শিরোনাম: |
‘সস্তা বিনোদন দর্শকদের সিনেমার উদ্দেশ্য না’
|
বিনোদন প্রতিবেদক : জনপ্রিয় অভিনেতা-নির্মাতা তৌকির আহমেদ। গত ১ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে তার নির্মিত পঞ্চম চলচ্চিত্র ‘হালদা’। মুক্তির পর দেশ-বিদেশে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে সিনেমাটি। গত ১২ জানুয়ারি শুরু হয়েছে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি আয়োজিত ষোড়শ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সব। গত মঙ্গলবার ছিল এ উত্সবের পঞ্চম দিন। এদিন বিকালে শাহবাগের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে প্রদর্শিত হয় তৌকিরের ‘হালদা’। সিনেমাটির প্রদর্শনী শুরুর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৌকির। এ সময় তার নির্মিত এ চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে বলেন, ‘হালদা সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে বেশ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে সিনেমা হলের দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে উত্সবে প্রদর্শন হওয়ার পর দর্শকের প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হয়ে থাকে। আমি দর্শক প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রইলাম।’ শুধু সস্তা বিনোদনের মাধ্যমে দর্শকের মনোরঞ্জন করা সিনেমার উদ্দেশ্য না। বিনোদনের পাশাপাশি মানুষদের সচেতন করে তোলাই সিনেমার মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বলেও জানান তৌকির। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আমার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সব সময় গণমানুষের কথা বলার চেষ্টা করি, তাদের সচেতন করার জন্যই সিনেমা নির্মাণ করি। এমন চলচ্চিত্র বানাতে চাই যা সমাজ জীবন ও রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে।’ তৌকির নির্মিত চলচ্চিত্রে মঞ্চ ও টেলিভিশনের অভিনয়শিল্পীদের বেশি দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মঞ্চ ও টেলিভিশনে যারা কাজ করেন তাদের মধ্যে অনেক ভালো মানের শিল্পী রয়েছেন। আমি তাদের ভালো মতো ব্যবহার করতে চাই। এছাড়াও আমাদের বাজেটের কথাও মাথায় রাখতে হয়।’ এ সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ওপার বাংলার নির্মাতা অপরাজিতা ঘোষ। তার নির্মিত ‘ড্যান্স অব জয়’ চলচ্চিত্র এবং বাংলাদেশের মানুষের আন্তরিকতা ও চলমান উত্সবের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন তিনি। তাছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তরুণ ইরানি নির্মাতা মাসুমী নূর মোহাম্মদী। তিনি বাংলাদেশের মানুষকে ‘হূদয়বান’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এখানকার মানুষের ভালোবাসা, পরিবেশ ও উত্সব দেখে আমার মনে হচ্ছে আমি তেহেরানেই আছি।’ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মানুষের জীবনব্যবস্থা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন মাসুমী। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইরানি নির্মাতা সাঈদ নাজাতী, শেরভিন দিদান্তে ও মাসীহ মির হোসেনী। ৯ দিনব্যাপী এই উত্সবে বিশ্বের ৬০টি দেশের ১৭০টির বেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। নগরীর এশিয়ান চলচ্চিত্র, রেট্রোসপেকটিভ, বাংলাদেশ প্যানারমা, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, শিশুতোষ ছবি, নারী নির্মাতা, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র এবং স্পিরিচুয়াল সিনেমা বিভাগে উত্সবে চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে। জাতীয় জাদুঘর, পাবলিক লাইব্রেরি, অলিয়স ফ্রঁসেস ও স্টার সিনেপ্লেক্স এসব চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি ১৯৯২ সাল থেকে আয়োজন করে আসছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সব। এ উত্সবের পর্দা নামবে ২০ জানুয়ারি। |