শিরোনাম: |
ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটিতে হামলা আহত ১১, হামলাকারী নিহত
|
বর্তমান ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে সোমালি বংশোদ্ভূত আবদুল রাজাক আলী আরতান (১৮)। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন একাডেমিক ফ্যাকাল্টি, ব্যবস্থাপনাবিষয়ক স্টাফ, গ্রাজুয়েট ও আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, থ্যাঙ্কসগিভিং-এর ছুটি শেষে ছাত্রছাত্রীরা সোমবার সকালে যখন ক্যাম্পাসে ফেরেন তখনই সেখানে নিজের গাড়ি চালিয়ে প্রবেশ করে রাজাক আলী। সে নিজেও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছেই গাড়ি থেকে নামে সে। এরপর শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে কোপানো। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা জরুরি ভিত্তিতে নিরাপদে আশ্রয় নেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরি টেক্সট ম্যাসেজের মাধ্যমে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে পরামর্শ দেয়। এ বিষয়ে পুলিশ প্রধান কিম জ্যাকবস বলেছেন, এটি কোনো সন্ত্রাসী হামলা ছিল কি-না, তা তারা তদন্ত করে দেখছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে এফবিআই। কলম্বাসে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির এই মূল ক্যাম্পাসে অর্ধায়ন করেন ৬০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। সেখানে এমন হামলায় হতচকিত হয়ে পড়েছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়ায় বলা হচ্ছে, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন হামলাকারী রাজাক আলী সোমালিয়ার একজন শরণার্থী। স্থায়ী আবাসিক সুবিধা নিয়ে সে বসবাস করছিল যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সে ওই হামলা চালায়। গাড়ি থেকে নেমেই সে সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন বলে পরিচিত ওয়াটস হলের কাছে ছুরিকাঘাত শুরু করে। এ সময় তার হাতে ছিল একটি চাকু। এর আশপাশে একটি গ্যাসলাইনে লিক দেখা দিয়েছিল। ফলে আগে থেকেই সেখানে পুলিশের উপিস্থিতি ছিল। তারাই রাজাক আলীকে এক মিনিটের মধ্যে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার সময় সেখানে কলম্বাস পুলিশ একটি সোয়াত টিম, ডগ ইউনিট, সমঝোতাকারী দল ও একটি হেলিকপ্টার পাঠায়। ডাকে সাড়া দেয় এফবিআই, ব্যুরো অব অ্যালকোহন, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস ও এক্সপ্লোসিভ। ওদিকে আর আগেই যার কাছে যে অস্ত্র আছে তা নিয়ে অনুসারীদের হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ। |