শিরোনাম: |
গোদাগাড়ীতে শীতকালীন টমেটো নিয়ে ব্যস্ত শ্রমিকরা
|
রাজশাহী ব্যুরো : দেশের সিংহভাগ টমেটো উত্পাদনের উপজেলা রাজশাহীর গোদাগাড়ী। অন্যান্য এলাকার আগে এ উপজেলায় টমেটো উঠতে শুরু করে। গোদাগাড়ীর টমেটো যখন শেষ হতে চলে তখন দেশের অন্য এলাকায় টমেটো উঠতে শুরু করে। তাই দেশের মধ্যে টমেটোর অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত গোদাগাড়ী উপজেলা। দেশ জুড়ে রয়েছে এ উপজেলার টমেটোর চাহিদা। এখন এ উপজেলায় টমেটোর ভরা মৌসুম। টমেটোর এ ভরা মৌসুমে বেড়েছে শ্রমিকদের ব্যস্ততা। শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ব্যাবসায়ীদের আনাগোনা। এ অঞ্চলে আসা দেশের অন্য অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি স্থানীয় মৌসুমী ব্যবসায়ীদেরও সংখ্যা বেড়ে যায় টমেটো মৌসুমে। সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় ছোট বড় বিভিন্ন শ্রেণির শ্রমিকদেরও ব্যস্ততা। টমেটোর ক্ষেত থেকে টমেটো উত্তোলন, টমেটো পাকানো, ক্যারেট করা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানোর জন্য ট্রাক লোড দিতে ছোট- বড়, নারী পুরুষ শ্রমিক কাজ করে। টমেটোর মৌসুমে শ্রমিকের চাহিদার পাশাপাশি বেড়ে যায় শ্রমিকদের কর্ম ব্যস্ততা। শ্রমিকের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মৌসুমি শ্রমিককেও কাজ করতে দেখা যায়। টমেটো চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সঙ্গে হাসি ফুটে এ অঞ্চলের শ্রমিকদের মুখে। টমেটো মৌসুমে কয়েকশ কোটি টাকার ব্যবসা হয় শুধু মাত্র এ উপজেলায়। এতে করে সরকারেরও রাজস্ব আদায় হয় কয়েক লাখ টাকা। দেশের তিন ভাগের দুই ভাগ টমেটো এ উপজেলায় চাষ হতো। বহু জাতিক বীজ কোম্পানির প্রতারণার শিকার হয়ে বিগত কয়েক বছর টমেটো চাষিরা ব্যাপক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চলতি মৌসুমে বিগত বছরগুলোর তুলনায় টমেটো চাষ অনেক কমে গেছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১১ সালে এ উপজেলায় টমেটো চাষ হয়ে ছিল প্রায় ৪ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে। টমেটো উত্পাদন হয়েছিল প্রায় ১০ হাজার টন। ২০১১ সালের শুরুতেই বহুজাতিক বীজ কোম্পানির প্রতারণার শিকার হয়ে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় টমেটো চাষ অর্ধেকে নেমে আসে। টমেটো চাষ হয়ে ছিল প্রায় ২ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে। টমেটো উত্পাদন হয় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টন। এ ব্যাপারে গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মরিয়ম আহম্মেদ জানান, গত বছর টমেটো চাষ হয়েছিল প্রায় ২৫১০ হেক্টোর জমিতে। টমেটো উত্পাদন হয়েছিল প্রায় ৫৫ হাজার ২২০ টন। চলতি |