শিরোনাম: |
রাজধানীতে পৌষমেলা
|
বিনোদন প্রতিবেদক : বাংলা একাডেমিতে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের পৌষমেলা। বরাবরের মতো মেলায় দেশজ পণ্যের সমাহার আর লোকজ সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করা হবে। মেলায় তুলে ধরা হবে গ্রামীণ জীবনের নানা অনুষঙ্গ।
বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে মেলার নানা প্রস্তুতি নিয়ে জানান পৌষ মেলা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত্ রায়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, পৌষ মেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলা একাডেমির নজরুল চত্বরে শুক্রবার সকাল ৮টায় মেলার উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। আলোচনা পর্বে উপস্থিত থাকবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, পৌষ মেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ’সহ অনেকে। মেলায় দিনভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের পাশাপাশি থাকছে পিঠা-পুলির স্টল। বিচিত্র সাজের, বাহারি গন্ধের পিঠা-পুলি, নলেন গুড় আর খেজুর রসের শিরনি পায়েস। প্রথম দিনের আসরে প্রথম পর্বে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করবে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, ধ্রুব, বহ্নিশিখা, স্ব-ভূমি লেখক শিল্পী কেন্দ্র। একক সঙ্গীত পরিবেশন করবেন ফাহিম হোসেন চৌধুরী, প্রিয়াংকা গোপ, অনিমা মুক্তি গোমেজ, আবু বকর সিদ্দিক, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করবে স্পন্দন, নৃত্যজন, ভাবনা। একক আবৃত্তি করবেন আহকামউল্লাহ, তামান্না তিথি, দলীয় আবৃত্তি করবে মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বটি চলবে সকাল ১১টা অবধি। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে বিকেল ৪টা থেকে। সে পর্বে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করবে নিবেদন, ক্রান্তি, ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান সঙ্গীত একাডেমি, আনন্দন। একক সঙ্গীত পরিবেশন করবে ফকির আলমগীর, বুলবুল মহলানবিস, মিনা বড়ুয়া, আকরামুল ইসলাম, অনিমা রায়, প্রমুখ। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করবে বহ্নিশিখা, বেণুকা, পল্লবী ড্যান্স সেন্টার। একক আবৃত্তি পরিবেশন করবে ইকবাল খোরশেদ, নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলী, ফখরুল ইসলাম তারা। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করবে প্রকাশ সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন। এ দিন টাঙ্গাইল থেকে আসা মহাদেব সংঘ ও তার দল পরিবেশন করবে ‘সংযাত্রা’। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘সারাদেশে যখন সাম্প্রদায়িক চেতনা বিস্তৃত হয়েছে, তখন এ মেলাটি লোকজ সংস্কৃতিকে নতুন করে চেনাবে তরুণদের।’ ঊনিশ বছরের ধারাবাহিকতায় এবার ভেন্যু পাল্টেছে। রমনার বটমূল থেকে মেলা চলে এসেছে বাংলা একাডেমি চত্বরে। |