শিরোনাম: |
মৎসম্পদ ও অর্থনীতির অগ্রগতি
|
রায়হান আহমেদ তপাদার : অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষত আমিষের চাহিদা মেটাতে মত্স্য সম্পদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষণীয় যে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ লোক কৃষিজীবী এবং গ্রামে বাস করে। মত্স্য চাষ এসব গ্রামীণ মানুষের অর্থনৈতিক আয় রোজগারের একটি অংশ। প্রতি বাড়ির আনাচে-কানাচে পতিত পুকুরে মত্স্য চাষ করা যায়। মত্স্য চাষে যে মনমানসিকতা প্রয়োজন এ দেশের মানুষের তা রয়েছে। প্রয়োজন শুধু এদের পরিকল্পিত উপায়ে মত্স্য চাষে উদ্বুদ্ধ করা। বর্তমানে সরকার এবং ব্যক্তি পর্যায়ের উদ্যোগে আমাদের দেশেও বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উন্নত জাতের মত্স্য চাষ শুরু হয়েছে। ফলে দেশে প্রতিনিয়তই মাছ চাষের সম্প্রসারণ ঘটছে। স্বনির্ভর হচ্ছে দরিদ্র পরিবার এবং বেকার যুবকরাও। বর্তমানে সারাদেশে প্রজননের মাধ্যমে সরকারি মত্স্য বীজ উত্পাদন খামার রয়েছে। পুষ্টিহীনতা দূর করতে সারা দেশে যে পরিমাণ মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উত্পাদিত হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়। এ ব্যাপারে সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি জনগণকে উদ্যোগী হতে হবে। গড়ে তুলতে হবে আরও বেশি করে মত্স্য খামার যা পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে। এমনি একটি প্রযুক্তির নাম পতিত পুকুরে মত্স্য চাষ যা আমাদের দারিদ্র্যবিমোচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ প্রযুক্তি যেমন সহজ তেমনি দরিদ্র জনগণের জন্য উপযোগী। সমকালীন বিশ্ব প্রায় সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর। মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ও চাহিদার কারণে সব ক্ষেত্রে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ অনেক এগিয়ে গেছে। নতুন প্রযুক্তির বিকাশ অনেক প্রাচুর্য ও সমৃদ্ধি দিয়েছে কিন্তু এসব প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের অভাবে বিকাশশীল দেশগুলোর মধ্যে আমরা এখনও অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছি। এ দেশে আগের তুলনায় মত্স্য চাষ বৃদ্ধি পেলেও অভ্যন্তরীণ চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। দেশের সব জলাভূমিতে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ করা গেলে মত্স্য সম্পদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। সারাবিশ্বের উত্পাদন কৌশল এখন বাণিজ্যভিত্তিক। কম শ্রম ও পুঁজি বিনিয়োগ করে অধিক মুনাফা অর্জন এর মূল লক্ষ্য। মত্স্য সম্পদের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম নেই। বিশ্বের সব দেশে এখন আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নত জাতের মাছ চাষ হচ্ছে। গড়ে উঠেছে উন্নত মত্স্য খামার। কৃত্রিম প্রজনন মত্স্যসম্পদ উন্নয়নে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো ব্যাপক স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে। মত্স্য চাষ প্রযুক্তি অত্যন্ত সহজ। এর সাহায্যে আমাদের দেশের শিক্ষিত ও নিরক্ষর লোকজন স্বাবলম্বী হতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় মত্স্য চাষে যে মনমানসিকতা প্রয়োজন এ দেশের মানুষের তা রয়েছে। প্রয়োজন শুধু এদের পরিকল্পিত উপায়ে মত্স্য চাষে উদ্বুদ্ধ করা। মত্স্য চাষের জন্য প্রয়োজন উন্নত জাতের বা রোগমুক্ত পোনা, যা দ্রুত বাড়তে পারে। কিছু নিয়ম অনুসরণের মাধ্যমে মাছের পোনা কয়েক মাসের মধ্যে দ্রুত বাড়তে পারে। ইউরোপ ও রাশিয়া বাংলাদেশের চিংড়ির বড় বাজার। ডলারের বিপরীতে ইউরো ও রুবেলের দরপতনের সেখানে চাহিদা কমে গেছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পণ্য রফতানি না করতে পারাটা এখন উদ্যোক্তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। সরকার |