শিরোনাম: |
চিলেকোঠায় অভিনেত্রী মৌসুমীর ছাদ বাগান
|
বৃক্ষপ্রেমীরা একটু পাগলই বটে। প্রতিটি গাছের সঙ্গে মৌসুমীর ভালো বন্ধুত্ব। তাদের সঙ্গে কথা বলা, নিয়মিত পানি, সার দেয়া। অনেক সময় নিজের সন্তানের মতোই লালন-পালন করতে হয় তাদের। অবশ্য মৌসুমীর কখনো নাকি এতে বিরক্ত লাগেই না। বরং গাছের সঙ্গে থাকতে পারলে আরও ভালো লাগে। মন খারাপ থাকলে মনও নাকি ভালো হয়ে যায়। মৌসুমীর এই পাগলামি কিন্তু মিডিয়াজুড়ে অনেকেরই অজানা। তবে ওই বাড়ির এখন সবাই জানেন মৌসুমী হামিদ চিলেকোঠাতে একটি বনায়ন করেছেন
প্রতি বছরের ৫ জুন বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কর্মোদ্যোগ আর জনসচেতনতার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার লক্ষ্যে পালিত হয় ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’। এই দিনটিতেই জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ কনফারেন্স (ইউনাইটেড নেশন’স কনফারেন্স অন দ্য হিউম্যান এনভায়রনমেন্ট) শুরু হয়েছিল। কনফারেন্সটি হয়েছিল ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৫ থেকে ১৬ জুন অবধি। এই কনফারেন্স ওই বছরই চালু করেছিল জাতিসংঘের সাধারণ সভা। তখন থেকেই প্রতি বছর এই দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি প্রথম পালিত হয় ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে। প্রতি বছরই দিবসটি আলাদা আলাদা শহরে, আলাদা আলাদা প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে পালিত হয়। উত্তর গোলার্ধে দিবসটি বসন্তে, আর দক্ষিণ গোলার্ধে দিবসটি শরতে পালিত হয়। আর এ বছরে বাংলাদেশে ‘প্রাণের স্পন্দনে, প্রকৃতির বন্ধনে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিভিন্ন দেশের মতো সম্প্রতি পালিত হয় ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’। দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়াও রয়েছে আরও নানা অনুষ্ঠান কর্মসূচি। কিন্তু এত অনুষ্ঠান কর্মসূচি দিয়েও কি আমরা পেরেছি পরিবেশকে দূষণমুক্ত করতে? পারিনি। বরং আমরা আরও দিনে দিনে দূষণ করেই যাচ্ছি। সম্প্রতি পরিবেশ রক্ষায় নতুন গাছ লাগিয়ে ঢাকাকে সাজানো হচ্ছে। কিন্তু সেই কাজে আমরা কতটা সফল? হয়তো ১০০ ভাগের ১০ ভাগ সফল হয়েছি। বাকি ৯০ ভাগই আমরা ব্যর্থ। অথচ একটু সচেতন হলেই কিন্তু আমাদের পরিবেশকে আমরাই রক্ষা করতে পারি। যেমনটা করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। উত্তরাতে তিনি যে বাড়িটিতে থাকেন সেই বাড়ির ছাদে রয়েছে চিলেকোঠা। এই সুযোগে মৌসুমী হামিদ গাছ দিয়ে রীতিমতো একটি নার্সারি করে ফেলেছেন সেখানে। প্রকৃতিপ্রেমী মৌসুমী ফুলের গাছ থেকে শুরু করে ফলের, ঔষধি সব ধরনের গাছ লাগিয়েছেন সেখানে। বর্তমানে অভিনয়ের বাইরে তার ব্যস্ততা এই গাছের বাগানটি নিয়েই। বাসায় যখন থাকা হয় তখন কোনো না কোনো গাছের পরিচর্যা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় তাকে। আর বৃক্ষপ্রেমীরা একটু পাগলই বটে। প্রতিটি গাছের সঙ্গে মৌসুমীর ভালো বন্ধুত্ব। তাদের সঙ্গে কথা বলা, নিয়মিত পানি, সার দেয়া। অনেক সময় নিজের সন্তানের মতোই লালন-পালন করতে হয় তাদের। অবশ্য মৌসুমীর কখনো নাকি এতে বিরক্ত লাগেই না। বরং গাছের সঙ্গে থাকতে পারলে আরও ভালোলাগে। মন খারাপ থাকলে মনও নাকি ভালো হয়ে যায়। মৌসুমীর এই পাগলামি কিন্তু মিডিয়াজুড়ে অনেকেরই অজানা। তবে ওই বাড়ির এখন সবাই জানেন মৌসুমী হামিদ চিলেকোঠাতে একটি বনায়ন করেছেন। ঢাকার বহুতল বাড়িগুলোতে প্রায় সময়ই দেখা যায় ছাদে এই ধরনের বাগান করে পরিবেশে রক্ষার সঙ্গে নিজেকে অনেকেই সম্পৃক্ত করেছেন। অনেকে আবার বিষয়টি জানেনই না যে আপনার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় আমাদের পরিবেশের উপর কতটা প্রভাব পড়ছে। আর কিছু দিন পরে হয়তো দেখতে পাওয়া যাবে শহরের সকল বাড়ির ছাদেই এই ধরনের বাগান করা বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে সরকার থেকে। গাছ কাটার ফলে আমাদের দেশে বর্তমানে যে গ্রিনহাউস ইফেক্ট লক্ষণ শুরু হয়েছে তাতে খুব বেশি দিন নেই বাংলাদেশ একটি মরুভূতিতে পরিণত হবে। তাই অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদের মতো আপনারাও নিজেদের বাড়ির ছাদে এই ধরনের পরিবেশের জন্য দরকারি বাগান করতে পারেন। একবার ভেবে দেখুন আপনার বাগানটি দ্বারা ভবিষ্যত্ প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে পারছেন একটি সবুজ রাজধানী, ঢাকা। - চারুলতা ডেস্ক |