শিরোনাম: |
প্রথম সেশনটা পার করাই প্রধান লক্ষ্য: মুশফিক
|
ক্রীড়া প্রতিবেদক : নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের রিজার্ভ বেসিনে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যেকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট। ইতোমধ্যে সফরের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচের দুই সিরিজে বাজেভাবে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এর আগে আরও তিন বার টেস্ট ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল। সেই টেস্টগুলোতে বিন্দুমাত্র সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে এবারের বাংলাদেশকে ধরা হচ্ছে বদলে যাওয়া ক্রিকেট একটি দল হিসেবে।
টেস্ট ম্যাচকে সামনে রেখে গতকালের প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। মুশফিকের মতে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে প্রথমে ব্যাট করা হোক আর বোলিং করা হোক প্রথম সেশনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে ২০০১ এবং ২০০৮ সালে ওয়েলিংটনে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা থেকেই মনে হয় বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন খেলাটি নিয়ে আশার ফানুস উড়ানোর বিষয়ে বিশেষ সতর্ক। কারণ এ মাঠে রুবেলের পাঁচ উইকেট, সাকিব-তামিম-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরি থাকলেও দুই টেস্টের অভিজ্ঞতা করুণ। ২০০১ সালে নিউজিল্যান্ড এই মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইনিংস এবং ৭৪ রানে জয়ী হয়। আর ২০০৮ সালের ফলাফল ছিল ইনিংস এবং ১৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হার। ২০০১ সালে নবীন টেস্ট খেলুড়ে দল বাংলাদেশের খেলাটা চতুর্থ দিন পর্যন্ত গড়ালেও ২০০৮ সালের খেলা শেষ হয়ে যায় তৃতীয় দিনেই। এখন অবশ্য বাংলাদেশ বদলে যাওয়া একটি দল। সে কারণে বাংলাদেশের কাছে দেশবাসীর আশা-প্রত্যাশাও বেশি। বৃহস্পতিবারের ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ঘুরে ফিরে প্রশ্ন আকারে আসে ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সর্বশেষ টেস্ট জয় প্রসঙ্গ। মুশফিক বলেন, ‘আমি একটা বিষয় পরিষ্কার করতে চাই, তাহলো ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি জয় মানে এমন না যে বাংলাদেশ অনেক বড় একটা টিম। আমরা সেই খেলাটা আমাদের কন্ডিশনে খেলেছি। বিদেশের কন্ডিশন ভিন্ন। এই ভিন্ন কন্ডিশনে আমরা ভালো খেলে সেই ধারাবাহিকতাটা দেখাতে চাই। আমাদের এখানে চ্যালেঞ্জ থাকবে আমাদের শুরুটা যেন ভালোভাবে করতে পারি।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা গত দু’বছর দেশে ভালো ক্রিকেট খেলেছি। এখন বিদেশে ভালো খেলে সে ধারাবাহিকতা দেখাতে চাই। এখানে আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে যেন শুরুটা ভালো থাকে। আর টেস্টে লম্বা সময় ধরে আমরা যাতে উইকেটে থাকতে পারি।’ নিউজিল্যান্ডে আগের অভিজ্ঞতা নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘এখানে আমাদের তামিমের ভালো রান রয়েছে। সাকিব এখানে ১শ’ করেছে-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই ১শ’ করেছে। এখানে আমাদের অনেক ভালো কিছু স্মৃতি আছে। এবার আমরা আরও ভালো করতে চাই। দলগতভাবে ভালো করতে চাই।’ ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারলেও বাংলাদেশের কারো কারো ব্যক্তিগত নৈপূর্ণ্য খারাপ ছিল না। আর তাতেই প্রেরণা পাচ্ছেন মুশফিক, ‘এর আগে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি সিরিজে আমাদের কারো কারো ব্যক্তিগত প্রাপ্তি ভালো ছিল। কিন্তু যদি টিম হিসেবে কাজ করতে পারতাম তাহলে এক-দুটি ম্যাচ আমাদের পক্ষে আসতো। এই বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।’ টেস্টে নিজেদের প্রত্যাশা নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে আমাদের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও জয় অর্জন করতে পারিনি, টেস্টে তা করতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আছে সে যোগ্যতা আমাদের আছে। আমাদের চরিত্রগুলো দেখাতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে এখানে উইকেটে টিকে থেকে আমাদের সে কষ্টগুলো করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় আমরা ৫-৬ ওভার ভালো করি বা করতে পারি। কিন্তু এখানে আমাদের কাজগুলো করতে হবে সেশন বাই সেশন। এটা হয়তো অনেক কঠিন হবে। কিন্তু অসম্ভব কখনোই না। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে হেরেছে ৮টিতে। ড্র করেছে ৩টি টেস্ট। তিনটি টেস্টই ছিল বাংলাদেশের মাটিতে। |