শিরোনাম: |
আলুর বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
|
বর্তমান প্রতিবেদক: সরকার নির্ধারিত খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি আলুর দাম ৩৫ টাকা নির্ধারণে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। গত মঙ্গলবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক সভায় কৃষি বিপণন অধিদফতর আলুর দাম কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি ২৭ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি ৩০ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ৩৫ টাকা পুনর্নির্ধারণ করে দেয়। এর আগে গত ৭ অক্টোবর প্রতি কেজি আলুর দাম কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ টাকা বেধে দেয় কৃষি বিপণন অধিদফতর। এই দাম নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়। কিন্তু এই দামের বিষয়ে আপত্তি জানায় ব্যবসায়ীরা। একপর্যায়ে তারা আলু বিক্রি বন্ধ করে দেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা এই দাম নিয়ে খুশি মনে বাড়ি ফিরেছে। তারা নিজেরা বলেছে এই দাম বাস্তবায়ন না করলে মুনাফাখোর হিসেবে বিবেচিত হবে। তারা আপ্রাণ চেষ্টা করবে আমাদের সহযোগিতা করতে। আর কাল থেকেই বা দুই একদিনের মধ্যেই আমরা বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করব। তিনি বলেন, আলুর দাম যদি ৫০/৬০ টাকা হয়ে যায় তাহলে কোন ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। ৩৫ টাকা যাতে বাস্তবায়ন হয় সেজন্য আমরা চেষ্টা করব। তবে এক মাসের মধ্যে দাম কমে আসবে। হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, তুলা, বিটি কটনে ভারত আমাদের থেকে এগিয়ে আছে। আমরা চাচ্ছি এই বিটি কটন আমাদের দেশে আনতে। এটা এদেশের আবহাওয়ার জন্য ভালো। এ ছাড়া ভুট্টাসহ অনেক ফসলের ভালোজাত ভারত থেকে আনার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণে গুরুত্ব দিয়ে অনেক বড় প্রকল্প নিয়েছে। ভারতের বেশ কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা এ ক্ষেত্রে সফল। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূত ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করবে ভালো কিছু কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে। বিশেষ করে মোহেন্দ্রকে চেষ্টা করবে বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য, বলেন কৃষিমন্ত্রী। এরপর অ্যাগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরাম (এআরএফ) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে যোগ দিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আলুর দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা -এটা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে আবদুর রাজ্জাক বলেন, আপনারা মুনাফা করেন, মুনাফা করার জন্যই ব্যবসা করছেন। কিন্তু এ সুযোগে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার চিন্তা করবেন না। মানুষের প্রতি কর্তব্যবোধ থেকে আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, আপনারা সরকারের নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করুন। দীর্ঘ দিনেও ভিটামিন-এর ঘাটতি পূরণে ধানের নতুন জাত গোল্ডেন রাইস উন্নত করতে না পারার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, জেনেটিক্যালি মডিফাইড এই ধানটি নিয়ে বেশ বিতর্ক ও সমালোচনা রয়েছে। এই ধান মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকারক কিনা, ধান চাষের ফলে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে কিনা, এ নিয়ে পরিবেশ অধিদফতর এখনও আমাদের ছাড়পত্র দেয়নি। আমরা চেষ্টা করছি। করোনা মহামারির কারণে এবার এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হবে কিনা- জানতে চাইল আবদুর রাজ্জাক বলেন, পৃথিবীর ৬৬টি দেশের মধ্যে জরিপ শেষে দ্য ইকোনমিস্টের গোয়েন্দারা বলছে, পৃথিবীর যে ৯টি দেশের অর্থনীতি এখন ভালো আছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ আছে। আরেকটা রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশের ইকোনমির পজিটিভ গ্রোথ আছে, যেখানে ভারতের ইকোনমি ২৪ শতাংশের বেশি নেমে গেছে। হাঙ্গার ইনডেস্কে আমরা ৭৪তম স্থানে এসেছি। পাকিস্তান ৮৮, ইন্ডিয়া ৯৪তম অবস্থানে আছে। সুতরাং এ কথা বলার এখনই সময় আসেনি যে কোভিডের কারণে এসডিজি ব্যাহত হবে কিনা।
|