শিরোনাম: |
সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
|
বর্তমান প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দায়িত্ব পালনের প্রতিটি স্তরে নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বঙ্গভবনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি আজ দুপুর দরবার হলে বঙ্গভবনের বঙ্গভবনের সকল সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এই নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব পালনের প্রতিটি স্তরে নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। বঙ্গভবনের সুনাম অক্ষুর্ণ রাখার পাশাপাশি কীভাবে আরো বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে ভাবতে হবে। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আশা করেন বঙ্গভবনের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠা, সততা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করবেন এবং বঙ্গভবনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সচেষ্ট থাকবেন। তিনি বলেন, ‘তাই আপনাদের (বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারী) প্রতিটি কর্মকান্ড এমন হতে হবে যাতে জনগণ আপনাদের উপর আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারে।’ মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সততা ও ন্যায়ভিত্তিক, জ্ঞাননির্ভর ও আলোকিত জন প্রশাসনের কোনো বিকল্প নেই। ‘আপনারা সরকারের আইন, বিধি-বিধান ও জনস্বার্থ দ্বারা পরিচালিত হবেন। মনে রাখবেন সব আইন প্রণীত হয় জনগণের কল্যাণের জন্য,’ রাষ্ট্রপতি যোগ করেন। দেশের চলমান উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে প্রত্যেককে নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার ও তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, জনগণ যাতে তাদের প্রত্যাশিত সেবা সহজে ও নির্বিঘেœ পেতে পারে সেদিকে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে খেয়াল রাখতে হবে। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘মনে রাখতে হবে আপনার জনগণের সেবক, প্রভু নন’। ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট এর নারকীয় হত্যাকান্ডের ঘটনা উল্লেখকরে তিনি বলেন, ‘বঙ্গভবনের ইতিহাস শুধুই যে অহংকার আর গর্বের তাই নয়, খুনি চক্র এই বঙ্গভবনে বসেই বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করেছে।’ রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, কিছু দেশদ্রোহী তাদেরকেও সহায়তা করেছে। ইতিহাস তাদের ক্ষমা করেনি। তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ঘাতকচক্র ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তারা বাংলার মাটি ও মানুষের কাছ থেকে তাঁর নীতি ও আদর্শ মুছে ফেলবে কিন্তু তারা তা পারেনি। |