বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ভালো থাকে আশাবাদী মানুষ
Published : Saturday, 20 January, 2018 at 6:00 AM, Count : 707

তারা নিজেদের পছন্দের কাজকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন :
প্লুটো টিভির চীফ গ্রোথ অফিসার এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়া প্লুটো বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য যদি নিজের মনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হয়, তবে সেই কাজ থেকে আপনার সরে আসা প্রয়োজন। কারণ সেই কাজ আপনার জন্যে নয়। যে কাজ করে আপনি আনন্দ পান এবং যেটা করতে আপনার ভালো লাগবে সেই কাজটি করার চেষ্টা করুন।’
আশাবাদী মানুষেরা বারংবার চেষ্টা করতে থাকেন-
আশাবাদী মানুষ কোনো কাজের ক্ষেত্রে বিফল হলেও হাল ছেড়ে দেন না। বরং সেই কাজটিতে সফলতা অর্জন করতে বারবার কাজটি করেন, চেষ্টা করতে থাকেন। যেখানে অন্য কেউ, বিশেষ করে নিরাশাবাদী মানুষ কোন কিছুতে একবার বিফল হলেই হাল ছেড়ে দেন। আশাবাদী মানুষদের বারংবার চেষ্টা করার এই মানসকতা ও ধৈর্য তাদের জীবনে এনে দেয় সফলতা, সেটা ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে হোক অথবা সম্পর্কের ক্ষেত্রে। 
তারা অন্যান্য আশাবাদী মানুষদের সঙ্গে মেশেন-
একজন মানুষের চিন্তাধারা অন্য একজন মানুষের মাঝেও সঞ্চারিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে, একজন নিরাশাবাদী মানুষের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী খুব দ্রুতই আরেকজনের মাঝে প্রভাব ফেলে দেয়। আশাবাদী মানুষেরা এই ব্যাপারটি খুব ভালোভাবেই জানেন। যে কারণে, তারা সবসময় অন্য আশাবাদী মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেন এবং নিরাশাবাদী মানুষদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করেন।
প্রিয় মানুষদের সঙ্গে দেখা করেন আশাবাদী মানুষেরা-
হয়তো প্রতিদিন কিংবা প্রতি সপ্তাহেও নয়। মাসে একবারের জন্যে হলেও তারা প্রিয় ও পছন্দের মানুষদের সঙ্গে দেখা করতে চেষ্টা করেন। জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখার মতো মানুষদের সঙ্গে দেখা করার মাধ্যমে আশাবাদী মানুষরা অনেক মানসিক প্রশান্তি অনুভব করে থাকে। যা তাকে আরো ভালো কাজ করার জন্য অনুপ্রেরণা দান করে, ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভেনিয়া’র এক গবেষণা থেকে জানান যায় এমন তথ্য। 
তারা অন্যান্য কাজের সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত রাখার চেষ্টা করেন-
শুধু জীবিকা অর্জনের জন্যেই তারা কাজ করেন না। তার পাশপাশি সৃজনশীলমূলক কাজ, জনসচেতনতা মুলক কাজ এবং বিভিন্ন ধরণের ভলান্টিয়ার মূলক কাজের সঙ্গেও নিজেকে জড়িত রাখার চেষ্টা করেন। এতে করে তাদের ভেতরের সুপ্ত ও গোপন প্রতিভা বিকশিত হতে থাকে। একই সঙ্গে অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচিত হবার সুবাদে তাদের আলাদা পরিচিতি তৈরি হয়। যেটা তাদের ক্যারিয়ারের জন্যও উপকারী হয়ে থাকে।
তারা সবসময় হাসিমুখে থাকেন-
হাসিখুশি থাকা মানুষকে সবাই পছন্দ করেন। এছাড়াও, একজন হাসিখুশি মানুষের সঙ্গে সবাই মিশতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। আশাবাদী মানুষদের লক্ষ্য করলে দেখা যায়, তারা সর্বদা হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করে থাকেন। বিশেষ করে, তারা সবসময় হাসি মুখে থাকেন। মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপরে হাসির রয়েছে দারুণ ইতিবাচক প্রভাব। যেটা প্রায় সবাই জানেন। কিন্তু হাসিখুশি থাকার ফলে সামাজিকভাবেও যে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে থাকে, সেটা বোঝা যাবে নিজেকে সবসময় হাসিখুশি রাখার মাধ্যমে। 
আশাবাদী মানুষেরা ক্ষোভ পুষে রাখেন না-
অনেকেই হয়তো বলবেন যে, ‘বলা সহজ তবে করা কঠিন!’ হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্রে ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলা, রাগ ভুলে যাওয়ার ব্যাপারটা কঠিন বটে। তবে আশাবাদী মানুষেরা জানেন, অহেতুক মনের মাঝে ক্ষোভ পুষে রেখে কোন লাভ নেই। তাই তারা পেছনের কথা, ক্ষোভ, রাগ, অভিমান সবই ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলতে চেষ্টা করেন।
তারা সম্পর্কে প্রতি বেশি মনোযোগী হন-
একজন আশাবাদী জানেন, তাদের জীবনে প্রিয় মানুষদের গুরুত্ব অনেক। যে কারণে তারা প্রতিটি সম্পর্কের ব্যাপারে অনেক বেশি সিরিয়াস থাকেন। প্রতিটি সম্পর্ককে অনেক গুরুত্ব নিয়ে সামলান। সেটা হতে পারে পরিবারের কারোর সঙ্গে সম্পর্ক, বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক কিংবা ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক! ভালো শ্রোতা হিসেবে তারা চেষ্টা করেন সবার সব কথা শোনার জন্য। তাদের জীবনেও ইতিবাচক প্রভাব রাখার জন্য কখনোই পিছপা হন না আশাবাদী মানুষেরা।
তারা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করেন-
এটা নিশ্চয়ই জানেন, শরীরচর্চার ফলে সেরোটোনিন হরমোন নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই হরমোনকে বলা হয়ে থাকে হ্যাপিনেস হরমোন। যা একজনকে অনেক বেশী আনন্দে থাকতে এবং সন্তুষ্ট রাখতে সাহায্য করে থাকে। আশাবাদী মানুষেরা তাদের জীবনকে এমনভাবে পরিচালিত করেন এবং এমনভাবে গুছিয়ে নিয়ে আসেন, যা খুবই স্বাস্থ্যকর। 
খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে যে কোন কাজের মাঝেই তারা নিজেদের ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে থাকেন। যার ফলে, তাদের সাধারণ জীবনধারাও হয়ে ওঠে অসাধারণ।
আশাবাদী মানুষ হওয়া একটি ‘চয়েজ’। এটা সম্পূর্ণরূপে আপনার উপরেই নির্ভর করবে, আপনি সেটাকে বেছে নেবেন কি-না! নিজের জীবনে সফলতা অর্জন করতে সকলেই চায়। সেই সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে নিজের চিন্তাধার ও জীবনধারাকে ইতিবাচক ভাবে পরিচালিত করতে পারলে দিনশেষে লাভবান হবেন আপনি নিজেই! তাই নতুন বছরের শুরু থেকেই চেষ্টা করুন, একজন আশাবাদী মানুষের মতো জীবনযাপন শুরু করা।
- জীবনযাপন ডেস্ক



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft