শিরোনাম: |
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ সুযোগ হাত ছাড়া করবে না ওয়েলস
|
বর্তমান ডেস্ক: বিশ্বকাপে সম্ভবত একে অন্যের সবচেয়ে পরিচিত দল ইংল্যান্ড ও ওয়েলস। কাল গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আহমাদ বিন আলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দল দুটি। আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হবে ম্যাচটি। তিন পয়েন্ট অর্জিত হলে গ্রুপ-বি’র শীর্ষ দল হিসেবেই পরের রাউন্ডে যাবে ইংলিশরা। অন্যদিকে ইরানের কাছে ২-০ গোলে হেরে যাওয়া ওয়েলসের জন্য ম্যাচটি বাঁচা-মরার লড়াই। পরের রাউন্ডে যেতে হলে জয় ভিন্ন বিকল্প কোন পথ খোলা নেই গ্যারেথ বেলের দলের সামনে।
শুক্রবার ইরানের সাথে খেলতে নামার আগে ওয়েলস অনেকটাই ফুরফুরে মেজাজে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রথম ম্যাচে লড়াই করে ১-১ গোলে ড্র করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে জিততে পারলে নক আউট পর্ব অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যেত। কিন্তু পুরো ৯৮ মিনিট ড্রাগনসরা উজ্জীবত ইরানের সাথে কোন দিক থেকেই পেরে উঠেনি। উল্টো মেহদি টারেমিকে ফাউলের অপরাধে ৮৬ মিনিটে মূল দলের গোলরক্ষক ওয়েন হেনেসিকে লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে যেতে হয়েছে। আর এতেই বাকি কাজটুকু সেড়ে নিয়েছে একের এক আক্রমন চালানো ইরান। ইনজুরি টাইমে রুজবেহ চেশমি ও রামিন রাজেইয়ানের দুই গোলে ওয়েলসের পরাজয় নিশ্চিত হয়। একইসাথে রব পেজের দলের সামনে বিদায়ের শঙ্কা বেশ জোড়েসোড়েই উপস্থিত হয়েছে। মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের তলানিতে থাকা ওয়েলসকে পরের রাউন্ডে যেতে হলে ইংল্যান্ডকে অবশ্যই পরাজিত করতে হবে। একইসাথে প্রার্থনা করতে হবে ইরান বনাম যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচটি যাতে ড্র হয়। ইরানের সাথে ওয়েলস পুরো ম্যাচে কখনই ভাল একটি গোলের সুযোগ তৈরী করতে পারেনি। যদিও পেজ জানিয়েছেন লাল কার্ডের ঘটনাটি কখনই গ্রহনীয় নয়। এনিয়ে সব প্রতিযোগিতায় টানা সাত ম্যাচে জয়বিহীন রয়েছে ওয়েলস। কালকের ম্যাচে যদি তারা জিততে না পারে তবে ইতিহাসে প্রথমবারের মত ওয়েলস বড় কোন টুর্ণামেন্টে কোন জয় ছাড়া বিদায় নিবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হতাশাজনক পারফরমেন্স থেকে কিছুটা হলেও সাহসী হতে পারে ওয়েলস। ওয়েলসের এই পরাজয় থ্রি লায়ন্সের সমর্থকরা হয়তো উপভোগ করেছে। কিন্তু এর কিছুক্ষন পরেই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে হতাশাজনক ড্রয়ে নিজেদের কপাল পুড়েছে ইংলিশদের। ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচের শট ক্রসবারে না লাগলে ম্যাচের ভাগ্য হয়তো পরিবর্তিত হতে পারতো। ইরানের সাথে প্রথম দিন ছয় গোল করা ইংলিশ স্ট্রাইকারদের এদিন খুঁজে পাওয়া যায়নি। খোদ ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট নিজেই তার খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কালকের ম্যাচে জয়ী হতে হলে অবশ্যই এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে সাউথগেট সতর্ক করেছেন। এই ম্যাচে জয়ী হতে পারলে বি-গ্রুপের বিজয়ী হিসেবেই শেষ ১৬’তে যাবে ইংল্যান্ড। অবশ্য ড্র করলেও ১৯৬৬ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা পরের রাউন্ডের টিকিট পাবে। কালকের ম্যাচের মাধ্যমে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মত ইংল্যান্ড আরেক ব্রিটিশ জাতির বিপক্ষে খেলতে নামছে। ১০৪ বারের মত দল দুটো একে অপরের মোকাবেলা করতে যাচ্ছে যা বিশ্বকাপে অংশ নেয়া যেকোন দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ। সে কারনে এখানে কোন ধরনের অপরিচিত বিষয় বলে কিছু নেই। শেষ ছয়টি ম্যাচেই টানা জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। লাল কার্ডের কারনে গোলরক্ষক হেনেসি খেলতে না পারায় তার জায়গায় সুযোগ হয়েছে লিস্টার সিটির ড্যানি ওয়ার্ডের। ইরানের ম্যাচের পর পেজের দলে নতুন কোন ইনজুরি শঙ্কা নেই। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি কাটিয়ে জো এ্যালেন বদলী বেঞ্চ থেকে মূল দলে ফিরছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে দলের দুই তারকা বেল ও এ্যারন রামসেকে বেঞ্চে বসনোর কোন ইচ্ছা পেজের নেই। ড্যানিয়েল জেমস ও ব্রেনান জনসনকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে পারেন পেজ। হাঁটুর ইনজুরি কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন জেমন ম্যাডিসন যা সাউথগেটকে স্বস্তি দিচ্ছে। যদিও দল নির্বাচনে সাউথগেটকে এখন দ্বিধায় পড়তে হবে। ম্যানচেস্টার সিটি তারকা কাইল ওয়াকারও ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিয়েরান ট্রিপিয়ারের সাথে ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আর্নল্ডকে নতুন করে দলে না ডেকে ওয়াকারের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। |