শিরোনাম: |
একনেকে ১৬৬৮ কোটি টাকার ৪ প্রকল্প অনুমোদন
রাতে বিমান ওঠানামার জন্য লাইটিংয়ের ব্যবস্থার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
|
বর্তমান প্রতিবেদক : যশোর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরে রাতে যেন বিমান ওঠানামা করতে পারে, সেজন্য যে লাইটিংয়ের দরকার তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। একনেক সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ৫৬৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘যশোর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও শাহ মখদুম বিমানবন্দর, রাজশাহীর রানওয়ে সারফেসে অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভারলেকরণ’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
প্রকল্পটির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের কথা উল্লেখ করে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জানান, রানওয়ের উন্নয়নের প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- এসব বিমানবন্দরের ব্যবহার যেহেতু বাড়ছে এবং রাতে বিমান ওঠানামা যাতে করতে পারে সেজন্য যে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা সেটা করতে হবে। এ সময় বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন- তাদের এই পরিকল্পনা আছে। তারা রানওয়ের উন্নয়নের পরে এ কাজ শুরু করবেন। প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় অনুশাসনের কথা উল্লেখ করে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- বিমানবন্দরগুলোর ব্যবহার যেহেতু বৃদ্ধি পাচ্ছে, ইকোনমিক জোন হচ্ছে, অন্যান্য কার্যক্রম হচ্ছে, সেহেতু বিমানবন্দরগুলোর যথাযথ উন্নয়ন ও সংস্কার প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন- তার সরকার অনেক বছর ক্ষমতায় আছে। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অনেক রাস্তা তৈরি করে ফেলেছি। ফলে রাস্তা বানানোর জন্য যে বরাদ্দ, সেটার যেন যথাযথ ব্যবহার হয়। এজন্য মনিটরিং বাড়াতে হবে। আর গ্রামের রাস্তায় ভারী যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। উন্নয়ন কার্যক্রম হচ্ছে, গ্রাম ও শহরের পার্থক্য কমে যাবে। ফলে গ্রামের রাস্তায় ভারী যানবাহন চলতে পারে, রাস্তাগুলো এখন থেকে সেভাবে নির্মাণ করতে হবে। একনেকে ১৬৬৮ কোটি ব্যয়ে ৪ প্রকল্প অনুমোদন: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহি কমিটি (একনেক) সভায় ১ হাজার ৬৬৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা খরচে ৪টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ১ হাজার ৫২৪ কোটি ৭৮ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৪৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় একনেক সভায় অংশ নিতে পারেননি। ফলে একনেক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। আজকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর তথ্য তুলে ধরে আসাদুল ইসলাম জানান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ‘যশোর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও শাহ মখদুম বিমানবন্দর, রাজশাহীর রানওয়ে সারফেসে অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভারলেকরণ’ প্রকল্প ৫৬৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা খরচে বাস্তবায়ন করা হবে। তার মধ্যে ৪৫৩ কোটি ৩৫ লাখ দেবে সরকার এবং ১১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কদমরসুল অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পে খরচ হবে ৩০১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। তার মধ্যে সরকার দেবে ২৭১ কোটি ১৯ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। আর একই মন্ত্রণালয়ের ‘মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী আনা হয়েছে একনেকে। এতে প্রকল্পের খরচ ৫৪৯ কোটি ৩ লাখ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৫৬০ কোটি ১৫ লাখ থেকে করা হয়েছে ২ হাজার ১০৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ২০১৭ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া প্রকল্প ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজকের সংশোধনীতে ১ বছর সময় বাড়িয়ে তা করা হয়েছে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। সর্বশেষ ও চতুর্থ অনুমোদিত প্রকল্পটি হলো কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘ভূ-উপরিস্থ পানি উন্নয়নের মাধ্যমে বৃহত্তর দিনাজপুর ও জয়পুরহাট জেলায় সেচ সম্প্রসারণ’। ২৫১ কোটি ১৫ লাখ টাকা খরচে এই প্রকল্প ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। একনেকে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন; ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। |