শিরোনাম: |
মিয়ানমারে বিক্ষোভে গুলিবিদ্ধ নারীর অবস্থা গুরুতর
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে ৫ম দিনের মতো বিক্ষোভ চলছেই। সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে বিক্ষোভ করছে হাজার হাজার মানুষ। এদিকে মঙ্গলবার বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক নারী গুলিবিদ্ধ হন। বর্তমানে তার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে বিবিসি। মঙ্গলবার রাজধানী নেপিদোতে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন ওই নারী। সে সময় বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে জল কামান, রাবার বুলেট এবং ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের সময় ওই নারী মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশ আরও বেশি শক্তি প্রয়োগের পর থেকেই বেশ কিছু গুরুতর ঘটনার কথা জানা যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হলেও কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। গত সপ্তাহে দেশটির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী। চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু সামরিক সরকার বড় ধরনের সমাবেশ এবং জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বেশ কিছু শহরে রাত্রীকালীন কারফিউ জারি রয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের সব বাধা উপেক্ষা করেই বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে রাজপথে বিক্ষোভ করছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এদিকে, বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীতে জড়ো হতে শুরু করে সরকারি কর্মচারীদের বিশাল একটি গ্রুপ। মঙ্গলবার রাবার বুলেট ছোড়ার আগে বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করতে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, আহত ব্যক্তিদের দেখে মনে হচ্ছে তাদের ওপর সরাসরি গোলা-বারুদ নিক্ষেপ করা হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, নেপিদোর একটি হাসপাতালে এক নারী মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে ইন্টেন্সিভ কেয়ারে রাখা হয়েছে। এছাড়া আরও এক বিক্ষোভকারী বুকে আঘাত পেয়েছেন। এদিকে, অং সান সু চির এনএলডির কার্যালয়ে দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়েছে। এ সময় সেখানে ব্যাপক তল্লাশি ও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ করেছে দলটি। অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে আন্দোলনের মধ্যেই এনএলডি দফতরে হামলার ঘটনা ঘটল। এনএলডির অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দরজা ভেঙ্গে এনএলডির সদর দফতরে প্রবেশ করে। তবে সেসময় দলের কোনো নেতাকর্মী কার্যালয়ে ছিলেন না। |