শিরোনাম: |
হার দিয়ে বছর শুরু টাইগারদের
|
ক্রীড়া ডেস্ক : বছরের প্রথম ম্যাচটা জয় দিয়ে শুরু করতে পারলো না মাশরাফিরা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় গতকাল মঙ্গলবার নেপিয়ারে অনুষ্ঠিত প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করেছেন তারা। ওয়ানডে সিরিজের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ব্যাটসম্যানরা ডোবালেন দলকে। মঙ্গলবার বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ব্ল্যাক ক্যাপসরা। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে এই দুই দল মুখোমুখি হবে ৬ জানুয়ারি।
অবশ্য টসটা জিতেছিল বাংলাদেশই। এই ধরনের উইকেটে ব্যাটসম্যানদের জন্য ব্যাটিং স্বর্গ বলা চলে। অথছ এই উইকেটে কি-না ব্যাটসম্যানেরা নিজেদের উইকেট বেখেয়ালিদের মতো বিলিয়ে দিয়ে এল। ব্ল্যাক ক্যাপস অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন দেখালেন কীভাবে উইটেকে থিতু হয়ে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসা যায়। ১৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়েই ১৮ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। খেলতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল কিউইরা। ২.৩ ওভারেই আসে ২২ রান। তবে এই ওভারেই ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। রুবেলের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্রুম। ৬ রান করা এই তারকাকে দর্শনীয় ক্যাচ নিয়ে ফেরান সাকিব আল হাসান। এরপর চতুর্থ ওভারে মুস্তাফিজ এসেই আঘাত হানেন। কট বিহাইন্ড করেন নতুন নামা কলিন মুনরোকে। বিদায় নেন শূন্য রানেই। ধীরে ধীরে কিছু রান যোগ হওয়ার পর আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। ১৩ রানে ব্যাট করতে থাকা কোরি অ্যান্ডারসনকে ফেরান তিনি। ক্যাচ নেন তামিম ইকবাল। এরপর জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন ব্রুস ও উইলিয়ামসন। যদিও ১১তম ওভারে দ্রুত রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে বিদায় নেন ব্রুস (৭)। তবে অধিনায়ক উইলিয়ামসনের ক্যালকুলেটিভ ব্যাটিংয়ে এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি নিউজিল্যান্ডকে। পঞ্চম উইকেটে ডি গ্র্যান্ডহোমের সঙ্গে ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন দলকে। কেন উইলিয়ামস ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে করেন অধিনায়কোচিত ৭৩ রান ৫৫ বলে। যার মধ্যে ছিল ৫টি চার ও দুটি ছয়ের মার। এছাড়া গ্র্যান্ডহোম করেন অপরাজিত ৪১ রান। বাংলাদেশের সাকিব, রুবেল ও মুস্তাফিজ প্রত্যেকে একটি করে উইকেট লাভ করেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের দলপতি কেন উইলিয়ামসন। এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং এ নামা বাংলাদেশ দল নির্ধারিত ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ৮ উইকেটে ১৪১ রান। নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেপিয়ারের এ মাঠেই হয় সবচেয়ে বেশি রান। ১৮০-২০০ রানও নাকি এখানে নিরাপদ নয়। কিন্তু আজ বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় মনে হচ্ছিল ভুল। ম্যাকলিন পার্কের উইকেটে ব্যাটিং করা আসলে খুব কঠিন। খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান ইমরুল কায়েস। ১.৩ বলে হেনরির বলে লাইনের বাইরে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ইমরুল। ফেরেন রানের খাতা না খুলেই। ইমরুল ফিরলে টিকতে পারেননি তামিমও। পঞ্চম ওভারে অভিষেক হওয়া হুইলারের বলে হুক করতে গিয়ে তালুবন্দি হন তামিম ইকবাল। বিদায় নেন ১১ রানে। তামিমের বিদায়ে ভূমিকা ছিল আজকে অভিষেক হওয়া ব্রুস ও হুইলারের। ব্রুসের হাতেই ক্যাচ দেন তামিম। এরপর হঠাত্ই বোলিং জাদু দেখান অভিষেক হওয়া আরেক পেসার ফার্গুসন। পরপর জোড়া আঘাতে ফেরেন সাব্বির (১৬) ও সৌম্য সরকার (০)। ৩০ রানে ৪ উইকেট যাওয়ার পর একটু খানি মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব। ৫ম উইকেটে ৩৭ রান আসে এই জুটিতে। তবে ১১তম ওভারে ৪ রানে ব্যাট করতে থাকা সাকিবকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন গ্র্যান্ডহোম। তারপরেও থেমে থাকেননি ওয়ানডেতে নিজের ছায়া হলে খেলা মাহমুদউল্লাহ। ষষ্ঠ উইকেটে তরুণ মোসাদ্দেককে নিয়ে যোগ করেন আরও ৩২ রান। দলীয় ৯৯ রানে মোসাদ্দেককে ফিরিয়ে ফের জুটি ভাঙেন স্যান্টনার। মোসাদ্দেক ফেরেন ২০ রানে। এরপর ১ রানে ফেরেন অধিনায়ক মাশরাফি। দলকে ভালো সংগ্রহ পাইয়ে দেয়া মাহমুদউল্লাহ ফেরেন শেষ ওভারেই। |