শিরোনাম: |
একনেকে ৭৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ প্রকল্পের অনুমোদন
ধানের জমি নষ্ট করে শিল্প স্থাপন না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রকল্পের সব ডকুমেন্ট বাংলায় করার পরামর্শ
|
বর্তমান প্রতিবেদক : কৃষি জমি ও বসতবাড়িতে কোনো শিল্পকারখানা স্থাপন না করে শিল্প এলাকায় শিল্পকারখানা স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
মন্ত্রী এমএ মান্নান জানান, একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছেন- আপনারা ব্যবসা করতে চান বা শিল্প করতে চান, তাহলে শিল্প এলাকায় যান। বাড়ির পাশের ধানের জমি নষ্ট করে শিল্প স্থাপন করবেন কেন? আমরা উৎসাহ দেব, আপনারা শিল্প এলাকায় শিল্পকারখানা স্থাপন করেন। সেখানে আপনারা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও পাবেন। গ্যাস, রাস্তা, ব্যাংক সব পাবেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকারি সব উন্নয়ন প্রকল্পের ডকুমেন্ট বাংলায় তৈরি করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- এখন থেকে সরকারের নেয়া সব উন্নয়ন প্রকল্পের ডকুমেন্ট ইংরেজিতে নয়, বাংলায় তৈরি করতে হবে। যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই উন্নয়ন প্রকল্পের সবকিছু বুঝতে পারে। এ ছাড়া ডিজিটাল ভূমি জোনিংয়ের সময় সব তথ্য বাংলায় নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেনসরকারপ্রধান। প্রকল্পের সব ডকুমেন্ট বাংলায় করার পরামর্শ: সরকারি সব উন্নয়ন প্রকল্পের ডকুমেন্ট বাংলায় তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এখন থেকে সরকারের নেয়া সব উন্নয়ন প্রকল্পের ডকুমেন্ট ইংরেজিতে নয়, বাংলায় তৈরি করতে হবে। যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই উন্নয়ন প্রকল্পের সবকিছু বুঝতে পারে। এ ছাড়া ডিজিটাল ভূমি জোনিংয়ের সময় সব তথ্য বাংলায় নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান। সরকারপ্রধানের পক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছেন-আপনারা ব্যবসা করতে চান বা শিল্প করতে চান, তাহলে শিল্প এলাকায় যান। বাড়ির পাশের ধানের জমি নষ্ট করে শিল্প স্থাপন করবেন কেন? আমরা উৎসাহ দেব, আপনারা শিল্প এলাকায় শিল্পকারখানা স্থাপন করেন। সেখানে আপনারা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও পাবেন। গ্যাস, রাস্তা, ব্যাংক সব পাবেন। একনেকে ৭৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ প্রকল্পের অনুমোদন: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৭৯৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা খরচে চারটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে প্রায় ৬২৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং বিদেশি ঋণ ১৭২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গণভবন থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এবং সংশ্লিষ্ট অন্য মন্ত্রীরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত থেকে একনেক সভায় অংশ নেন। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে তিনটি নতুন প্রকল্প এবং একটি সংশোধিত। সংশোধিত প্রকল্পটি হলো নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন প্রকল্প-১ (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ)’ প্রকল্প। তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা থেকে ব্যয় বেড়ে এখন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে তিন হাজার ৩৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এতে সময়ও বেড়েছে। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পটির সময় দেড় বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ‘মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং’ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ভৈরব নদ পুনঃখনন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৩৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। চলতি বছরের আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল, সেনবাগ ও সোনাইমুড়ি উপজেলার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে খাল পুনঃখনন’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। একনেক সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক; তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। |