শিরোনাম: |
আজ বসছে ৩২তম স্প্যান
করোনায় থেমে নেই পদ্মা সেতুর কাজ
৪ ও ৫ নম্বর পিলারের উপর স্প্যানটি বসানো হলে দৃশ্যমান হবে ৪ হাজার ৮০০ মিটার
|
বর্তমান প্রতিবেদক: নদীতে তীব্র স্রোত, নাব্য সংকট ও আলো স্বল্পতার কারণে পদ্মাসেতুর ৩২তম স্প্যান ‘ওয়ান ডি’ গতকাল বসানো সম্ভব হয়নি। তবে তা আজ রোববার বসবে বলে জানা গেছে। এদিকে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্প্যানবহনকারী ক্রেনটি মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে রওনা দেয়ার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা না পৌঁছানোর জন্য স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়নি।
জানা যায, তীব্র স্রোত ও নাব্য সংকটের কারণে সকাল ১১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত স্প্যানবহনকারী ক্রেনটিকে একই স্থানে অবস্থান করতে দেখা গেছে। তবে রোববার স্প্যানটি বসানোর ব্যাপারে আশাবাদী প্রকৌশলীরা। মাওয়া প্রান্তের ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের উপর স্প্যানটি বসানো হলে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৪ হাজার ৮০০ মিটার। পদ্মাসেতু সূত্র জানায়, সেতুতে মোট ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। এটি বসানো হলে বাকি থাকবে আরো ৯টি স্প্যান বসানো। আর এতে দৃশ্যমান বাকি থাকবে ১ হাজার ৩৫০ মিটার। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাকি স্প্যানগুলো বসিয়ে দেয়া হবে। তাদের লক্ষ্য আগামী বছর সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করা। এখন পদ্মায় বন্যার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্রোতের তীব্রতাও স্বাভাবিক গতিতে ফিরেছে। ফলে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজেও গতি ফিরেছে। রোববার তাই মাওয়া প্রান্তের ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর পদ্মাসেতুর ৩২তম স্প্যান বসানোর দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি বসানোর পর মূল সেতুর অবকাঠামোর দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪ হাজার ৮০০ মিটার বা প্রায় ৫ কিলোমিটার। গত আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে ৫টি স্প্যান পিলারের ওপর বসানোর লক্ষ্য ছিল। তবে মাওয়া প্রান্তের মূল পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোত থাকায় একটি স্প্যানও বসানো সম্ভব হয়নি। ১০ জুন জাজিরা প্রান্তে ৩১তম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে বর্তমানে দৃশ্যমান ৪ হাজার ৬৫০ মিটার পদ্মাসেতু। এরপর নদীতে পানি বাড়তে শুরু করলে ২৪ জুন ৩২ নম্বর স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, প্রতিবছর ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পদ্মার পানি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ৪ দশমিক ৮ মিটারের বেশি পানি হলে কাজ করা সম্ভব হয় না, সেখানে এ বছর এখনো নদীতে পানির উচ্চতা ৫ দশমিক ৫ মিটারের বেশি। একই সঙ্গে স্রোতের গতি এখন প্রতি সেকেন্ডে ২ দশমিক ৫ মিটার। স্বাভাবিক স্রোতের গতি থাকে ১ দশমিক ৫ মিটার। |