শিরোনাম: |
শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্কতা দরকার
|
মো. ওসমান গনি : শিক্ষা মানুষের
মৌলিক অধিকার। শিক্ষা
গ্রহণ করা
দেশের প্রতিটা
নাগরিকের দায়িত্ব
ও কর্তব্য। তবে
সে শিক্ষা
হতে হবে
অবশ্যই মান
সম্মত।
যে শিক্ষা
মানুষকে আদর্শ
নাগরিক হিসেবে
গড়ে তুলতে
পারে না
সে শিক্ষা
কখনো প্রকৃত
শিক্ষা হতে
পারে না। তাই
শিক্ষাকে শিক্ষার
গতিতে এগিয়ে
নিতে হবে। তাই
দেশের শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানকে করতে
হবে দুর্নীতিমুক্ত। ছাত্রছাত্রীদের
সুশিক্ষার পথে
রাখতে হবে। পঞ্চাশ
বা ষাটের
দশকের মতো
এখন আর
শিক্ষাঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত
গণ্য করা
যায় না। পর্যায়ের
স্কুলশিক্ষা আজ
আকর্ষণীয় বাণিজ্য
ক্ষেত্রে পরিণত
হয়েছে।
এ বাণিজ্য
করে অনেক
মুনাফা করা
যায়।
তাই আজ
অনেকে বিভিন্ন
ব্যবসার পরিবর্তে
স্কুল ব্যবসায়
পুঁজি বিনিয়োগ
করছেন।
ব্যবসায়ীরা ছাড়াও
রাজনীতিক থেকে
শুরু করে
এ ব্যবসায়
অনেক মুনাফালোভী
ব্যক্তি যুক্ত
হয়েছেন।
আমেরিকা, কানাডা,
তুরস্ক ও
সিঙ্গাপুরের মতো
দেশগুলোও বাংলাদেশে
ইংরেজি মাধ্যম
স্কুল পরিচালনা
করছে।
যেভাবে খুশি
শিক্ষক নিয়োগ
করছে।
শিক্ষার্থীদের কাছ
থেকে ইচ্ছামতো
বেতন নিচ্ছে। এ
লক্ষ্যে সব
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
শিক্ষার্থীদের বেতন
নির্ধারণ করে
দেয়ার সাম্প্রতিক
সরকারি সিদ্ধান্তটি
ভালো হয়েছে। সরকার
অনেক সময়
শিক্ষা বিষয়ে
ভালো সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করে। কিন্তু
সে সিদ্ধান্তগুলো
যথার্থভাবে বাস্তবায়ন
করতে পারে
না। শিক্ষা ক্ষেত্রের নিম্ন পর্যায়ে সম্প্রতি একটি সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে। সমস্যাটি হলো, স্কুল শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট আসক্তি, মোবাইল ও মাদকতা। টিনএজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমস্যাটি মারাত্মক হয়ে দেখা দিয়েছে এবং এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ কলুষিত হচ্ছে। ক্লাস ফাইভ-সিক্স-সেভেনের অনেক শিক্ষার্থীর হাতে এখন দামি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন দেখা যায়। এরা প্রায় সবসময় অনলাইনে থাকে। ইন্টারনেটে যা খুশি তা-ই দেখে। এদের অনেকেরই দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস। কারণ, এরা গভীর রাত পর্যন্ত অনলাইনে সময় কাটায়। বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাটিং করে এবং অনেক কিছু দেখে। স্পষ্ট করে বললে বলতে হয়, আমাদের শিশু-কিশোররা পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে তাদের লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অভিভাবকদের অবহেলা ও অসচেতনতা এবং শিশু-কিশোরদের জীবনদক্ষতার ঘাটতি থাকায় ভবিষ্যত্ প্রজন্ম বিকৃত শিক্ষা পেয়ে বেড়ে উঠছে। বিষয়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ। শিক্ষার্থীরা যদি স্কুলে এসে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তাহলে তারা ক্লাসে মনোযোগ দেবে কীভাবে? এমনিতেই স্কুল শিক্ষার্থীদের মান কমে যাচ্ছে। এসএসসি, এইচএসসিতে জিপিএ-৫ সংখ্যা বাড়লেও শিক্ষার্থীর শিক্ষার মান বাড়ছে না। ২০০৮ সাল থেকে প্রবর্তিত সৃজনশীল পদ্ধতি সুযোগ্য শিক্ষকের অভাবে যথাযথভাবে কাজ না করায় শিক্ষার্থীদের কোচিং ও ন� |