শিরোনাম: |
দাঁড়াও বিশ্ববিবেক রোহিঙ্গাদের পাশে
|
মোতাহার হোসেন : বিশ্বের দেশে দেশে বিভিন্ন সময়ে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন, নীপিড়ন, তাদের সম্পদ দখল-গ্রাস, বাড়িঘরে হামলা বা অগ্নিসংযোগের ঘটনা নতুন নয়। পৃথীবির সভ্য দেশ এবং উন্নত রাষ্ট্র থেকে শুরু করে অনুন্নত-গরিব দেশেও ঘটে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। কিন্তু সম্প্রতি মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর বর্বর নির্যাতন-নিপীড়নের ঘটনা নাড়া দিয়েছে বিশ্ববিবেকে। মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের ওপর বিগত আশির দশক থেকেই নীপিড়ন, নির্যাতন, হামলা, জোর করে তাদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ, বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও রোহিঙ্গাদের হত্যার ঘটনা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। সংখ্যালঘু মুসলিম নারী-শিশু-বৃদ্ধ কেউই বর্বরোচিত নির্যাতন-নীপিড়ন থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে না। দেশি-বিদেশি প্রচার মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিদিন লোমহর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে। যা দেখে ভেবে কষ্ট লাগে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সূচির দল। যিনি সারা জীবন গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সুদীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। এ জন্য তাকে জীবনের বেশিরভাগ সময় ধরে থাকতে হয়েছে অন্তরীণ। ভোগ করতে হয়েছে নির্যাতন, নীপিড়ন। আর তিনি এবং তার দল ক্ষমতায় এসে এখন কাজ করছেন পুরো শান্তি এবং মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে? কষ্টটা মূলত এ কারণেই। প্রত্যাশা তিনি ও তার সরকার এ ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন। দুঃখজনক হলেও সত্য, সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো জঘন্য ও বর্বরোচিত ঘটনা ঘটলেও বিশ্ববিবেক রয়েছে নিঃশ্চুপ। বিশ্বের হোমরা চোমরা মানবাধিকার সংগঠন, মানবাধিকার সংস্থা, বিশ্বের মোড়ল সব রাষ্ট্র ও সরকারও একইভাবে নীরবতা পালন করে আসছে। এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের মুসলমান সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা এবং জোর করে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ, নির্বিচারে হত্যা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের অমানবিক ও চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো লোমহর্ষক ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটলেও নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে বিশ্ববিবেক। রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণের ঘটনায় লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন। সর্বস্ব হারিয়ে ইতোমধ্যেই কয়েক হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। অনুপ্রবেশের আশায় বিপুলসংখ্যক নির্যাতিত অসহায় রোহিঙ্গা সীমান্ত এলাকায় জড়ো হয়েছে। বাঁচার আশায় দেশত্যাগী হয়ে শরণার্থী হিসেবে পাড়ি জমাচ্ছেন আশপাশের দেশসমূহে। এমনি ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়েও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো একরকম নিঃশ্চুপ। তাদের কেউ কেউ দায়সারা গোছের প্রতিবাদ জানিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্রই প্রশ্ন করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইইউ, ওআইসি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাসহ বিশ্ববিবেক আজ কোথায়? ইউএনএইচসিআর, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ কয়েকটি সংস্থা মৃদু কণ্ঠে মিয়ানমারের নিষ্ঠুর নিপীড়নের ব্যাপারে উদ্বেগ জানালেও তাতে সাড়া মিলছে না। এসব সংস্থা বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দিতেও বলছে। কিন্তু বাংলাদেশে থাকা কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর কোনো চাপ দিচ্ছে না তারা। এটাও একটা কূটনৈতিক চাল বলে প্রতিয়মান হয়। তবে কোনো কোনো আন্তর্জাতিক মহল অবশ্য মিয়ানমারের চলমান সেনা অভিযানে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ও মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগ তুলেছে। রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের দমন-পীড়নের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশও। সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিয়ো মিন্ট থানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয় ও কনস্যুলার) মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূতকে নির্যাতনের ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানিয়ে অবিলম্বে তা বন্ধ করার আহ্বান জানান। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের হত্যা, বাড়িঘর লুট, অগ্নিসংযোগ এমনকি ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সতর্ক প্রহরা দিচ্ছে। তবুও দলে দলে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছেন বিপন্ন রোহিঙ্গারা। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রায় নির্বিকার। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশকে সীমান্ত খুলে দেয়ার আহ্বান ছাড়া সঙ্কট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। বাংলাদেশের বক্তব্য হচ্ছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরেই রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান হতে হবে। সীমান্ত চৌকিতে গত ৯ অক্টোবর এক সমন্বিত হামলায় মিয়ানমারের ৯ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর পাঁচজন সদস্য নিহত হওয়ার পর অভিযানে নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এ অভিযানে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ৬৯ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করলেও নিহতের প্রকৃত সংখ্যা শত শত বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ওই অঞ্চলে সাংবাদিক ও ত্রাণকর্মীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করেছে মিয়ানমার সরকার। তবুও বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, উত্তরাঞ্চলীয় গ্রামগুলোতে অন্তত ৯ জন রোহিঙ্গাকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। শত শত রোহিঙ্গা প্রাণভয়ে নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে পালাচ্ছেন। নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে পুশব্যাক করেছে বিজিবি। তবুও খোলা সীমান্ত দিয়ে এক শ্রেণির দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছেন রোহিঙ্গারা। এ পর্যন্ত কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছেন বলে জানা গেছে। এমনি এক অবস্থায় বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক আগেই স্থগিত করেছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হলে সমস্যা দ্রুত সমাধানের তাগিদ দেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বক্তব্য সম্পর্কে পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে যেসব ঘটনা ঘটছে সে ব্যাপারে আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। প্রত্যাশা, তারা যেন এমন পরিবেশ সৃষ্টি করেন যাতে জনগণ তাদের নিজ গ্রামে ফিরে যেতে পারেন। ভবিষ্যতে যেন লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং ধর্ষণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এটাই সরকারের অবস্থান।’ জবাবে রাষ্ট্রদূত কী বলেছেন জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘তারা যথারীতি বলেছেন, মিডিয়ায় আসা এসব খবর বানোয়াট। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে প্রতিবাদপত্র তুলে দেয়া হয়েছে।’ রাষ্ট্রদূত তার দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে তা জানাবেন বলে বৈঠকে জানান। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর চলমান অ্যাকশনের ফলে পরিস্থিতি অব্যাহতভাবে অবনতি হওয়ায় বৈঠকে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। মিয়ানমারের এই পদক্ষেপের ফলে প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটছে এবং বাংলাদেশের ওপর তার প্রভাব পড়ছে। খবর অনুযায়ী সচিব (দ্বিপক্ষীয় ও কনস্যুলার) মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে এ কথা জানান যে, রাখাইন রাজ্যের বিপর্যস্ত মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। তারা মানবিক পরিস্থিতি থেকে নিরাপত্তা চেয়ে সীমান্তজুড়ে আশ্রয় খুঁজছেন। এসব মানুষের ঢল ঠেকাতে আমাদের বর্ডার গার্ডের আন্তরিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও নারী, শিশু, বয়স্ক মানুষসহ হাজার হাজার মিয়ানমারের নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছেন। সীমান্তে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের ঢল প্রতিরোধে মিয়ানমারের সহায়তা চেয়েছেন সরকার। এটাও বন্ধ হওয়া উচিত, যে, বাংলাদেশ বিগত সময়ে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক ফোরামে দাবি তুললেও বিশ্বমহল ছিল নিঃশ্চুপ। এ কারণে আশির দশকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজারসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় অবৈধভাবে বসবাস করে আসছে। এতে দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিসহ নানা অপরাধ অপকর্মে জড়িয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। এমন কি বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে রোহিঙ্গারা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গিয়ে সেসব দেশেও সমস্যা সৃষ্টি করেছে মর্মে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে মারাত্মকভাবে। এমনি অবস্থায় নতুন করে যদি এ ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে তাহলে জনবহুল এই দেশে নতুন করে বহুবিধ সমস্যায় পড়তে হবে। কাজেই যে কোনোভাবেই হোক দেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হবে যে কোনো উপায়ে। এটাও সরকারের নীতি নির্ধারণী মহলকে মনে রাখতে হবে। বাংলাদেশের পক্ষে সচিব (দ্বিপক্ষীয় ও কনস্যুলার) মিয়ানমারের চলমান সেনা অভিযানের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্বিচারে বলপ্রয়োগের যে অভিযোগ উত্থাপন করেছে তা নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার সুপারিশ করেন। রাখাইন রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও উপযুক্ত বিচারব্যবস্থা চালুর সব রকম বাধা অপসারণের প্রতি জোর দেন। এমনি অবস্থায় বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে, মিয়ানমারেই সঙ্কটের সমাধান চায় বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান এর উত্স মিয়ানমারের অভ্যন্তরে খুঁজতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন জিএফএমডি’র প্রস্তুতি অবহিত করতে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়। এমনি এক কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১০ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী গ্লোবাল ফোরাম ফর মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জিএফএমডি) সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। এতে বিশ্বের ৭৩টি দেশের ২০ জন মন্ত্রীসহ সরকারি-বেসরকারি প্রায় সাড়ে ৫শ’ প্রতিনিধি অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই মতবিনিময়ের কিছুক্ষণ আগেই ঢাকায় মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বাংলাদেশের উদ্বেগ জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবিলায় দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে যা যা করা প্রয়োজন, সবকিছুই করছে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সঙ্কট সৃষ্টির আগেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট এবং স্টেট কাউন্সিলরের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনায় রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীও এ ইস্যুতে কথা বলেছেন। সচিবও পাঁচ বার মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশ সমস্যাটার মূলে সমাধান চান। নিয়মিত অভিবাসনে এভাবে ঘরবাড়ি ছেড়ে পরিবার নিয়ে কেউ পালিয়ে যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত আছেন। এবং রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। জিএফএমডি একটি বৈশ্বিক সম্মেলন, এ বছর যেটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগের বছর তুরস্কে হয়েছে এবং আগামী বছর জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের জিএফএমডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, বিশ্ব সম্প্রদায় অভিবাসন ইস্যুতে এখন একটি গ্লোবাল কমপ্যাক্ট প্রণয়নে একমতে পৌঁছানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এটি বাংলাদেশের প্রস্তাবিত একটি বৈশ্বিক চুক্তি। এর মাধ্যমে অভিবাসন, শরণার্থী ও মানব পাচারবিষয়ক সমস্যার ব্যাপক ভিত্তিক সমাধান খোঁজা হবে। আমাদের প্রত্যাশা বিশ্ববিবেক এবং জাতিসংঘসহ মোড়ল রাষ্ট্রসমূহ দ্রুত মিয়ানমারের সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের ওপর বর্বরোচিত হামলা বন্ধে উদ্যোগী হবেন। লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক। |