শিরোনাম: |
আন্দোলন সংগ্রামের বাতিঘর ছাত্রলীগ
|
মোতাহার হোসেন : বিশ্বের দেশে দেশে সব ধরনের অন্যায়, অবিচার, অপশাসন, স্বৈরশাসন, জুলুম নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ও প্রতিরোধের আন্দোলনে সে দেশের ছাত্রসমাজই প্রথমে এগিয়ে আসে। অধিকাংশ দেশের আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস তাই সাক্ষ্য দেয়। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। এদেশে মহান ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনে ছাত্রসমাজই ছিল অগ্রভাগে। ঠিক এমনি অবস্থায় পশ্চিমা শাসক-শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও দেশের প্রতিবাদী ছাত্র সমাজ ছিল সম্মুখভাগে। কথাগুলো প্রাসঙ্গিকভাবেই বলা যে, শিক্ষা, শান্তি আর প্রগতির মূল মন্ত্রকে ধারণ করে আজ থেকে ৬৯ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের। ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্ম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার, ভাষার অধিকার, স্বাধিকার আদায়ের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে ছাত্রলীগের নাম। আন্দোলন-সংগ্রামে পথচলা ছাত্রলীগের দীর্ঘ ৭০ বছরের ইতিহাসে সংগঠনটির বহু নেতাকর্মীকে অকাতরে প্রাণ দিতে হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আহত এবং পঙ্গু হয়েছে বহু ছাত্র। এক কথায় দেশের ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আর স্বাধীনতার অপর নাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বৃহত্তর অর্থে ছাত্রলীগ মানেই স্বাধীনতা, ছাত্রলীগ মানেই মুক্তি, ছাত্রলীগ মানেই মায়ের ভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার। এসব আন্দোলনের বাতিঘর হচ্ছে ছাত্রলীগ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র রাজনীতির নামে নানান অপবাদ, অপকর্মের মতো অপ্রত্যাশিত, অবাঞ্ছিত নানা ঘটনায় প্রশ্নবিদ্ধ ও কলুষিত হয়েছে গৌরবময় ছাত্র রাজনীতি। এসব কারণে এখন বলা হচ্ছে, ছাত্ররাজনীতির দরকার নেই। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির দরকার নেই। এ নিয়ে টিভিতে টকশো, পত্রিকায় সম্পাদকীয় এবং রিপোর্ট প্রকাশ হয় প্রায়শই। পাশাপাশি ছাত্র রাজনীতি সম্পর্কে অতীতে সাধারণ মানুষের মধ্যে যেরকম আগ্রহ ও প্রজেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি ছিল এখন সেই অবস্থা অনেকটা যেন তলানিতে। এর কারণ আগেই বলা হয়েছে। তাই ছাত্রদের সম্পর্কে, ছাত্র রাজনীতি সম্পর্কে মানুষের মধ্যে আস্থা, বিশ্বাস, শ্রদ্ধার ভাব ফিরিয়ে আনতে হলে বহু দূর যেতে হবে। এজন্য প্রয়োজন আদর্শিক নেতৃত্বের। এই দায়িত্ব নিতে হবে দেশের বড় এবং প্রাচীন রাজনৈতিক দলগুলোকে। এর প্রধানতম দায়িত্ব নিতে হবে আওয়ামী লীগকেই। কারণ দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে ছাত্রলীগের যে রকম আস্থা, বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ছিল, কালক্রমে এখন সেই অবস্থায় ফাটল ধরেছে, বির্বণ হয়েছে অতীত ঐতিহ্যে। সময়ের প্রয়োজনে, জাতীয় বিপর্যয়ে, অপশাসন, দুঃশাসন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন, সংগ্রাম, প্রতিবাদ, প্রতিরোধে অবশ্যই ছাত্র রাজনীতি ও ছাত্র সংঘটনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম এবং এখনও সমান প্রাসঙ্গিক। এই গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তাকে সামনে রেখে ছাত্ররাজনীতির গুণগত পরিবর্তন অপরিহার্য। ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল গত ৪ জানুয়ারি। ছাত্র আন্দোলন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধ- এক কথায় দেশের ইতিহাসের প্রতিটি উজ্জ্বল পর্বে ছাত্রলীগের অনেক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় সংযুক্ত আছে। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তত্কালীন পাকিস্তান সরকারের চাপিয়ে দেয়া রাষ্ট্রভাষা উর্দুর বিরুদ্ধে অবস্থান |