শিরোনাম: |
নক আউটে খেলতে চায় ইরান, সুযোগ কাজে লাগাবে যুক্তরাষ্ট্র
|
বর্তমান ডেস্ক: ওয়েলসকে নাটকীয় ম্যাচে হারিয়ে হঠাৎ করে বিশ্বকাপের উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়া ইরান কাল আল থুমামা স্টেডিয়ামে গ্রুপ-বি’র শেষ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবেলা করবে। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়। তিন পয়েন্ট অর্জিত হলেই নক আউট পর্ব নিশ্চিত হয় যাবে ইরানের। চারটি দলের সামনেই গ্রুপের শেষ ম্যাচে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে নক আউট পর্ব নিশ্চিত করার সুযোগ আছে। শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের সংগ্রহে রয়েছে ৪ পয়েন্ট, দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইরানের, পরের দুই দল যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েলসের কাছে রয়েছে যথাক্রমে ২ ও ১ পয়েন্ট। বায়ার লেভারকুজেনের স্ট্রাইকার সারডার আজমুনকে পেয়ে কার্লোস কুইরোজের ইরান সবদিক থেকেই যেন আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় তারা গ্যারেথ বেলের ওয়েলসকে মাঠে দাঁড়াতেই দেয়নি। একের পর এক আক্রমন করে শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিশ্চিত করে। যোগ্য দল হিসেবেই তারা ওয়েলসের সাথে পূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জন করেছে। ইংল্যান্ডের কাছে প্রথম ম্যাচে ৬-২ গোলের পরাজয় কোন প্রভাবই ফেলেনি দ্বিতীয় ম্যাচে। ২৭ বছর বয়সী আজমুনের সাথে মেহদি টারেমি মিলে মাঠে একের পর এক আক্রমন চালিয়েছে। অথচ কাফ ইনজুরির কারনে অক্টোবরের শুরু থেকে ক্লাবের হয়ে খেলতে পারেননি আজমুন। শেষ ম্যাচে তাকে তিনবার মাঠে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। দেশের হয়ে ৪০ গোল আজমুনকে শেষ পর্যন্ত ৬৮ মিনিটে মাঠ থেকে উঠিয়ে নিতে বাধ্য হন কুইরোজ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আজমুনকে ছাড়াই ইনজুরি টাইমে দুই গোল দেয় ইরান। দুই ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ-বি'র দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইরান জানে যুক্তরাস্ট্রের বিরুদ্ধে জয় ইতিহাসে প্রথমবারের মত তাদেরকে নক আউট পর্বে পৌঁছে দিবে। তাছাড়া ওয়েলস যদি ইংল্যান্ডকে পরাজিত করতে না পারে তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অন্তত ড্র করলেই চলবে। একই গ্রুপে ইরানের সাথে থাকা এশিয়ান দল জাপান ও সৌদি আরব বিশ্বকাপের প্রথম সপ্তাহেই বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছে। প্রথমবারের মত নক আউট পর্বে পা রেখে ইরানও তাদের সাথে ইতিহাস রচনা করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিষয়টা কিছুটা হলেও ভিন্ন। প্রথম দুই ম্যাচের কোনটিতেই তিন পয়েন্ট আদায় করতে না পারা গ্রেগ বারহল্টারের দল একটি বিষয় অন্তত প্রমান করেছে, আন্তর্জাতিক ফুটবলে নতুন এক শক্তি হিসেবে তারা যেকোন দলকে প্রতিহত করতে প্রস্তুত। ইউরোপের বিভিন্ন লিগে প্রায় এক দশকেরও বেশিসময় যুক্তরাষ্ট্রের কোন খেলোয়াড় খেলার সুযোগ পায়নি। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যেভাবে সমান তালে পুরো দল লড়াই করেছে তাতে অন্তত ১০ জন খেলোয়াড়কে বিশ্বের যেকোন শীর্ষ দল অনায়াসেই ডাকতে পারে- এমনটাই প্রমানিত হয়েছে। শুধুমাত্র বাজে ফিনিশিংয়ের জন্য ১৯৫০ সালের পর প্রথমবারের মত থ্রি লায়ন্সের বিপক্ষে জয়টা পাওয়া হয়নি। ইংলিশ তরুণ বুকায়ো সাকার থেকে দৃষ্টি বারবারই ওয়েস্টন ম্যাককিনির দিকে। ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচও বেশ কয়েকবার ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে পরীক্ষায় ফেলেছেন। ইংলিশ প্রতিপক্ষে বিষয়টি সবচেয়ে বেশিযা নজড়ে পড়েছে তা হলো যুক্তরাষ্ট্রের খেলোয়াড়দের তীক্ষ্ণতা ও গতিময়তা। ফুল-ব্যাক সার্জিনো ডেস্ট ও ফুলহ্যামের এন্টোনি রবিনসন দুই উইং থেকে দ্রুতগতিতে বল যোগান দেবার চেষ্টা করেছেন। অন্যদিকে মধ্যমাঠে জুড বেলিংহাম ও ম্যাসন মাউন্টকে একাই খোলস বন্দী করে রেখেছিলেন টাইলার এ্যাডামস। যুক্তরাষ্ট্র যদি শেষ পর্যন্ত নক আউট পর্বে যায় তবে তা সেখানকার দলগুলোর জন্য দু:শ্চিন্তার বিষয় হতে পারে। দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের জন্য ব্রাইটনের সাবেক মিডফিল্ডার আলিরেজা জাহানবখস শেষ ম্যাচে খেলতে পারছেন না। ওয়েলসের সাথে ৬৮ মিনিট পর্যন্ত ফিটনেস সমস্যায় ধুকতে থাকা তারকা স্ট্রাইকার আজমুনের খেলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তবে প্রথম ম্যাচে মাথায় বাজেভাবে আঘাত লাগা ৩০ বছর বয়সী আলিরেজা বেইরানভান্ড কালকের ম্যাচে দলে ফিরছেন বলে কুইরোজ নিশ্চিত করেছেন। |