শিরোনাম: |
শিশু যখন ফেসবুকে
|
বর্তমান সময়ের শিশুরা আগের চেয়ে অনেক বেশি ফেসবুক কেন্দ্রিক। শুধু ফেসবুক নয়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের অবাধ বিচরণ। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের দাবি, বর্তমানে ৮০ শতাংশ শিশু নানা ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত। এ পরিসংখ্যান শুনে অন্য কেউ চিন্তিত না হলেও অন্তত যাদের সন্তান এখনও ছোট তাদের চিন্তিত হওয়ারই কথা। শিশুদের এই ফেসবুক আসক্তি বাবা-মাদের শুধু উদ্বিগ্নই করেনি, নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখেও ফেলেছে। কারণ, কিছু ক্ষেত্রে সন্তানদের বাঁধা দিলে লুকিয়ে এসব সাইট ব্যবহার করছে। এ অবস্থায় সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে এবং তাদের নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হচ্ছেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে দেয়ার আগে যেসব পরামর্শ দিয়েছেন সেগুলো হলো—
১. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে আগে নিজে সচেতন হোন। শিশুরা যেসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। প্রয়োজনে নিজেও সাইটগুলো ব্যবহার করুন। এসব করলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। বিষয়টি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের মনোবিজ্ঞানী এমি মরিন বলেন, প্রতিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে বাবা-মায়ের প্রয়োজনীয় জ্ঞান থাকতে হবে। কেননা, একেকটি সাইটের ঝুঁকি একেক রকম। ২. শিশুকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের অনুমতি না দিয়ে থাকলে কোন বয়সটি তার জন্য এগুলো ব্যবহারের উপযুক্ত সে বিষয়ে পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে বলুন। কোনো কোনো সময় তারা প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারে। এ মুহূর্তগুলো ঠাণ্ডা মাথায় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বেশিরভাগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের জন্য ১৩ বছর বা তার বেশি বয়সী হতে হয়। চিলড্রেনস অনলাইন প্রাইভেসি প্রোটেকশন অ্যাক্টের এ আইন সম্পর্কে শিশুদের বুঝাতে হবে। ৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে সন্তানদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। এসব সাইট ব্যবহার করলে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে সেগুলো তার সামনে তুলে ধরুন। তার শেয়ার কথা তথ্য, ছবি ইত্যাদি দিয়ে যে অনেক বিপদ ঘটে যেতে পারে সেগুলো বোঝাতে হবে। তাহলে একটা সময় বাবা-মায়ের সঙ্গে আর জেদ করবে না তারা। ৪. বাসার কম্পিউটার এমন এক জায়গায় রাখুন যেখানে স্পষ্টভাবে সবার নজর যায়। শিশুদের ল্যাপটপ ব্যবহার করতে না দেওয়াই ভালো। যথাসম্ভব তাদের ডেস্কটপ ব্যবহার করতে দিন। ৫. সন্তানদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিজ উদ্যোগে কিছু নিয়ম-নীতি তৈরি করুন। যেমন- সপ্তাহে কয়দিন কত ঘণ্টা আপনার শিশু ফেসবুক বা অন্যান্য সাইট ব্যবহার করতে হবে তা তাকে স্পষ্টভাবে বলে দিন। এমনকি শিশুর নিরাপত্তা কিংবা মঙ্গলের জন্য তার সঙ্গে আপনিও একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে কম্পিউটারের সামনে বসে পারেন। - মুঠোয় বিশ্ব ডেস্ক |