শিরোনাম: |
লক্কড়-ঝক্কড় বাস বন্ধ করলে সাংবাদিকরাই সবার আগে বিক্ষোভ দেখাবে: কাদের
|
বর্তমান প্রতিবেদক: লক্কড়-ঝক্কড় বাস বন্ধ করে দিলে সাংবাদিকরা সবার আগে বিক্ষোভ দেখাবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, লক্কড়-ঝক্কড় বাস যখন আমি বন্ধ করে দেবো, তখন আপনারা সাংবাদিকরা সবার আগে বিক্ষোভ দেখাবেন। আপনারাই বলবেন, জনগণ অপেক্ষা করে আছে, রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ—গাড়ি নেই, গণপরিবহন নেই। এই অভিযোগ আপনারাই দিতে থাকবেন।
বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের র্যাম্প উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে লক্কড়-ঝক্কড় বাসের চেহারায় কোনো পরিবর্তন হয়নি- এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো পরিবর্তন হয়নি, বারবারই বলা হচ্ছে। সরকারের গাফলতি আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, এখানে সরকারের গাফলতির কী আছে? আমি কি গাড়ি রঙ করবো নাকি? এটা তো নতুন নির্মাণ আমি করিনি। এটা তো আগেই হয়ে আছে। আমাদের তো শাঁখের কড়াতের মতো। এটা করলেও দোষ, ওটা করলেও দোষ। এসব গাড়ি আমরা বন্ধ করে দিতে পারি। এরপর ঢাকা শহরে তো রিপ্লেসমেন্ট নেই। রিপ্লেসমেন্ট হওয়ার আগে আমি গাড়ি বন্ধ করে দিয়ে কী লাভ হবে- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এসব গাড়ি তো বন্ধ করতে পারি, চেষ্টাও করেছি, তখন আপনাদের মধ্য থেকে প্রতিবাদ এসেছে যে, জনগণকে কষ্ট দিয়ে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আপনি ১২-১৩ বছর ধরে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন, এটা কি কম সময়? এই সময়ে রিপ্লেস করতে পারতেন না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সময়ে পদ্মা সেতুটা হয়ে গেছে, এই সময় এলিভেটেড এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট হয়ে গেছে। এই সময় মেট্রোরেল উত্তরা থেকে মতিঝিল চলে এসেছে। ১২ বছর কম সময়! ১২ বছরে কি আমরা কম কাজ করেছি? ওবায়দুল কাদের বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে আজকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার এফডিসি অংশের র্যাম্প খুলে দেওয়া হচ্ছে। এটি রাজধানীবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এর চেয়ে বেশি গতিতে যানবাহন চলানো যাবে না। এক্সপ্রেসওয়েতে থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল এবং পথচারী চলাচল করতে পারবে না। এটা আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি। |