শিরোনাম: |
দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে: রাষ্ট্রপতি
|
বর্তমান প্রতিবেদক : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস, ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং শোষণমুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার দিবসটি পালিত হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২০ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে সুশাসন, নিশ্চিত করবে টেকসই উন্নয়ন বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। আবদুল হামিদ বলেন, সততা এবং দক্ষতার সঙ্গে জনগণের প্রয়োজন মেটানোই সুশাসনের ভিত্তি।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রক্ষায় জনগণকে সম্পৃক্ত করে জনবান্ধবদুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসমূলক কর্মসূচির প্রচলন করেছিলেন। বন্যা নিয়ন্ত্রণ, উপকূলীয় বনায়ন, স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পৃক্ত করে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির প্রাতিানিকীকরণের মাধ্যমে সংকেত প্রচার, উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা, দুর্গম এলাকায় মুজিব কিল্লা নির্মাণসহ বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী পদক্ষেপসমূহ এ দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি খাতভিত্তিক প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে জনগণের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষা প্রদানে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও বন্যা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনা, ত্রাণ বিতরণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সঠিক ব্যক্তিকে নগদ সহায়তা পৌঁছানো ইত্যাদি কর্মসূচি দুর্যোগকালীন দুর্ভোগ কমাতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। আবদুল হামিদ বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ প্রতিার লক্ষ্যে গ্রামীণ অবকাঠামো টেকসইকরণের মাধ্যমে ত্রাণ সরবরাহ ও উদ্ধার কাজ নির্বিঘ্নে করার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। |