শিরোনাম: |
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিল
মিয়ানমারকে মালয়েশিয়ার আর্মড ফোর্সেস চিফের সতর্কতা
|
বর্তমান ডেস্ক : মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধ আর জাতিগত নির্মূল প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে এবার সোচ্চার হয়েছে কলকাতা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, রোহিঙ্গা দমনের বিরুদ্ধে কলকাতায় গত বুধবার বিকেলে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ওপর দমনপীড়নের অভিযোগে বুধবার পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ১০টি সংগঠনের ডাকে ওই প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে মিয়ানমার কনস্যুলেটে বিভিন্ন দাবিতে স্মারকলিপি দেন ৫ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল। এদিন কলকাতার পাকসার্কাস থেকে বেকবাগান মোড় পর্যন্ত এক বিশাল প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন দাবি ও প্রতিবাদসমন্বিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে আয়োজিত হয় এক প্রতিবাদ সমাবেশ। এতে বক্তারা মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং সেখানকার উগ্র বৌদ্ধদের রোহিঙ্গাবিরোধী দমনপীড়নের তীব্র নিন্দা এবং ধিক্কার জাননো হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী হিন্দের পশ্চিমবঙ্গের আমীর মুহাম্মদ নূরউদ্দিন, সংখ্যালঘু পিস কাউন্সিলের সভাপতি সুখনন্দন সিং আলুওয়ালিয়াসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এ বছর অক্টোবর মাসের ৯ তারিখে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এলাকায় সন্ত্রাসীদের সমন্বিত হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর তার দায় চাপানো হয় রোহিঙ্গাদের ওপর। আর তখন থেকেই শুরু হয় সেনাবাহিনীর দমন প্রক্রিয়া। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের দাবি, এরপর থেকেই রাখাইন রাজ্যে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। রোহিঙ্গা মুসলমানদের ইসলামি চরমপন্থা দমনে কাজ করছেন বলে দাবি করছেন তারা। আর তা এমন কঠোর প্রক্রিয়ায় চালানো হচ্ছে যে সেখানে সংবাদমাধ্যমকেও প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। জাতিসংঘ এরই মধ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জাতিগতভাবে নির্মূল করার অভিযোগ এনেছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডেরও অভিযোগ তোলা হয় দুই দফায়। সংঘর্ষে রাখাইন রাজ্যের মৃতের সংখ্যা ৮৬ জন বলে জানিয়েছে তারা। জাতিসংঘের হিসাব মতে, এখন পর্যন্ত ঘরহারা হয়েছেন ৩০ হাজার মানুষ। পালাতে গিয়েও গুলি খেয়ে মরতে হচ্ছে তাদের। মিয়ানমারকে মালয়েশিয়ার আর্মড ফোর্সেস চিফের সতর্কতা : প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের পর এবার মিয়ানমারকে সতর্ক করলেন মালয়েশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান (আর্মড ফোর্সেস চিফ) জেনারেল জুলকিফেলি মোহাম্মদ জিন। আরও একধাপ এগিয়ে গেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল রাজা মোহাম্মদ আফান্দি রাজা মোহামেদ নূর। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ চাইলে মিয়ানমারসহ যে কোনো দেশে টালমাটাল অবস্থায় শান্তিরক্ষী পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে মালয়েশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি যদি শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করা না যায় তাহলে তা থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দায়েশ বা আইএসের বিস্তার হতে পারে বলে দেশটিকে সতর্ক করেছেন জেনারেল মোহাম্মদ জিন। এ খবর মালয়েশিয়ার দ্য ডেইলি স্টার। এতে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় এসব সতর্ক বার্তা তুলে ধরেন মোহাম্মদ জিন। তিনি শিগগিরই সশস্ত্র বাহিনীর পদ থেকে অবসরে যাচ্ছেন। তার আগে তিনি মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মালয়েশিয়া ও এ অঞ্চলে অন্য দেশগুলোতে আইএসের হুমকির বিষয়ে সতর্ক করে দেন। মোহাম্মদ জিন এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রাজা মোহাম্মদ আফান্দি ২৫তম সেনাপ্রধানের মেয়াদ শেষ হবে। মোহাম্মদ জিনকে এ পদে নিয়োগের কথা রয়েছে। |