শিরোনাম: |
মিয়ানমারে দ্বিতীয় দিনের মতো হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরে দ্বিতীয় দিনের মতো হাজারের বেশি মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশে জড়ো হয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানের প্রায় এক সপ্তাহ পর দেশটিতে বিক্ষোভ করছে সাধারণ মানুষ। মিও উইন (৩৭) নামের এক বিক্ষোভকারী এএফপি নিউজ এজেন্সিকে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা গণতন্ত্র না পাচ্ছি ততক্ষণ আমরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাব এবং দাবি জানাব। এদিকে বিক্ষোভ প্রতিহত করতে ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রাস্তায় পুলিশের গাড়ি এবং দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তারা অবস্থান নিয়েছেন। এর আগে শনিবার সামরিক সরকার দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়।
রোববার সকালে মাওলামাইন এবং মানডালায় ছোট আকারের বিক্ষোভ শুরুর খবর পাওয়া গেছে। গত নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী এনএলডি পার্টির নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চি এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট বর্তমানে গৃহবন্দি রয়েছেন। দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখার ঘটনাকে জঘন্য এবং বেপরোয়া আচরণ বলে উল্লেখ করেছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এই ঘটনা মিয়ানমারের জনগণের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। গত সোমবার সকালে দেশটির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে সেনাবাহিনী। গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সুচির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। তারপর থেকেই মূলত দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা। প্রথম থেকেই সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ করে আসছে। নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনেই মূলত সোমবার ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে দেশজুড়ে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের কয়েকদিন পর দেশজুড়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ সব ধরনের সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করে দেয়। এরপর দেশে ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ করা হয়। ফলে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছে সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন স্তরের জনগণ তাদের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবার দাবি জানিয়েছে। শনিবার কারখানার শ্রমিক, ছাত্রসহ হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়ে অং সান সু চির মুক্তি দাবি করে। তারা ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় পদযাত্রা করার সময় বাসগুলো হর্ন বাজিয়ে তাদের প্রতি সমর্থন জানায়। পথচারীরা তিন আঙ্গুল উচিয়ে ‘হাঙ্গার গেমস’ স্যালুট প্রদর্শন করে। হাঙ্গার গেমস সিনেমায় দেখানো এই প্রতীকটি ওই অঞ্চলে প্রতিবাদ প্রকাশের ভাষা হয়ে উঠেছে। |