শিরোনাম: |
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের ‘শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা’
বিএনপি নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে : সাবেক এমপি কাজী দারা
|
রাজশাহী ব্যুরো : যারা কোনোদিন জনগণের শক্তিকে বিশ্বাস করেনি তারা এখন আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা নির্বাচন ও ভোট বিশ্বাস করে না, জনগণের শক্তিকে বিশ্বাস করে না। জনগণও তাদেরকে বিশ্বাস করে না। দাম দেয় না তাই তাদের রাজনৈতিক সভায় লোক হয় না। এখন তারা নৈরাজ্য ও ভোটের বিরোধিতায় মেতে উঠেছে; তাই এক দফা কর্মসূচি দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে চাইছে বিএনপি; ব্যর্থ চেষ্টা মাত্র কারণ সংবিধান অনুযায়ী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিএনপির সঙ্গে দেশের জনগণ নেই। জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহীতে গত ১৮ জুলাই (মঙ্গলবার) আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলো। শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রায় বক্তব্যে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ সদস্য কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা এসব কথা বলেন। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের শক্তির ওপরে আর কোনো শক্তি নেই, এটা আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে। জনগণের ঐক্যই সবচেয়ে বড় শক্তি। বিএনপি এখন নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা ষড়যন্ত্রের নামে পদযাত্রার মত নতুন নতুন কমসূচি দিচ্ছে। তাদের কর্মসূচি মানুষ প্রত্যাক্ষাণ করেছে। বিএনপির কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগও কর্মসূচি দিয়ে সারা দেশে মাঠে থাকছে। এর অংশ হিসেবে এ শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রার কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল এ সমাবেশকে ‘শান্তি ও উন্নয়ন মিছিল’ হিসেবে আখ্যায়িত করলেও এটিকে বলা হচ্ছে বিএনপির পদযাত্রার পাল্টা কর্মসূচি। শোভাযাত্রায় যোগ দিতে দুপুর দুইটার পর থেকেই আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে রাজশাহী রানী বাজার দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। বিভিন্ন উপজেলা, থানা-ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে আগত নেতা-কর্মীরা উন্নয়ন শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রায় ব্যানার, ফেস্টুনে সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরেন নেতা-কর্মীরা। তাদের অনেকে স্লোগান দেন ‘শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার’। কেউ কেউ নৌকা ও ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেন।এ সময় এমপি দারা তার বক্তব্যে বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে, তার দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। ওরা ভেবেছে নৈরাজ্য করে পার পেয়ে যাবে। অগ্নিসন্ত্রাস করলে, নৈরাজ্য করলে আমরা কিন্তু বসে থাকব না। এতে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে দায়ী থাকবে বিএনপি-জামায়াত।’ তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করছে উন্নয়নকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশকে তারা আবার সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানাতে চায়। দেশে শান্তি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমাদেরকে এই বিশাল শান্তি সমাবেশ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করতে হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে। জেলার সাধারণ সম্পাদক দারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত আবারও ষড়যন্ত্র করছে। আগামী নির্বাচনে জনগণের কাছ থেকেই ওরা প্রত্যাখ্যাত হবে। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আবারও উন্নয়নের সরকার কায়েম করবো। আগামী সংসদ নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয় এজন্যই আমাদের এই শান্তি সমাবেশ। লক্ষ লক্ষ মানুষ আজকের এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করছে। তারা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চায়। |