শিরোনাম: |
কয়েক হাজার কৃষক পরিবারে নীরব কান্না
|
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) সংবাদদাতা : পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে এবারও মঠবাড়িয়ার তিন সহস্রাধিক একর আমন জমি কৃষকরা আবাদ করতে পারেনি। ফলে ওই এলাকার কয়েক হাজার কৃষক পরিবারে চলছে নীরব কান্না। উপজেলার মিরুখালী ও ধানী শাফা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতায় আমন বঞ্চিত কৃষকদের ইরি-বোরো ধান চাষের জন্য জন্ম নেয়া আগাছা পরিষ্কারে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। জানা যায়, স্থানীয় মিরুখালী ইউনিয়নের ভুতার খালে অপরিকল্পিত বেড়িবাঁধটি এখন মরণ ফাঁদ। এ বাঁধের কারণে আমন মৌসুমে মাঠের পানি অপসারণ না হওয়ায় স্থায়ী জলাবদ্ধতায় উপজেলার মিরুখালী ও ধানী সাফা ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের তিন সহস্রাধিক জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে রয়েছে। মিরুখালী ইউনিয়নের ছোট শৌলা, বড় শৌলা, উত্তর মিরুখালী, ওয়াহেদাবাদ, দেবীপুর, বাঁশবুনিয়া, পশ্চিম মিরুখালী, বাদুরা, ভগিরথপুর ও ঘোপখালী এবং ধানী সাফা ইউনিয়নের পূর্ব ধানী সাফা ও তেঁতুলবাড়িয়ার আবাদি জমিতে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি থাকায় আমন চাষ করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়রা জানায়, কাঁঠালিয়া আমুয়া-মিরুখালী-ধানী সফা খালের উত্তরপাড়ে বেড়িবাঁধ না থাকা এবং শাখা খালে অপরিকল্পিত বাঁধ দেয়ার কারণে পানি নিষ্কাশন না হওয়া এ ২ ইউনিয়নের জলাবদ্ধাতার কারণ। সরেজমিন দেখা গেছে, আমন আবাদ না করতে পেরে ইরি-বোরো চাষের জন্য জলাবদ্ধ জমির কচুরি পানা ও আগাছা পরিষ্কার করতে প্রতি একরে অতিরিক্ত ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা ব্যয় হওয়ার কারণে কৃষকরা আগাম ইরি বোরো চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ঘোপখালী গ্রামের কৃষক বোরহান তালুকদার জানান, চলতি আমন মৌসুমে তাদের প্রায় ১৪ একর জমিতে আমন আবাদ হয়নি। একই গ্রামের চাষি বাবুল তালুকদার (৪৫) ও আনেচ তালুকদার জানান, মাঠের স্থায়ী জলাবদ্ধতায় তার প্রায় ৬ একর জমি অনাবাদি হয়ে আছে বছরের পর বছর। জলাবদ্ধ নিরসনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সোবাহান শরীফ মিরুখালী বাজার থেকে ধানী সাফা বাজার পর্যন্ত খালের উত্তরপাড়ে ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং মিরুখালী-ঘোপখালী খাল, ধোপার খাল, ডাক্তার বাড়ি খাল, তেঁতুল বাড়িয়ার খাল, দেবীপুর খাল, ভগিরথপুর বাজার খাল ও তোফেল হাওলাদার বাড়ির সামনের খালে দ্রুত স্লুুইস গেট নির্মাণের দাবি জানান। তিনি সমস্যা সমাধানে কৃষি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুনিরুজ্জামান আমন মৌসুমে মিরুখালী ও ধানী শাফা ইউনিয়নে ওইসব এলাকায় জলাবদ্ধতায় আমন আবাদ সম্ভব হচ্ছেনা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। |