শিরোনাম: |
কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, আহত অর্ধশতাধিক
|
কুবি প্রতিনিধি : কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে কুমিল্লায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উদ্দেশে শিক্ষার্থীরা রওনা দিলে আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন রাস্তায় পুলিশ প্রথমে তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল ছোড়ে। এতে দুই সাংবাদিকও আহত হয়েছেন।
এসময় পুলিশ ও ডিবির প্রায় শতাধিক সদস্য শিক্ষার্থীদের বাঁধা দিতে গেলে প্রথমে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর আবাসিক হল ও মেসের প্রায় সাত-আটশ শিক্ষার্থী এসে যুক্ত হয়ে পুলিশের বাঁধা অতিক্রম করে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে। পরবর্তীতে শর্টগান দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলির পাশাপাশি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। যা কিছুক্ষণ পর তুমুল সংঘর্ষে রূপ নেয়। এসময় শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ করে ইট ও পাথর নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। এ সময় পুলিশের আঘাতে আমাদের সময়ের সংবাদদাতা অনন মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী শারীরিকভাবে আঘাত পায়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সহকারী পুলিশসুপারসহ ৫-৭ জন পুলিশ সদস্য ও সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত আহত হন। তাদের অ্যাম্বুলেন্সে সদর মেডিকেলে পাঠানো হয়। এসংবাদ লেখা পর্যন্ত এখনো পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে। এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সার্কেলের অতিরিক্ত এএসপি এমরানুল হনক মারুফ বলে, প্রতিদিন এভাবে রাস্তা ব্লক করে রাখা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। তাই আমরা আজ শিক্ষার্থীদের বাঁধা দিতে আমরা এখানে এসেছি। শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। এ বিষয়ে আমরা পরে ব্যবস্থা নেব। আহত দুই সাংবাদিক হলেন দৈনিক আমাদের সময়ের কুবি প্রতিনিধি অনন মজুমদার ও চ্যানেল আইয়ের কুবি প্রতিনিধি সৌরভ সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার বিকালে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান করছেন। |