শিরোনাম: |
গুলশানে আগুন লাগার কারণ জানালেন পুলিশ
|
বর্তমান প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশানের বহুতল ভবনে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার আ. আহাদ। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি ) বেলা সাড়ে ১১টায় আগুন লাগা ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান।
উপ-কমিশনার আ. আহাদ বলেন, আগুন লাগার সময় ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মো. রাজু হোসেন (৩৮)। তিনি ভবনের ১১ তলার একটি ফ্ল্যাটে বাবুর্চির কাজ করতেন। গুলশানের জেড এইচ শিকদার উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজে ভোর চারটায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সংকটাপন্ন অবস্থায় আরেকজনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। গুলশান বিভাগের ডিসি সাংবাদিকদের বলেন, ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আমরা আগুন লাগার কথা জানতে পারি। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত। আপাতত ভবনে প্রবেশ করেছেন ফ্ল্যাট মালিকেরা। আমরা কেউ ভেতরে যাচ্ছি না। মালিকেরা নিরাপত্তাকর্মীদের নিয়ে যার যার ফ্ল্যাটে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, যে দুজন এই অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছেন, তারা দুজনই ভবন থেকে লাফ দিয়েছিলেন। আমরা বারবার বলেছিলাম, আপনারা কষ্ট করে থাকুন, দ্রুত সময়ে উদ্ধার করা হবে। কিন্তু তারা ধৈর্য ধরে থাকতে পারেননি। যারা ছিলেন কষ্ট করে, তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটের দিকে গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর রোডের বহুতল ভবনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে ক্রমান্বয়ে তা বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারে যোগ দেন সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরাও। দীর্ঘ চার ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আগুন লাগার পর রাজু নিচে লাফিয়ে পড়ে আহত হন। পরে তাকে জেড এইচ শিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই রাত ৩টার দিকে তিনি মারা যান। মোহাম্মদ রাজিব ওরফে রাজুর বাড়ি গাজীপুর কালীগঞ্জে। এর আগে আগুন থেকে বাঁচতে লাফিয়ে পড়ে মারা যান আনোয়ার হোসেন (৩০) নামের এক যুবক। তারা দুজনেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও একমি গ্রুপের পরিচালক ফাহিম সিনহার বাসায় বাবুর্চির কাজ করতেন। |