শিরোনাম: |
ডিভোর্সের বিপক্ষে অপু, পরবর্তী শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারি
|
বিনোদন প্রতিবেদক : গেল বছরের ২৮ নভেম্বর স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে তালাক নোটিস পাঠিয়েছেন শাকিব খান। অনেকটা সময় পার হয়ে গেলেও এই নোটিসের বিপরীতে কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি অপুর। এদিকে তালাকের বিষয়ে শুনানির জন্য শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসকে তলব করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। গতকাল ডিএনসিসি’র অঞ্চল-৩-এর অফিসে এই নোটিসের শুনানি হবার কথা ছিল। নির্ধারিত তারিখেই শুনানিতে হাজির হতে গতকাল সাড়ে ১২টার দিকে সিটি করপোরেশনে যান অপু বিশ্বাস। তবে হাজির হননি শাকিব খান। তিনি বর্তমানে ছবির শুটিং নিয়ে দেশের বাইরে ব্যস্ত রয়েছেন। তাকে ছাড়াই শুনানির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এমনকি তার প্রতিনিধি হিসেবেও কেউ ছিলেন না। ডিএনসিসি’র অঞ্চল-৩-এর সিনিয়র সচিব হেমায়েত হোসেন বলেন, আমরা দুই পক্ষকে ডেকছিলাম। এক পক্ষ অপু বিশ্বাস সঠিক টাইমে হাজির হলেও অপর পক্ষ শাকিব খান আসেননি। ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেছেন শাকিব নিজেই। দেশে প্রচলিত তালাকের নিয়মকানুনের উপর তালাকের ভার দিয়েছেন তিনি। অথচ নিজেই এলেন না। এটা দৃষ্টিকটূ। শুনানিতে না থাকা বা প্রতিনিধি না রাখাটা হচ্ছে শুনানির প্রতি অবজ্ঞা দেখানো। তিনি না আসতে পারলে তার আইনজীবী বা একজন প্রতিনিধির থাকা উচিত ছিল। তিনি আরও বলেন, ‘অপু বিশ্বাস এসেছিলেন। তিনি এখনও সংসার টিকিয়ে রাখতে চান। সন্তানের জন্য তিনি সংসারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন। তবে শাকিব খান যদি আগ্রহী না হন কিছুই করার নেই। আরও দুইবার ডাকা হবে তাদের। সেখানে সমঝোতায় না এলে নিয়ম অনুযায়ীই তালাক হয়ে যাবে এই দুই তারকার।’ তিনি জানালেন, শাকিব-অপুর ডিভোর্সের পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারিত হয়েছে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। প্রসঙ্গত, শাকিবের ডিভোর্স নোটিসের প্রেক্ষিতে গেল ২৪ ডিসেম্বর শাকিব ও অপুর কাছে চিঠি পাঠায় সিটি করপোরেশন। ডিএনসিসি কর্মকর্তারা জানান, শাকিব খানের তালাকের নোটিসটি ডাকযোগে ডিএনসিসির কাছে পৌঁছানোর পর তারা নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করেছেন। সে অনুযায়ী তাদের শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে। তারা যদি আবার স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকতে রাজি হন তাহলে তারা সংসার করবেন। অন্যথায় তাদের আরও দুইবার নোটিস দিয়ে শুনানি করা হবে। এর মধ্যে তারা নিজেরা মিলমিশ করতে চাইলে তা করতে পারবেন। তাতে ধর্মীয় রীতির কোনো সমস্যা হবে না। আর যদি তারা তিনবার শুনানির পরও একসঙ্গে না থাকতে চান তবে নিয়মানুযায়ী তালাক কার্যকর হয়ে যাবে। |