শিরোনাম: |
ঘোড়াঘাটে সংস্কারের অভাবে বিএস কোয়ার্টারগুলোর বেদখল সহ বেহাল দশা
|
সোহানুজ্জামান সোহান, ঘোড়াঘাট সংবাদদাতা : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ইউনিয়ন পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের জন্য নির্মিত অফিস কাম আবাসিক ভবনগুলো মেরামত না করায় ভবনগুলো বেদখল সহ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন থেকে ভবনগুলো পরিত্যক্ত থাকায় ভবনগুলোর ইট, আসবাবপত্র খোয়া যাচ্ছে এবং স্থানীয় লোকজন কোয়ার্টারগুলোর খালি জায়গা দখল করে ঘর তুলে বসবাস করছে। এদিকে কোয়ার্টারগুলোতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা না থাকার কারণে কৃষকরা তাদের কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৪ ইউনিয়নে কর্মরত কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মী ব্লক সুপার ভাইজারদের (বর্তমানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা) বসবাসের জন্য ৩টি কোয়ার্টার নির্মাণ করা হয়। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা অফিস কাম আবাসিক কোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহার করে স্থানীয় কৃষকদের সেবা ও পরামর্শ দিতেন। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে ভবনগুলো মেরামত ও সংস্কার না করায় ভবনগুলো বেদখল সহ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পরে। এর ফলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ভবন ছেড়ে অন্যত্র বসবাস শুরু করে। দীর্ঘদিন থেকে ভবনগুলো ব্যবহার না করায় ভবনের ইট, আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র স্থানীয় এলাকাবাসী নিয়ে যাচ্ছে। কোন কোন ভবন মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউনিয়নের বিএস কোয়ার্টারটি বেদখল হয়ে কিছু লোক বসবাস করছে। কোয়ার্টারটি ৩ থেকে শতক জায়গায় সেই সময়ে নির্মিত ভবনটি পরিত্যক্ত থাকা অবস্থায় বেদখল হয়ে আছে। অপরদিকে ১নং বুলাকিপুর ইউনিয়নের বিএস কোয়ার্টারটি দীর্ঘদিন থেকে বেদখল করে বসবাস করছে অপর এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা। সে আদৌ কোয়ার্টারটি ভাড়া হিসাবে থাকে নাকি ভাড়া ছাড়া থাকে তার কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। অপর ঘোড়াঘাট ইউনিয়ন ও ঘোড়াঘাট পৌরসভার মধ্যে কোনো বিএস কোয়ার্টার নির্মিত হয়নি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রফিকুজ্জামান এর সাথে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিমাসে রিপোর্ট দেওয়া হয়। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের সাথে বেদখল হওয়া কোয়ার্টারটি সহ ৩টি কোয়ার্টার সংস্কারের বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। আসন্ন নির্বাচন পরবর্তী এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। |