শিরোনাম: |
গণপূর্তে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
|
বর্তমান প্রতিবেদক: গণপূর্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গত ১ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় “গণপূর্তে নিয়োগ সিন্ডিকেট” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তর। গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৪৪৯ জন কর্মচারী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে কঠোর নিয়ম এবং Face ID verification এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে যার ফলে অনেক ভুয়া পরিক্ষার্থী পরীক্ষার আগেই ঝরে গিয়েছে। লিখিত পরীক্ষার খাতা মুল্যায়নের আগে সকল খাতা কোডিং করা হয়ছে এবং ডিপিসি র ৫ জন সদস্যদের উপস্থিতিতে লিখিত পরীক্ষার খাতা মুল্যায়ন করা হয়েছে। ফলে কোন পরীক্ষার্থীর খাতা আলাদাভাবে সনাক্ত করার কোনো সুযোগ নেই এবং সকল লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ডিপিসির ঊপসস্থিতিতে সীল গালা করে রাখা হয়েছে। তাই রাতের আঁধারে ফলাফল এর শীট পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই বা হারিয়ে যাওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি কিংবা এ নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো জিডি করা হয়নি। ৪৪৯টি পদের নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা বিগত ২৮/০৩/২০২ইং তারিখে শেষ হয় এবং এর সিলগালা ফলাফল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষিত আছে। চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন হলে ৪৪৯টি পদের নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। এমতাবস্থায় কারো সুপারিশ করা লোকজনকে পরীক্ষায় সময় পাশ না করলেও পাশ দেখিয়ে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে এই দাবিটি ভিত্তিহীন। প্রকাশিত সংবাদে ৪৪৯টি পদে নিয়োগ অনিয়ম সংক্রান্ত সে বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত যা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি হীন প্রচেষ্টা। গণপূর্ত অধিদপ্তরের পদায়ন প্রক্রিয়ায় কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন বা কোনো সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব নেই। এখানে সিন্ডিকেট সদস্য হিসাবে বর্ণনা করে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে বলে অত্র অধিদপ্তর মনে করে। অনৈতিকভাবে টাকার বিনিময়ে বদলী বা পদোন্নতির বিষয়টি জঘণ্য মিথ্যাচার। বদলী বা পদায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া যা অবসর, পদোন্নতি, নতুন নিয়োগ, মানবিক ইত্যাদি নানা যৌক্তিক কারণে হয়ে থাকে, তাই একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট সংখ্যা দিয়ে বদলী কে সীমাবদ্ধ করার সুযোগ নেই। বর্তমানে অত্র অধিদপ্তরে ইজিপি প্রক্রিয়ায় সকল কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়, ফলে ইজিপি প্রক্রিয়ার নির্দিষ্ট কোনো ঠিকাদারকে অবৈধভাবে বা নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কাজ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং পীরের মুরিদগণকে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো কাজ বা অনান্য সুযোগ সুবিধা দে্ওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। প্রধান প্রকৌশলী ও অনান্যা দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নিয়ে এ ধরনের ভিত্তিহীন, মিথ্যা, বানোয়াট ও নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশের ফলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের বাস্তবতা বিবর্জিত ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হল। |