছিল তার একক শো। এ সফরের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে জানে আলম বলেন, এবারের সফরটি অসাধারণ ছিল। আমার জীবনের অন্যতম সেরা শো হয়েছে। দেশের বাইরের শ্রোতারা যে আমার গানের জন্য এতটা পাগল সেটা আরও একবার খুব ভালো করে অনুধাবন করলাম। এদিকে তিন মাসের এ সফরের পর বর্তমানে দেশে ব্যস্ত সময় পার করছেন জানে আলম। নতুন গান রেকর্ডিং ও শো নিয়ে এখন চলছে তার পুরো ব্যস্ততা। আসছে মার্চে আবারও আমেরিকা ও কানাডা সফরে যাবেন জানে আলম। তবে তার আগে একটি সুসংবাদ দিলেন। ১৫০ গানের অ্যালবাম করতে যাচ্ছেন এ জনপ্রিয় শিল্পী। এর মধ্যে তার আগের জনপ্রিয় গানগুলো থেকে থাকছে ৭৫টি গান। সেগুলো নতুন করে সঙ্গীতায়োজন করা হচ্ছে। অন্যদিকে ৭৫টি গান থাকছে নতুন। সেসব নতুন গানের কাজ নিয়ে এখন রাত দিন ব্যস্ততায় ডুবে আছেন জানে আলম। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটি দেশের কোনো শিল্পীর এককভাবে সবচাইতে বড় অ্যালবাম হতে যাচ্ছে। এর আগে ১৫০টি গান নিয়ে কোনো শিল্পীর অ্যালবাম প্রকাশ হয়নি। একটি কোম্পানি এ অ্যালবামের জন্য স্পন্সর করছে। ১৫টি সিডিতে থাকবে এ গানগুলো। আসছে ফেব্রুয়ারি নাগাদ এ অ্যালবামটি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করছি ভালো লাগবে সবার কাছে। আর এ অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করবেন নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস অথবা অমর্ত্য সেন। এদিকে এ অ্যালবামের বাইরেও জানে আলম ব্যস্ত রয়েছেন নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের নিয়ে করা সিক্যুয়াল অ্যালবাম নিয়ে। ‘ইয়াং স্টার’ শিরোনামে এ অ্যালবামগুলো প্রকাশ শুরু করেছেন তিনি। এরই মধ্যে প্রায় ৫০টি গান তৈরি করেছেন। এগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন চলতি প্রজন্মের জনপ্রিয় শিল্পীরা। এ সময়ে যে গান হচ্ছে সেগুলো কেমন লাগছে? জানে আলম বলেন, তরুণ প্রজন্ম অনেক ভালো করছে। কথা, সুর ও সঙ্গীতায়োজনে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। আমার ব্যাক্তিগতভাবে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে সাংবাদিকরা যে গান লিখছে এটার পক্ষে আমি। কারণ তারা সুশিক্ষিত। তাদের পেশাই লেখালেখির। সুতরাং তাদের গানে ভিন্নধর্মী কিছু উঠে আসবে সেটাই স্বাভাবিক। এ রকম এ প্রজন্মের অনেক গীতিকবির গানের কথা আমার খুব পছন্দের। তবে একটা অভিযোগও আছে এ সময়ের গান নিয়ে। জানে আলম বলেন, আমরা অনেক এগিয়ে যাচ্ছি মিউজিকের দিক দিয়ে। আমি তরুণ প্রজন্মের ব্যাপারে খুব পজেটিভ। তাদের সব সময় উত্সাহ দেয়ার চেষ্টা করি। তবে সুরের একঘেয়েমিতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সুরের দিক দিয়ে আমার মনে হয় একটি ধারাকেই আমরা এখনও অনুসরণ করছি। হাবিব ওয়াহিদ যে ধারার যাত্রা শুরু করেছিল সে রকম করেই বেশিরভাগ সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক গান করছে। এখান থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে ভাঙতে হবে। তাহলেই নতুন কিছু উপহার দেয়া যাবে শ্রোতাদের। |